Search This Blog

বাংলার ইতিহাস: (প্রাচীন আমল- ২): [মৌর্য সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন সুলতানী আমল] মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য রাজধানী- পাটলীপুত্র প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র/ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য- মৌর্য সাম্রাজ্য প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র/ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপন করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্রাট অশোক- মৌর্য সম্রাট কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন মৌর্যবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য> বিন্দুসর> সম্রাট অশোক> দাশরথ> সম্প্রতি> সালিশুকা> দেববর্মণ> শতধনবান> বৃহদ্রথা গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা- শ্রীগুপ্ত (উত্তরে শ্রীগুপ্ত না থাকলে চন্দ্রগুপ্ত বা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত উত্তর করতে হবে) গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যর রাজধানী- পাটলীপুত্র সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা- অশ্বমেধ পরিক্রমা ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আসেন- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি- বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর কালিদাস- গুপ্ত যুগের কবি কালিদাসের মহাকাব্য- মেঘদূত গুপ্তবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়) শ্রীগুপ্ত> ঘটোৎকচ> প্রথম চন্দ্রগুপ্ত> নিশামুসগুপ্ত> সমুদ্রগুপ্ত> রামগুপ্ত> দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত> প্রথম কুমারগুপ্ত> স্কন্ধগুপ্ত> পুরুগুপ্ত> দ্বিতীয় কুমারগুপ্ত> বুদ্ধগুপ্ত> নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্য> তৃতীয় কুমারগুপ্ত> বিষ্ণুগুপ্ত> বৈন্যগুপ্ত> ভানুগুপ্ত [গুপ্ত বংশের পতনের পর বাংলায় এক অরাকজ অবস্থার উদ্ভব হয় । সে সময়ে কোন শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন না থাকায় বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকগুলো স্থানীয় শাসনকর্তার উদ্ভব হয় এবং তারা তাদের ইচ্ছেমত শাসন করতে থাকে । এই নেতৃত্বহীন অরাজক সময়টাকে ইতিহাসে ‘মাৎসান্যায়’ বলে অভিহিত করা হয়েছে । এ অরাজক অবস্থার অবসান হয় বাংলারপ্রথম স্বাধীন সম্রাট শশাঙ্কগৌড়ের সিংহাসনে বসলে ।ধারণা করা হয়, তিনি বাঙালি বা স্থানীয় ছিলেন । সেই হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আগে শশাঙ্কই বাংলার সর্বশেষ বাঙালি অধিপতি।] গৌড় বংশ প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রাজা- শশাঙ্ক গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা- শশাঙ্ক শশাঙ্কের উপাধি- মহাসামন্ত, রাজাধিরাজ শশাঙ্কের রাজধানী- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ) নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন- রাজা হর্ষবর্ধন হর্ষবর্ধনের সভাকবি- বাণভট্ট পাল বংশ প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল শ্রেষ্ঠ রাজা- ধর্মপাল পাল বংশের রাজারা রাজত্ব করেন- ৪০০ বছর সোমপুর বিহার প্রতিষ্ঠা করেন- ধর্মপাল সোমপুর বিহার- নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বাংলায় পাল বংশের শেষ রাজা- রামপাল পালবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা পাল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়; বিশেষত শেষ রাজাদের সময়ে) প্রথম গোপাল> ধর্মপাল> দেবপাল> মহেন্দ্রপাল*> নারায়ণপাল> রাজপাল> দ্বিতীয় গোপাল> দ্বিতীয় বিগ্রহপাল> প্রথম মহীপাল> ন্যায়পাল> তৃতীয় বিগ্রহপাল> দ্বিতীয় মহীপাল> দ্বিতীয় সূরপাল> রামপাল> কুমারপাল> তৃতীয় গোপাল> মনদপাল> গোবিন্দপাল *মহেন্দ্রপালের অপর দুটি নাম- প্রথম সূরপাল ও প্রথম বিগ্রহপাল সেন বংশ প্রতিষ্ঠাতা- হেমন্ত সেন শেষ্ঠ রাজা/সম্রাট- বিজয়সেন বিজয় সেনের উপাধি- গৌড়েশ্বর বল্লাল সেনের রচনা- দানসাগর, অদ্ভূত সাগর সেন বংশের শেষ রাজা- লক্ষণ সেন বাংলার শেষ হিন্দু রাজা- লক্ষণ সেন লক্ষণ সেনের উপাধি- পরমেশ্বর, পরম ভট্টারক, মহারাজাধিরাজ বখতিয়ার খিলজী বাংলা আক্রমণ করেন- ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে সেনবংশের রাজাদের ক্রম (লক্ষ্মণ সেনের শাসনামলের শেষদিকে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বক্তিয়ার খিলজীর কাছে পরাজিত হয়ে সেন সাম্রাজ্য বাংলার শাসনাধিকার হারায়; বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন কেউ-ই বাংলা শাসন করেননি) হেমন্ত সেন> বিজয় সেন> বল্লাল সেন> লক্ষ্মণ সেন> বিশ্বরূপ সেন> কেশব সেন বিভিন্ন শাসনামলে বাংলার রাজধানী মৌর্য বংশ গৌড় গুপ্ত বংশ গৌড় গৌড় (শশাঙ্ক) কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ) মৌর্যযুগ পুণ্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য পাটলিপুত্র ঈশা খাঁ সোনারগাঁও পুণ্ড্র জনপদ পুণ্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়) লক্ষণ সেন নদীয়া বা নবদ্বীপ গুপ্ত রাজবংশ বিদিশা বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা প্রথম বাংলা বিজয়- ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী বখতিয়ার খিলজী পরাজিত করেন- লক্ষণ সেন বখতিয়ার খিলজী বাংলা বিজয় করেন- ১২০৪ সালে গজনী বংশ সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেন- সুলতান মাহমুদ (১০২৬ খ্রিস্টাব্দ) সুলতান মাহমুদের সভাকবি- ফেরদৌসী ফেরদৌসীর অমর কাব্যগ্রন্থ- শাহনামা ফেরদৌসীকে বলা হয়- প্রাচ্যের হোমার সুলতান মাহমুদের দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ- আল বেরুনী স্বাধীন সুলতানী আমল স্বাধীন সুলতানী আমল ইলিয়াস শাহী বংশ ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ ১ম স্বাধীন সুলতান ইবনে বতুতার আসেন ইবনে বতুতা মরক্কোর অধিবাসী শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ বাংলার ১ম মুসলিম সুলতান সকল জনপদ একত্রে ‘বাংলা/বাঙ্গালা’ অধিবাসী- ‘শাহ-ই-বাঙ্গালা’ আশ্রয় নেন- একডালা দূর্গে সুলতান সিকান্দার শাহ নির্মাণ করেন- পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ ফিরোজ শাহের সঙ্গে যু্দ্ধ করেন- একডালা দূর্গে গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ পারস্যের কবি হাফিজের সঙ্গে সুসম্পর্ক কবি হাফিজকে আমন্ত্রণ জানান চিনের সঙ্গে বাংলার সুসম্পর্ক ছিল (রাজা গণেশ; মাঝের কিছু সময় রাজা গণেশ ও তার বংশধররা শাসন করেন) নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ নির্মাণ করেন- ষাটগম্বুজ মসজিদ হুসেন শাহী বংশ আলাউদ্দীন হুসেন শাহ নির্মাণ করেন- গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ নাসিরউদ্দীন নুসরাত শাহ গৌড়ের বড় সোনা মসজিদ কদম রসুল গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ শেষ স্বাধীন সুলতান

বাংলার ইতিহাস: (প্রাচীন আমল- ১): বাঙালি জাতির পরিচয়- শংকর/মিশ্র জাতি হিসেবে ‘বাংলা’ নামকরণ করেন- সুলতান ইলিয়াস শাহ প্রাচীন বাংলার জনপদ বঙ্গ ‘বঙ্গ’-র সঙ্গে ‘আল’ যু্ক্ত হয়ে ‘বঙ্গাল’ সেখান থেকে ‘বাংলা’ নামের উৎপত্তি ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর অঞ্চল (ঢাকা এই অঞ্চলের অন্তর্গত) পুণ্ড্র সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ রাজধানী- মহাস্থানগড় (পুণ্ড্রনগর) উত্তরবঙ্গ (বৃহত্তর রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর) বরেন্দ্র পুণ্ড্রের অন্তর্গত উত্তরবঙ্গ (গঙ্গা-করতোয়ার মধ্যবর্তী উচ্চভূমি) গৌড় রাজধানী- কর্ণসুবর্ণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পশ্চিবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া রাঢ় অপর নাম- সূক্ষ্ম ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে সমতট রাজধানী- বড়কামতা কুমিল্লা ও নোয়াখালী হরিকেল সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলার আদি অধিবাসী- কোল, ভেল, সাঁওতাল, মুণ্ডা আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা- অস্ট্রিক/ভেড্ডী (অনার্য ভাষা) বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে- অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে আর্য জাতি বাঙালি মূলত- আর্যদের শাখা আর্যদের ধর্মগ্রন্থ- বেদ বেদের অংশ- ৪টি (ঋক, সাম, যজু, অথর্ব) বেদের রচয়িতা- ঈশ্বর মহাভারতের রচয়িতা- দেবব্যাস রামায়ণের রচয়িতা- বাল্মিকী আর্যসাহিত্যকে বলা হয়- বৈদিক সাহিত্য আর্যসমাজ- ৪ ভাগে বিভক্ত (ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্য, শূদ্র) আর্য বিশ্বাস অনুযায়ী যুগ ৪টি- সত্য, দ্বাপর, ত্রেতা, কলি (এখন কলিকাল) গৌতম বুদ্ধ জন্মস্থান- কপিলাবস্তু রাজ্যের/নগরের লুম্বিনী গ্রাম (নেপাল) পিতা- শুদ্ধোধন মাতা- মায়াদেবী বাল্য নাম/নিজের নাম- সিদ্ধার্থ দিব্যজ্ঞান লাভ- ৩৫ বছর বয়সে দিব্যজ্ঞান লাভ করেন- বোধিবৃক্ষের নিচে মৃত্যুস্থান- কুশীনগর (নেপাল) বাংলার- প্রথম সাম্রাজ্য- মৌর্য প্রথম স্বাধীন রাজা- শশাঙ্ক প্রথম স্বাধীন সুলতান- ফখরুদ্দীন মোবারক শাহ শেষ হিন্দু রাজা- লক্ষণ সেন উপমহাদেশে আলেকজান্ডারের আগমন আলেকজান্ডার- গ্রিসের অধিবাসী আলেকজান্ডার- মেসিডোনিয়ার রাজা প্রথম আক্রমণ করেন- হিন্দুকুশ পর্বত ভারত আক্রমণে সৈন্যসংখ্যা- ৪০ হাজার আলেকজান্ডারের গৃহশিক্ষক- এরিস্টটল

বাংলার ইতিহাস: ইউরোপীয়দের আগমন ও বৃটিশ আমল (পর্ব দুই ও শেষ পর্ব): ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন আন্দোলন সময়কাল প্রধাননেতা গুরুত্বপূর্ণতথ্য ফকিরআন্দোলন ফকির মজনু শাহ অন্যান্য- ভবানী পাঠক তিতুমীরেরআন্দোলন তিতুমীর *.প্রকৃত নাম- সৈয়দ নিসার আলী *.মৃত্যু- ১৮৩১ *.১ম বাঙালি শহীদ *.বাঁশের কেল্লা- নারিকেলবাড়িয়ায় *.ধ্বংস হয়- ১৮৩১ সালে ফরায়েজীআন্দোলন হাজী শরীয়তউল্লাহ *.জন্ম- ১৭৮১; শরীয়তপুরে *.মৃত্যু- ১৮৪০ *.পরবর্তী নেতা- দুদু মিয়া (হাজী শরীয়তউল্লাহর পুত্র) সিপাহীবিদ্রোহ ১৮৫৭ *.শুরু হয়- ব্যারাকপুর থেকে *.এনফিল্ড রাইফেলের চর্বির টোটায় গরু ও শূকরের মাংস মেশানোর গুজব *.ফলাফল- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। ভারত সরাসরি রাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীন হয়। নীলবিদ্রোহ অবসান ঘটে- ১৮৬০ *.ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব হয় ১৮ শতকের শেষের দিকে *.গুরুত্বপূর্ণ বই(নাটক)- নীল দর্পণ (দীনবন্ধু মিত্র) চাকমাবিদ্রোহ ১৭৭৬-৮৭ জুম্মা খান সাঁওতালবিদ্রোহ ১৮৫৫-৫৬ ২ ভাই- কানু আর সিদু বৃটিশ আমলে ধর্ম ও সমাজ সংস্কারকগণ রাজারামমোহনরায় ব্রাহ্মসমাজ’প্রতিষ্ঠা-১৮২৮ ‘ব্রাহ্মধর্ম’প্রবর্তন(একেশ্বরবাদপ্রবর্তনওপ্রচার) সতীদাহপ্রথারহিতকরণেভূমিকা-১৮২৯(লর্ডবেন্টিঙ্কেরআমলে) রাজাউপাধিদেন-সম্রাটদ্বিতীয়আকবর হাজীমুহম্মদমুহসীন হুগলির ইমামবাড়া নির্মাণ করেন মুসলমানদের শিক্ষার জন্য সর্বস্ব দান করেন ঈশ্বরচন্দ্রবিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ প্রচলনে ভূমিকা- ১৯৫৬ (লর্ড ডালহৌসী) নিযুক্ত ছিলেন- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, সংস্কৃত কলেজ নওয়াবআব্দুললতিফ মোহামেডানলিটারেরিসোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা- ১৮৬৩ মুসলিমসাহিত্যসমাজ- ১৮৬৩ ১ম মুসলমান আইন পরিষদের সদস্য সৈয়দআমীরআলী সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডানঅ্যাসোসিয়েশন- ১৮৭৭ ভারতীয় উপমহাদেশের ১ম প্রিভি কাউন্সিল সদস্য গ্রন্থ- ‘দি স্পিরিট অফ ইসলাম’, ‘এ শর্ট হিস্টোরি অফ দি সেরাসিনম’ স্যারসৈয়দআহমদখান আলীগড়আন্দোলন আলীগড়অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ- ১৮৭৭ আলীগড়মোহামেডান এডুকেশন কনফারেন্স- ১৮৮৬ কংগ্রেস কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা- ১৮৮৫ প্রতিষ্ঠাতা- এ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম মুসলিম লীগ- ১৯০৬ প্রতিষ্ঠাতা- নবাব সলিমুল্লাহ প্রকৃত নাম- নিখিল ভারত মুসলিম লীগ বৃটিশ আমলে রাজনৈতিক আন্দোলন ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : অহিংসা ও অসহযোগ আন্দোলনের প্রবক্তা- মহাত্মা গান্ধী মহাত্মা গান্ধীর প্রকৃত নাম- মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ঘটে- ১৯১৯ রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন- জালিওয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খেলাফত আন্দোলন সংঘটিত হয়- ১৯২০ সালে নেতৃত্ব দেন- মাওলানা মুহম্মদ আলী ও মাওলানা শওকত আলী বৃটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন করেন- মাস্টারদা সূর্যসেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করেন- ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ মাস্টারদা’কে ফাঁসি দেয়া হয়- ১৯৩১ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয়- ক্ষুদিরামকে ‘প্রীতিলতা ওযাদ্দেদার’ জড়িত ছিলেন- মাস্টারদা সূর্যসেনের সঙ্গে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ভারত ছাড় আন্দোলনের সূচনা হয়- ১৯৪২ বাংলায় দূর্ভিক্ষ/পঞ্চাশের মন্বন্তর- ১৯৪৩ (১৩৫০ বঙ্গাব্দ) দ্বি-জাতিতত্ত্বের প্রবক্তা- মুহম্মদ আলী জিন্নাহ (১৯৩৯) লাহোর প্রস্তাবের প্রবক্তা- এ কে ফজলুল হক (১৯৪০) ঋন সালিসী আইন- এ কে ফজলুল হক বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী/অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী- এ কে ফজলুল হক ভারত বিভক্তির সময় বাংলার প্রধানমন্ত্রী- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির জন্য গঠিত কমিশন- র‌্যাডক্লিফ কমিশন (লিঙ্ক : সীমান্ত লাইন, র‌্যাডক্লিফ লাইন) ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় বৃটিশ গভর্নর- লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা পাকিস্তান স্বাধীন হয়- ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ ভারত স্বাধীন হয়- ১৫ আগস্ট ১৯৪৭

বাংলার ইতিহাস: ইউরোপীয়দের আগমন ও বৃটিশ আমল (পর্ব ১): বাংলায় ইউরোপীয়দের আগমন ক্রমানুসারে জাতিরনাম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পর্তুগিজ *.ভারতের আসার জলপথ আবিষ্কার (১৪৮৭ সালে) *.১৪৮৭ সালে- বার্থলোমিউ দিয়াজ উত্তমাশা অন্তরীপে পৌছান *.ভাস্কো দা গামা সেই পথ দিয়ে ভারতবর্ষে আসেন- ১৪৯৮ সালে *.ভাস্কো দা গামা কালিকট বন্দরে আসেন *.ভারতে আসতে ভাস্কো দা গামা আরব নাবিকদের সাহায্য নেন *.ইউরোপীয়দের মধ্যে প্রথম ভারতে আসে ও ঘাঁটি স্থাপন করে *.ঘাঁটি স্থাপন করে- ১৫১৬ সালে ওলন্দাজ *.ডাচ বা নেদারল্যান্ডের অধিবাসীদের ওলন্দাজ বলা হয় দিনেমার *.ডেনমার্কের অধিবাসীদের দিনেমার বলা হয় ইংরেজ *.ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন- ১৬০০ সালে *.উদ্দেশ্য ছিল- ব্যবসা করা *.উপমহাদেশে/বাংলায় ইংরেজদের প্রথম কুঠি- সুরাটে (১৬০৮ সালে) *.কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ স্থাপন- ১৭০০ সালে ফরাসি *.ইউরোপীয়দের মধ্যে সবার শেষে আসে *.উদ্দেশ্য ছিল সাম্রাজ্য স্থাপন বাংলার প্রথম নবাব- মুর্শিদকুলী খান বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন- মুর্শিদকুলী খান সিরাজ-উদ-দৌলার বীরত্ব, মীর জাফর গংয়ের বিশ্বাসঘাতকতা ও বাংলায় ইংরেজ প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠা সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব হন- ১৭৫৬ সালে বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব- মুর্শিদকুলী খান বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব- সিরাজ-উদ-দৌলা কলকাতার নাম রাখেন- আলিনগর অন্ধকূপ হত্যা(১৭৫৬) একটি মিথ্যা অভিযোগ হলওয়ে সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে বৃটিশদের ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গে ১২৩ জন ইংরেজকে আটকে রেখে নির্মমভাবে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ/কাহিনী প্রচার করে। এটাই ইতিহাসে অন্ধকূপ হত্যা নামে পরিচিত। পরবর্তীতে এটা মিথ্যা প্রমাণ করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ইংরেজরা যুদ্ধ করে। পলাশীর যুদ্ধ (২৩ জুন, ১৭৫৭; পলাশীর প্রাণ্তর) পক্ষ- বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ও ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ পরাজিত পক্ষ- বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের মূল কারণ- প্রধান সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা সিরাজ-উদ-দৌলার হত্যাকারী- মোহাম্মদী বেগ বক্সারের যুদ্ধ সময়- ১৭৬৪ সাল পক্ষ- ইংরেজ ও মীর কাসিম পরাজিত পক্ষ- মীর কাসিম বৃটিশ ভাইসরয়দের গুরুত্বপূর্ণ কাজ/অবদান/ঘটনা নাম কাজ/অবদান/ঘটনা সাল লর্ডক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন (মোঘল সম্রাট শাহ আলমের সঙ্গে চুক্তি করেন) ১৭৬৫ লর্ডকার্টিয়ার ’৭৬-র মন্বন্তর ১৭৭০ (১১৭৬বঙ্গাব্দ) লর্ডওয়ারেনহেস্টিংস *.১মগভর্নরজেনারেল দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত ১৭৭২ ৫ শালা বন্দোবস্ত ১ শালা বন্দোবস্ত রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে কোলকাতায় স্থানান্তর রাজস্ব বোর্ড গঠন লর্ডকর্নওয়ালিস দশশালা বন্দোবস্ত ১৭৯০ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত + সূর্যাস্ত আইন ১৭৯৩ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা লর্ডউইলিয়ামবেন্টিঙ্ক সতীদাহ প্রথা বিলোপ (রাজা রামমোহন রায়) ১৮২৯ আদালতে আরবির বদলে ফার্সি ভাষা প্রচলন ১৮৩৫ লর্ডডালহৌসি রেল যোগাযোগ ১৮৫৩ বিধবা বিবাহ (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর) ১৮৫৬ স্বত্ববিলোপ নীতি লর্ডক্যানিং কাগজের মুদ্রা প্রচলন ১৮৫৭ সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ ক্ষমতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে সরাসরি রাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে ১৮৫৮ পুলিশ সার্ভিস ১৮৬১ ১ম বাজেট ১৮৬১ লর্ডরিপন *.‘ভারতেরবন্ধু’খ্যাত ১ম আদমশুমারি ১৮৬১ লর্ডকার্জন বঙ্গভঙ্গ নতুন বাংলা প্রদেশের রাজধানী- ঢাকা ১৯০৫ বাংলা প্রদেশের ১ম লেফটেন্যান্ট গভর্নর- ব্যামফিল্ড ফুলার ১৯০৫ লর্ডহার্ডিঞ্জ(২য়) বঙ্গভঙ্গ রদ ১৯১১ রাজধানী কোলকাতা হতে দিল্লীতে স্থানান্তর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ (পদ্মা) ১৯১৫ লর্ডলিনলিথগো ভারত ছাড় আন্দোলন ১৯৪২ পঞ্চাশের মন্বন্তর ১৯৪৩ (১৩৫০ বঙ্গাব্দ) লর্ডমাউন্টব্যাটেন *.সর্বশেষবৃটিশগভর্নর

বাংলাদেশের ইতিহাস (পাকিস্তানী আমল): বাংলাদেশ পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত ছিল- ২৪ বছর গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানী/পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের জাতির জনক উপাধি- কায়েদে আজম স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দীন ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পূর্ববঙ্গ প্রদেশের/ পাকিস্তান আমলে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী (অবিভক্ত বাংলার অর্থাৎ বৃটিশ আমলের বাংলা প্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী- এ কে ফজলুল হক) ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রথম সামরিক আইন জারি করেন (১৯৫৮) জেনারেল আইয়ুব খান ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে নিজেই প্রেসিডেন্ট হন আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান আইয়ুব খান পদত্যাগ করলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন নুরুল আমিন ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন গণপরিষদে প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান- ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ বইটির লেখক- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- মুহম্মদ আলী জিন্নাহ, ১৯৪৮ ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দীন ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়- ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন- শহীদ শফিউরের বাবা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- প্রভাত ফেরীর গান গানটির গীতিকার- আবদুল গাফফার চৌধুরী গানটির সুরকার- আলতাফ মাহমুদ গানটির শিল্পী- আব্দুল লতিফ ২১ দফা দাবি পেশ করে- যুক্তফ্রন্ট ৬ দফা দাবি পেশ করেন- শেখ মুজিবুর রহমান ১১ দফা দাবি পেশ করে- ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত- ১৯৪৯ প্রথম সভাপতি- মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক- শেখ মুজিবুর রহমান শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন- ১৯৬৬ সালে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়- ১৯৫৫ সালে ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে পৃথক ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (NAP)’ গঠন করেন- ১৯৫৭ সালে ৬ দফা আন্দোলন ঘোষণা করেন- শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করার সময়- ২৩ মার্চ, ১৯৬৬ ঘোষণা করার স্থান- লাহোর ভিত্তি- লাহোর প্রস্তাব পরিচিত- ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মামলার মূল নাম- ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ প্রধান আসামি- শেখ মুজিবুর রহমান মোট আসামি- ৩৫ জন মামলা দায়ের করা হয়- ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে কারাগারে গুলি করে হত্যা করা হয় (১৯৬৯) আগরতলা ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেন- আমির হোসেন শহীদ আসাদ নিহত হয়- ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ মামলা প্রত্যাহার করা হয়- ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ মামলা প্রত্যাহার করা হয়- জনগণের চাপে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন- তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়- ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়- রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ বলে ঘোষণা করা হয়- ৩ মার্চ ১৯৭১ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ বলে ঘোষণা করেন- আ স ম আব্দুর রব শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ বলে ঘোষণা করা হয়- পল্টন ময়দানে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন- শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- শেখ মুজিবুর রহমান, ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে (পরে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার থেকে শেখ মুজিবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন । ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাটে নবগঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন জিয়াউর রহমান ।) স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন- জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হয়- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১