Search This Blog

Photography : নাইকন এএফ নিকর ৭০-৩০০ মিমি জি লেন্স

নাইকনের এএফ নিকর ৭০-৩০০ জি লেন্স বাজারে এসেছে ২০০৬ সালে। মনে হতে পারে এতবছর পর এই লেন্সে নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে কেন। হচ্ছে কারন এই লেন্সের দাম। ১২০ ডলারের অন্য কোন ৭০-৩০০ মিমি টেলিফটো লেন্স পাওয়ার সুযোগ নেই। যারা কমদামের মধ্যে টেলিফটো জুম লেন্স পেতে চান তাদের জন্য আদর্শ এই লেন্স। লেন্সটি ওজনে একেবারে হাল্কা। লেন্সের বর্ননা এমন, .ফোকাল লেন্থ ৩০-৩০০ মিমি .এপারচার ৪-৫.৬ .ফিল্টার ডায়ামিটার ৬২ মিমি .লেন্সের মাপ : লম্বায় ৪.৬ ইঞ্চি, ব্যাস ২.৯ ইঞ্চি .ওজন ৪৮০ গ্রাম .সাথে বড় ধরনের লেন্সহুড রয়েছে। পারফরমেন্সের বিচারে তুলনা করতে হলে এরথেকে দামী লেন্সের সাথে করতে হয়। কাজেই তাদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ২০০ থেকে ৩০০ মিমি রেঞ্জে ইমেজ কিছুটা সফট পাওয়া যায়। এটুকু মেনে নিতে হবে। অন্যান্য বৈশিষ্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এতে বিল্ট-ইন অটোফোকাস মোটর নেই। ফলে কমদামী মডেল যেমন ডি-৬০ কিংবা ডি৩০০০/ডি৩১০০ থেকে অটোফোকাস ব্যবহার করা যাবে না। ডি-৯০ মডেলের জন্য বেশি সুবিধেজনক। এতে ভাইব্রেশন রিডাকশন (ভিআর) নেই। ভিআর সহ ইডি ভার্শন এর দাম ৩১০ ডলার। অটোফোকাসের জন্য যথেষ্ট আলো প্রয়োজন হয়। অটোফোকাসের সময় বেশ শব্দ হয়। এরপরও মুলত দামের কারনে এই লেন্সের উল্লেখ করতে হয়। দামের বিচারে ছবির মান যথেস্ট ভাল। পোর্ট্রেট এর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। ল্যান্ডস্কেপের জন্য ট্রাইপড ব্যবহার করে এই লেন্সেই ভাল ফল পাওয়া যাবে। এর বিকল্প হতে পারে ইডি ভার্শন, অথবা ৮০-২০০ এফ/২.৮ কিংবা ৮০-৪০০ ভিআর লেন্স। এগুলোর দাম এরথেকে অনেক বেশি।