পৃথিবী ও সৌরমন্ডল বা সৌরজগত্ প্রাককথন (পর্ব ২ ও শেষ পর্ব):
পৃথিবীর গতি দুই প্রকার - (১) আবর্তন বা আহ্নিক গতি (Rotation) এবং (২)
পরিক্রমণ বা বার্ষিক গতি (Revolution )
আবর্তন বা আহ্নিক গতি (Rotation)- পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদন্ডের উপর ভর করে নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্বে অনবরত ঘুরে চলেছে । অহ্ন শব্দের অর্থ
‘দিন’। এই গতির ফলে দিনরাত্রি হয় হয় বলে একে আবর্তন বা আহ্নিক গতি বলে ।
পৃথিবীর আবর্তনগতিকে আহ্নিক গতিও বলা হয়। পৃথিবী নিজের অক্ষের ওপর একবার পাক খেয়ে আসতে যে সময় নেয় তার পরিমাণ একদিন বা প্রায় ২৪ ঘন্টা।
একদিন সূর্য যখন মাথার উপরে রয়েছে তখন থেকে সময় গণনা শুরু করে পরের দিন ঠিক সূর্য যখন মাথার ওপরে আসবে তখন পর্যন্ত যে সময় অতিবাহিত হয়েছে তা হল এক সৌর দিন। এর পরিমাণ ঠিক ২৪ ঘন্টা। কিন্তু মনে রাখতে হবে পৃথিবী তার আবর্তনের সাথে সাথে সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষি্ণও করছে। তাই এক দিনে সে তার প্রদক্ষিণ পথ ধরে কিছুটা পার হয়েও এসেছে। তাই যদি আমরা কোনও নক্ষত্র বা নক্ষত্র মন্ডলীর সাপেক্ষে পৃথিবীর আবর্তনের সময় মাপি তা কিন্তু কিছুটা তফাত হবে। ধরা যাক একদিন রাত্রে একটি নক্ষত্রের উদিত হওয়ার মূহুর্ত থেকে পরের দিন আবার সেই নক্ষত্রটির উদিত হওয়ার সম
য় মাপি দেখব এই সময় সৌর দিনের থেকে কিছুটা কম। একেই নক্ষত্র দিন বলে। একটা সৌর দিন থেকে একটা নক্ষত্র দিন ৩ মিনিট ৫৫. ৯১ সেকেন্ড কম।
সৌরদিন (Solar day)-সূর্যকে সামনে রেখে পৃথিবী তার অক্ষের উপর ভর করে সম্পূর্ণরূপে একবার পাক খেতে ২৪ ঘন্টা সময় নেয় ।
একে‘সৌরদিন’বলে ।
নাক্ষত্রদিন(Solar day)-সুর্য ছাড়া অন্য কোনো নক্ষত্রের হিসাবে পৃথিবীর সম্পূর্ণ একবার আবর্তনের সময় লাগে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড একে
নাক্ষত্রদিন(Solar day)বলে ।
Near Earth Object Danger Close to Earth
একটি গ্রহাণুর আঘাত থেকে গত ২৭ জানুয়ারি অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী! ২০১২ বিএক্স৩৪ নামের গ্রহাণুটি খুব কাছাকাছি এসেও নিরাপদে পৃথিবীকে অতিক্রম করেছে। গ্রহাণুটি ছুটতে ছুটতে চাঁদের চেয়েও কম দূরত্বে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। মহাকাশ পর্যবেক্ষকেরা এ ঘটনাকে
'অল্পের জন্য রক্ষা'হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
'গ্রহাণুটির ব্যাস ছয় থেকে ১৯ মিটারের মধ্যে ছিল। শুক্রবার গ্রিনিচ সময় তিনটার দিকে এটি পৃথিবীর ৬০ হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসে।
'
'অল্পের জন্য এটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। এ পর্যন্ত পৃথিবীর খুব কাছাকাছি এসেছে এমন শীর্ষ ২০-এর তালিকায় এটি থাকবে।
'মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) বৃহস্পতিবার টুইটারে জানায়
,গ্রহাণুটি'নিরাপদেই ২৭ জানুয়ারি পৃথিবী অতিক্রম করেছে।
'
গেরেথ উইলিয়ামস ব্যাখ্যা করে বলেন,গ্রহাণুটি এতই ছোট ছিল যে,পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসার পরই কেবল তা শনাক্ত করা যায়। কিন্তু এর ওড়ার গতি বিস্ময়কর হলেও তা একেবারেই অস্বাভাবিক ছিল না।
তবে গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়লেও ক্ষতির আশঙ্কা ছিল না বলে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের জন্য গ্রহাণুটির যে শক্তি ক্ষয় হতো এর ফলে এটি ভেঙে যেত। এর পরও পৃথিবীর মাটিতে গ্রহাণুটি প্রবেশে সক্ষম হলে বড়জোর এর আকৃতি হতো একটি ফুটবলের মতো। এর আগে গত বছর নভেম্বরে আরেকটি গ্রহাণু যার নাম ২০০৫ ওয়াইইউ ৫৫ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল।