Search This Blog

উপসর্গ (পর্ব ৩ ও শেষ পর্ব): আরবি উপসর্গ- উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ ১ আম সাধারণ আমদরবার, আমমোক্তার ২ খাস বিশেষ খাসমহল, খাসখবর, খাসকামরা, খাসদরবার ৩ লা না লাজওয়াব, লাখেরাজ, লাওয়ারিশ, লাপাত্তা ৪ গর অভাব গরমিল, গরহাজির, গররাজি ইংরেজি উপসর্গ- উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ ১ ফুল পূর্ণ ফুলহাতা, ফুলশার্ট, ফুলবাবু, ফুলপ্যান্ট ২ হাফ আধা হাফহাতা, হাফটিকেট, হাফস্কুল, হাফপ্যান্ট ৩ হেড প্রধান হেডমাস্টার, হেডঅফিস, হেডপন্ডিত, হেডমৌলভী ৪ সাব অধীন সাব-অফিস, সাব-জজ, সাব-ইন্সপেক্টর উর্দু-হিন্দিউপসর্গ- উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ হর প্রত্যেক হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম, হরহামেশা,হরেক ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র শকুন্তলা উপর্গযোগে গঠিত শব্দ : উপসর্গ শব্দ অ অদ্বিতীয়, অনিমিষ অতি অতিমাত্র, অতিশয়, অতীত (অতি+ইত), অতিমুক্তলতা অনু অনুসন্ধান, অনুষ্ঠান অব অবলোকন, অবকাশ, অবতীর্ণ আ আদেশ, আকার নিঃ নিরপরাধ (নিঃ+অপরাধ), নির্বিঘ্ন (নিঃ+বিঘ্ন), নিঃশঙ্ক পরি পরিত্রাণ, পরিণয়, পরিধান, পরিচালিত, পরিহাস, পরিতাপ প্র প্রবেশ, প্রবিষ্ট সম সমভিব্যাহারে, সম্মুখ, সমাগত, সংযত (সম+যত), সম্বোধন, সন্নিহিত (সম+নিহিত) একাধিক উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ : শব্দ গঠন শব্দ গঠন অনতিবৃহৎ অন+অতি+বৃহৎ অনুসন্ধান অনু+সম+ধান সমভিব্যাহার সম+অভি+বি+আ+হার নিরপাধ নি+অপ+রাধ সাতিশয় স+অতি+শয় প্রতিসংহার প্রতি+সম+হার বঙ্গভাষা অ, অন- উপসর্গ অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দটাকে না-বোধক অর্থ দেয়। যেমন : উপসর্গ মূল শব্দ উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ অ বোধ অবোধ অ নিদ্রা অনিদ্রা অ বরেণ্য অবরেণ্য অ জ্ঞান অজ্ঞান অন আহার অনাহার অন আগ্রহ অনাগ্রহ আমার পূর্ব বাংলা অ- উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ মূল শব্দ অ-উপসর্গযোগে তল অতল শেষ অশেষ ফুরন্ত অফুরন্ত অলসতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন *.কোনটি তৎসম উপসর্গ নয়? (গ-২০০২-০৩) *.খাঁটি বাংলা উপসর্গ এর সংখ্যা- (গ-২০০৩-০৪) *.খাঁটি বাংলা উপসর্গ কোনটি? (গ-২০০৪-০৫) *.নিলাজ এর ‘নি’ উপসর্গটি: (গ-২০০৫-০৬) *.অজ *.নিচের কোনটি তৎসম উপসর্গ নয়? (গ-২০০৭-০৮) *.কোন শব্দটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ দিয়ে গঠিত হয়েছে? (গ-২০০৭-০৮) *.‘হা’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়? (গ-২০০৮-০৯) *.‘প্রণয়’- কোন উপসর্গ? (গ-২০১০-১১) *.উপসর্গযুক্ত শব্দ- (ক-২০০৯-১০) *.‘নিমরাজি’ শব্দের ‘নিম’ উপসর্গ কী অর্থ নির্দেশ করে? (ক-২০০৭-০৮) *.কোন শব্দ উপসর্গ সহযোগে গঠিত নয়? (ক-২০০৭-০৮) *.‘বেকার’ শব্দের ‘বে’ শব্দাংশকে ব্যাকরণে কী নামে অভিহিত করা হয়? (ক-২০০৬-০৭) *.উপসর্গজাত শব্দ (ক-২০০৬-০৭) *.একাধিক উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ কোনটি? (ক-২০০৬-০৭) *.‘কদবেল’ শব্দে ‘কদ’ উপসর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে- (ঘ-২০১০-১১) *.অনতিবৃহৎ নিরপরাধ হরিণ সংহারে নিবৃত্ত হোন।– বাক্যটিতে উপসর্গ আছে- (ঘ-২০১০-১১) *.কোন শব্দটি উপসর্গ সহযোগে গঠিত নয়- (ঘ-২০০৯-১০) *.‘বিনির্মাণ’ শব্দে ‘বি’ উপসর্গটি কী অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে? (ঘ-২০০৯-১০) *.উপসর্গযুক্ত শব্দ (ঘ-২০০৮-০৯) *.উপসর্গযুক্ত শব্দ (ঘ-২০০৬-০৭) *.‘সমভিব্যাহার’ শব্দে উপসর্গের সংখ্যা (ঘ-২০০৩-০৪) *.নিচের শব্দগুলির কোনটিতে ‘উপ’ উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত? (ঘ-২০০৩-০৪) *.‘অপ’ উপসর্গঘটিত কোন শব্দের অর্থ ইতিবাচক? (ঘ-২০০২-০৩) *.‘সমভিব্যাহার’ শব্দের উপসর্গ কয়টি? (ঘ-২০০১-০২) *.অতি *.পরি *.প্রতি *.উপ *.ইতি *.অনা

উপসর্গ (পর্ব ২): তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ :সংস্কৃত ভাষার যে সব শব্দ তৎসম শব্দের মতো অবিকৃত অবস্থায় হুবুহু বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। তৎসম উপসর্গ শুধুমাত্র তৎসম শব্দের আগে বসে। তৎসম উপসর্গ মোট ২০টি- প্র পরা অপ সম নি অনু অব নির দুর বি অধি সু উৎ পরি প্রতি অতি অপি অভি উপ আ নিচে সংস্কৃত উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো- উপগর্স অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ ১ প্র প্রকৃষ্ট/ সম্যক প্রচলন (প্রকৃষ্ট রূপ চলন/ চলিত যা)প্রভাব, , প্রস্ফুটিত খ্যাতি প্রসিদ্ধ, প্রতাপ আধিক্য প্রবল (বলের আধিক্য), প্রগাঢ়, প্রচার, প্রসার গতি প্রবেশ, প্রস্থান ধারা-পরম্পরা প্রপৌত্র, প্রশাখা, প্রশিষ্য ২ পরা আতিশয্য পরাকাষ্ঠা, পরাক্রান্ত, পরায়ণ বিপরীত পরাজয়, পরাভব ৩ অপ বিপরীত অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ নিকৃষ্ট অপসংস্কৃতি (নিকৃষ্ট সংস্কৃতি), অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ স্তানান্তর অপসারণ, অপহরণ, অপনোদন বিকৃত অপমৃত্যু সুন্দর অপরূপ ৪ সম সম্যক রূপে সম্পূর্ণ, সমৃদ্ধ, সমাদর সম্মুখে সমাগত, সম্মুখ ৫ নি নিষেধ নিবৃত্তি, নিবারণ নিশ্চয় নির্ণয় আতিশয্য নিদাঘ, নিদারুণ অভাব নিষ্কলুষ (কলুষতাহীন), নিষ্কাম ৬ অনু পশ্চাৎ অনুশোচনা (পূর্বের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা), অনুগামী (পশ্চাদ্ধাবনকারী), অনুজ, অনুচর, অনুতাপ, অনুকরণ সাদৃশ্য অনুবাদ, অনুরূপ, অনুকার পৌনঃপুন্য অনুশীলন (বারবার করা) , অনুক্ষণ, অনুদিন সঙ্গে অনুকূল, অনুকম্পা ৭ অব হীনতা অবজ্ঞা, অবমাননা সম্যক ভাবে অবরোধ, অবগাহন, অবগত নিমেণ/ অধোমুখিতা অবতরণ, অবরোহণ অল্পতা অবশেষ, অবসান, অবেলা ৮ নির অভাব নিরক্ষর, নির্জীব, নিরহঙ্কার, নিরাশ্রয়, নির্ঘন নিশ্চয় নির্ধারণ, নির্ণয়, নির্ভর বাহির/ বহির্মুখিতা নির্গত,নিঃসরণ, নির্বাসন ৯ দুর মন্দ দুর্ভাগা, দর্দশা, দুর্নাম কষ্টসাধ্য দুর্লভ, দুর্গম, দুরতিক্রম্য ১০ অধি আধিপত্য অধিকার, অধিপতি, অধিবাসী উপরি অধিরোহণ, অধিষ্ঠান ব্যাপ্তি অধিকার,অধিবাস, অধিগত ১১ বি বিশেষ রূপে বিধৃত, বিশুদ্ধ, বিজ্ঞান, বিবস্ত্র, বিশুষ্ক,বিনির্মাণ অভাব বিনিদ্র, বিবর্ণ, বিশৃঙ্খল, বিফল গতি বিচরণ, বিক্ষেপ অপ্রকৃতিস্থ বিকার, বিপর্যয় ১২ সু উত্তম সুকণ্ঠ, সুকৃতি, সুচরিত্র, সুপ্রিয়, সুনীল সহজ সুগম, সুসাধ্য, সুলভ আতিশয্য সুচতুর, সকঠিন, সুধীর, সুনিপুণ, সুতীক্ষ্ণ ১৩ উৎ ঊর্ধ্বমুখিতা উদ্যম, উন্নতি, উৎক্ষিপ্ত, উদগ্রীব, উত্তোলন আতিশয্য উচ্ছেদ, উত্তপ্ত, উৎফুলল, উৎসুক, উৎপীড়ন প্রস্ত্ততি উৎপাদন, উচ্চারণ অপকর্ষ উৎকোচ, উচ্ছৃঙ্খল, উৎকট ১৪ পরি বিশেষ রূপ পরিপক্ব, পরিপূর্ণ, পরিবর্তন শেষ পরিশেষ সম্যক রূপে পরিশ্রান্ত, পরীক্ষা, পরিমাণ চতুর্দিক পরিক্রমণ, পরিমন্ডল ১৫ প্রতি সদৃশ প্রতিমূর্তি, প্রতিধ্বনি বিরোধ প্রতিবাদ, প্রতিদ্বন্দ্বী পৌনঃপুন্য প্রতিদিন, প্রতি মাস অনুরূপ কাজ প্রতিঘাত, প্রতিদান, প্রত্যুপকার ১৬ অতি আতিশয্য অতিকায়, অত্যাচার, অতিশয় অতিক্রম অতিমানব, অতিপ্রাকৃত ১৭ অপি অপিচ ১৮ অভি সম্যক অভিব্যক্তি, অভিজ্ঞ, অভিভূত গমন অভিযান, অভিসার সম্মুখ বা দিক অভিমুখ, অভিবাদন ১৯ উপ সামীপ্য উপকূল, উপকণ্ঠ সদৃশ উপদ্বীপ, উপবন ক্ষুদ্র উপগ্রহ, উপসাগর, উপনেতা বিশেষ উপনয়ন (পৈতা), উপভোগ ২০ আ পর্যন্ত আকণ্ঠ, আমরণ, আসমুদ্র ঈষৎ আরক্ত, আভাস বিপরীত আদান, আগমন বিশেষ দ্রষ্টব্য :আ, সু, বি, নি-এই চারটি উপসর্গ তৎসম ও বাংলা উভয় উপসর্গ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। রূপের বদল না হলেও এই চারটি উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলার কারণ, তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ আর তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলা হয়। তাই এই উপসর্গগুলো যখন তদ্ভব শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন এগুলোকে বলা হয় বাংলা উপসর্গ। আর যখন তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। যেমন, ‘আলুনি’তে আ বাংলা উপসর্গ, আর ‘আকণ্ঠ’তে আ সংষ্কৃত বা তৎসম উপসর্গ। বিদেশি উপসর্গ :বিভিন্ন বিদেশি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সে সব ভাষার কিছু কিছু উপসর্গও বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এই সব বিদেশি ভাষার উপসর্গগুলোই বিদেশি উপসর্গ। তবে এই উপসর্গগুলো বাংলা বা সংস্কৃত উপসর্গের মতো নিয়ম মানে না। এগুলো যে কোন শব্দের সঙ্গেই যুক্ত হতে পারে। বিদেশি উপসর্গের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি শব্দের মতোই নতুন নতুন বিদেশি উপসর্গও বাংলায় গৃহীত হচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি উপসর্গ নিচে দেয়া হলো- কার দর না নিম ফি বদ বে বর ব কম ফারসি উপসর্গ- ফারসি উপসর্গের প্রয়োগ- উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ ১ কার কাজ কারখানা, কারসাজি, কারচুপি, কারবার, কারদানি ২ দর মধ্যস্থ, অধীন দরপত্তনী, দরপাট্টা, দরদালান ৩ না না নাচার, নারাজ, নামঞ্জুর, নাখোশ, নালায়েক ৪ নিম আধা নিমরাজি, নিমখুন ৫ ফি প্রতি ফি-রোজ, ফি-হপ্তা, ফি-বছর, ফি-সন, ফি-মাস ৬ বদ মন্দ বদমেজাজ, বদরাগী, বদমাশ, বদহজম, বদনাম ৭ বে না বেআদব, বেআক্কেল, বেকসুর, বেকায়দা, বেগতিক, বেতার, বেকার ৮ বর বাইরে, মধ্যে বরখাস্ত, বরদাস্ত, বরখেলাপ, বরবাদ ৯ ব সহিত বমাল, বনাম, বকলম ১০ কম স্বল্প কমজোর, কমবখত

উপসর্গ (পর্ব ১): উপসর্গ উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে বাংলা উপসর্গ তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ আ, সু, বি, নি বিদেশি উপসর্গ ফারসি উপসর্গ আরবি উপসর্গ ইংরেজি উপসর্গ উর্দু-হিন্দিউপসর্গ ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র শকুন্তলা বঙ্গভাষা আমার পূর্ব বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন উপসর্গ : বাংলা ভাষায় কিছু কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ বাক্যে পৃথকভাবে স্বাধীন কোনো পদ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে বিভিন্ন শব্দের শুরুতে আশ্রিত হয়ে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলা হয় উপসর্গ। এগুলোর নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন সাধন করে। উপসর্গ কোন শব্দ নয়, শব্দাংশ। এটি শুধুমাত্র শব্দের শুরুতে যোগ হয়। খেয়াল রাখতে হবে, উপসর্গ শুধুমাত্র শব্দেরই আগে বসে, কোন শব্দাংশের আগে বসে না। সুতরাং যে শব্দকে ভাঙলে বা সন্ধিবিচ্ছেদ করলে কোন মৌলিক শব্দ পাওয়া যায় না, তার শুরুতে কোন উপসর্গের মতো শব্দাংশ থাকলেও সেটা উপসর্গ নয়। এক্ষেত্রে নতুন শব্দের সঙ্গে মৌলিক শব্দটির কোন অর্থগত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। শব্দের শুরুতে যোগ হয়ে এটি- নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে, অর্থের সম্প্রসারণ করতে পারে, অর্থের সংকোচন করতে পারে এবং অর্থের পরিবর্তন করতে পারে। উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা বা অর্থ নেই, কিন্তু অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরির ক্ষমতা বা অর্থদ্যোতকতা আছে। যেমন, ‘আড়’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোন অর্থ নেই। কিন্তু এটি যখন ‘চোখে’র আগে বসবে তখন একটি নতুন শব্দ ‘আড়চোখে’ তৈরি করে, যার অর্থ বাঁকা চোখে। অর্থাৎ, এখানে আড় উপসর্গটি চোখে শব্দের অর্থের পরিবর্তন করেছে। আবার এটিই ‘পাগলা’র আগে বসে তৈরি করে ‘আড়পাগলা’, যার অর্থ পুরোপুরি নয়, বরং খানিকটা পাগলা। এখানে পাগলা শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটেছে। আবার ‘গড়া’ শব্দের আগে বসে তৈরি করে ‘আড়গড়া’ শব্দটি, যার অর্থ আস্তাবল। এখানে আবার শব্দের অর্থ পুরোপুরিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা না থাকলেও তার অর্থদ্যোতকতা আছে। উপসর্গ অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ মূলত ৩ প্রকার- বাংলা উপসর্গ, তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ ও বিদেশি উপসর্গ। বাংলা উপসর্গ :বাংলা ভাষায় বাংলা উপসর্গ মোট ২১ টি। বাংলা উপসর্গ সবসময় খাঁটি বাংলা শব্দ বা তদ্ভব শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। বাংলা উপসর্গগুলো হলো- অ অঘা অজ অনা আ আড় আন আব ইতি ঊন (ঊনা) কদ কু নি পাতি বি ভর রাম স সা সু হা নিচে বাংলা উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো- উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ ১ অ নিন্দিত অকেজো (নিন্দিত কাজ করে যে), অচেনা, অপয়া অভাব অচিন (চিন-পরিচয়ের অভাব), অজানা, অথৈ ক্রমাগত অঝোর (ক্রমাগতভাবে ঝরতে থাকা), অঝোরে ২ অঘা বোকা অঘারাম, অঘাচন্ডী ৩ অজ নিতান্ত/ মন্দ অজপাড়াগাঁ (একেবারে নিতান্তই পাড়াগাঁ), অজমূর্খ, অজপুকুর ৪ অনা অভাব অনাবৃষ্টি (বৃষ্টির অভাব), অনাদর ছাড়া অনাছিষ্টি (সৃষ্টিছাড়া), অনাচার অশুভ অনামুখো (অশুভ, মুখ যার অশুভ) ৫ আ অভাব আলুনি (লবনের অভাব), আকাঁড়া, আধোয়া বাজে, নিকৃষ্ট আকাঠা, আগাছা ৬ আড় বক্র/ বাঁকা আড়চোখে (বাঁকা চোখে), আড়নয়নে আধা, প্রায় আড়পাগলা (আধা পাগলা), আড়ক্ষ্যাপা, আড়মোড়া বিশিষ্ট আড়গড়া (আস্তাবল), আড়কোলা, আড়কাঠি ৭ আন না আনকোরা (যা এখনো কোরা হয়নি, একদম নতুন) বিক্ষিপ্ত আনচান, আনমনা (মনের বিক্ষিপ্ত অবস্থা) ৮ আব অস্পষ্টতা আবছায়া (অস্পষ্ট ছায়া), আবডাল ৯ ইতি এ বা এর ইতিপূর্বে (পূর্বেই) , ইতিকর্তব্য পুরনো ইতিকথা (বহু পুরনো কথা), ইতিহাস ১০ ঊন (ঊনা) কম ঊনিশ (বিশ হতে ১ ঊন) , ঊনপাঁজুরে ১১ কদ্ নিন্দিত কদাকার (নিন্দিত/ কুৎসিত আকার) , কদবেল, কদর্য ১২ কু কুৎসিত/ অপকর্ষ কুঅভ্যাস (কুৎসিত/ খারাপ অভ্যাস), কুকথা, কুনজর, কুসঙ্গ,কুজন ১৩ নি নাই/ নেতি নিখুঁত (খুঁত নেই যার), নিখোঁজ, নিলাজ, নিভাঁজ, নিরেট ১৪ পাতি ক্ষুদ্র পাতিহাঁস (ক্ষুদ্র প্রজাতির হাঁস), পাতিশিয়াল, পাতিলেবু, পাতকুয়ো ১৫ বি ভিন্নতা/ নাই বা নিন্দনীয় বিপথ (ভিন্ন পথ), বিভূঁই, বিফল ১৬ ভর পূর্ণতা ভরপেট (পেটের ভর্তি/ পূর্ণ অবস্থা), ভরসাঁঝ, ভরপুর, ভরদুপুর, ভরসন্ধ্যে ১৭ রাম বড়/ উৎকৃষ্ট রামছাগল (বড় বা উৎকৃষ্ট প্রজাতির ছাগল), রামদা, রামশিঙ্গা, রামবোকা ১৮ স সঙ্গে সলাজ (লাজের সঙ্গে), সরব, সঠিক, সজোর, সপাট ১৯ সা উৎকৃষ্ট সাজিরা (উৎকৃষ্ট মানের এক প্রকার জিরা), সাজোয়ান ২০ সু উত্তম সুদিন (উত্তম দিন), সুনজর, সুখবর, সুনাম, সুকাজ ২১ হা অভাব হাভাতে (ভাতের অভাব), হাপিত্যেশ, হাঘরে

উক্তি পরিবর্তন: উক্তি প্রত্যক্ষ উক্তি পরোক্ষ উক্তি উক্তি পরিবর্তনের নিয়ম সর্বনাম ও কালসূচক পদের পরিবর্তন প্রশ্নবোধক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন আবেগসূচক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন উক্তি : কারো বক্তব্য বা কথাকেই উক্তি বলে। কোন বক্তা বা কথকের বাককর্ম বা কথাকেই বলা হয় উক্তি। উক্তি ২ প্রকার- প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তি : যে বাক্যে বক্তার কথা অবিকল উদ্ধৃত হয়, তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলে। প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার কথা উদ্ধরণ চিহ্ন (‘ ’/“ ”)-এর মধ্যে থাকে এবং বক্তার কথা উদ্ধৃত করার আগে কমা (,) ব্যবহার করা হয়। এগুলো দেখে সহজেই প্রত্যক্ষ উক্তি চেনা যায়। পরোক্ষ উক্তি : যে বাক্যে বক্তার কথা অন্যের জবানীতে পরিবর্তিত/রূপান্তরিত ভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে পরোক্ষ উক্তি বলে। পরোক্ষ উক্তিতে কোনো উদ্ধরণ চিহ্ন থাকে না, এবং প্রধম উদ্ধরণ চিহ্নে জায়গায় ‘যে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ পরোক্ষ উক্তিতেই ‘যে’ সংযোজক অব্যয়টি থাকে বলে একে দেখে পরোক্ষ উক্তি চেনা যেতে পারে। তবে ‘যে’ ছাড়াও অনেক পরোক্ষ উক্তি গঠিত হতে পারে। উক্তি পরিবর্তনের নিয়ম : [উক্তি পরিবর্তন অনেকটাই ইংরেজি Narration-এর নিয়ম অনুযায়ী করা হয়।] ১. উদ্ধরণি চিহ্ন (‘ ’/“ ”) তুলে দিতে হবে এবং প্রথম উদ্ধরণ চিহ্নের জায়গায় ‘যে’ সংযোজক অব্যয় বসাতে হবে। যেমন- প্রত্যক্ষ : আমি বললাম, ‘আমি খেলছি।’ পরোক্ষ : খোকন বললাম যে আমি খেলছি। ২. প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বনামের পরিবর্তন করতে হয়। যেমন- খোকন বলল, ‘আমি খেলছি।’ খোকন বলল যে খোকন খেলছে। খোকন বলল, ‘আমার বাবা কাজ করছে।’ খোকন বলল যে ওর বাবা কাজ করছে। খোকন ছোটনকে বলল, ‘তুমি খুব ভালো ছেলে।’ খোকন ছোটনকে বলল যে ছোটন খুব ভালো ছেলে। খোকন ছোটনকে বলল, ‘তোমার বাবা কাজ করছে।’ খোকন ছোটনকে বলল যে ছোটনের বাবা কাজ করছে। ৩. নিম্নোক্ত সর্বনাম ও কালসূচক পদগুলো উল্লিখিতভাবে পরিবর্তন করতে হবে : প্রত্যক্ষ উক্তিতে পরোক্ষ উক্তিতে প্রত্যক্ষ উক্তিতে পরোক্ষ উক্তিতে এই সেই গত কাল আগের দিন ইহা তাহা গত কল্য পূর্ব দিন এ সে ওখানে ঐখানে আজ সে দিন এখানে সেখানে আগামী কাল পর দিন এখন তখন আগামীকল্য পরবর্তী দিন যেমন- খোকন বলল, ‘কাল স্কুল ছুটি’। খোকন বলল যে পর দিন স্কুল ছুটি। খোকন বলল, ‘আমি এখনই খাব।’ খোকন বলল যে সে তখনই খাবে। ৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রিয়াপদের পরিবর্তন করতে হবে। যেমন- খোকন বলল, ‘আমি খাচ্ছি।’ খোকন বলল যে সে খাচ্ছে। খোকন বলল, ‘আমি এখনই আসছি।’ খোকন বলল যে সে তখনই যাচ্ছে। খোকন বলেছিল, ‘আমি খেলছি।’ খোকন বলেছিল যে সে খেলছিলো। তবে অনেক সময় ক্রিয়াপদকে কাল অনুযায় পরিবর্তন না করলেও চলে। খোকন বলেছিল, ‘শহরে খুব গরম পড়েছে’। খোকন বলেছিল যে শহরে খুব গরম পড়েছিল। অথবা, খোকন বলেছিল যে শহরে খুব গরম পড়েছে। খোকন বলেছিল, ‘আমি বাজারে যাচ্ছি।’ খোকন বলেছিল যে সে বাজারে যাচ্ছিলো। অথবা, খোকন বলেছিল যে সে বাজারে যাচ্ছে। ৫. প্রত্যক্ষ উক্তিতে কোন চিরন্তন সত্যের উদ্ধৃতি থাকলে উক্তির কালের কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন- খোকন বলেছিল, ‘সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে।’ খোকন বলেছিল যে সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। ৬. প্রশ্নবোধক, অনুজ্ঞাসূচক বা আবেগসূচক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন করতে হয় বাক্যের ভাব অনুযায়ী। যেমন- প্রশ্নবোধক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন- খোকন বলল, ‘আজ কি স্কুল ছুটি?’ খোকন জিজ্ঞাসা করল, আজ স্কুল ছুটি কি না। বাবা খোকনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার পরীক্ষার ফল দিয়েছে?’ বাবা খোকনকে জিজ্ঞাসা করলেন, খোকনদের পরীক্ষার ফল দিয়েছে কি না। অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন- খোকন বলল, ‘তোমরা আগামীকাল একবার এসো।’ খোকন তাদেরকে পরদিন একবার আসতে(বা যেতে) বলল। খোকন তার গৃহশিক্ষককে বলল, ‘দয়া করে ভেতরে আসুন।’ খোকন তার গৃহশিক্ষককে ভেতরে আসতে অনুরোধ করল। আবেগসূচক বাক্যের উক্তি পরিবর্তন- খোকন বলল, ‘বাঃ! পাখিটি তো চমৎকার।’ খোকন অবাক হয়ে/আনন্দের সাথে বলল যে, পাখিটি চমৎকার। খোকন বলল, ‘ইস! শীতে কতো মানুষই না কষ্ট পায়।’ খোকন দুঃখের সাথে বলল যে, শীতে অনেক মানুষ কষ্ট পায়। খোকন দুঃখের সাথে বলল, ‘শীতে আমরা কতোই না কষ্ট পাই।’ খোকন দুঃখের সাথে বলল যে শীতে তারা(খোকনরা) বড়/অনেক কষ্ট পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন *.‘তিনি বললেন, দয়া করে ভিতরে আসুন’- বাক্যটি কিসের উদাহরণ? (গ-২০১০-১১)

সংখ্যাবাচক শব্দ: সংখ্যাবাচক শব্দ: সংখ্যা বলতে গণনার ধারণা বোঝায়। যে সব শব্দ কোন বিশেষ্য পদ, অর্থাৎ কোন ব্যাক্তি বা বস্ত্ত বা কোন কিছুর সংখ্যার ধারণা প্রকাশ করে, তাকে সংখ্যাবাচক শব্দ বলে। যেমন- এক টাকা, দশটা গরম্ন, ইত্যাদি। প্রকারভেদ: সংখ্যাবাচক শব্দ ৪ প্রকার- ১. অঙ্কবাচক সংখ্যা ২. পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা ৩. ক্রম বা পূরণবাচক সংখ্যা ৪. তারিখবাচক সংখ্যা ১.অঙ্কবাচক সংখ্যা: কোন কিছুর সংখ্যা বা পরিমাণ অঙ্কে বা সংখ্যায় লিখলে তাকে বলে অঙ্কবাচক সংখ্যা। যেমন- ১ টাকা, ১০টি গরম্ন। অর্থাৎ, অঙ্কবাচক সংখ্যা হলো- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ইত্যাদি। ২.পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা :কোন কিছুর সংখ্যা বা পরিমাণ অঙ্কে না লিখে ভাষায় লিখলে তাকে পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা বলে। যেমন- এক টাকা, দশটি গরম্ন। অর্থাৎ,পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যাহলো- এক, দই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়, দশ, এগারো, বার, ইত্যাদি। পূর্ণসংখ্যার গুণবাচক সংখ্যা : পূর্ণসংখ্যার গুণবাচক সংখ্যা নিচে দেখানো হলো- এক গুণ = এক্কে। যেমন- সাতেক্কে সাত দুই গুণ = দু গুণে। যেমন- পাঁচ দু গুণে দশ তিন গুণ = তিরিক্কে। যেমন- তিন তিরিক্কে নয় চার গুণ = চার বা চৌকা। যেমন- চার চারে বা চৌকা ষোল পাঁচ গুণ = পাঁচা। যেমন-পাঁচ পাঁচা পঁচিশ ছয় গুণ = ছয়ে। যেমন- চার ছয়ে চবিবশ সাত গুণ = সাতা। যেমন- তিন সাতা একুশ আট গুণ = আটা। যেমন- আট আটা চৌষট্টি নয় গুণ = নং বা নয়। যেমন- সাত নং তেষট্টি দশ গুণ = দশং বা দশ। যেমন-দশ দশং একশ’ বিশ গুণ = বিশং বা বিশ। যেমন- তিন বিশং ষাট ত্রিশ গুণ = ত্রিশং বা ত্রিশ। যেমন- তিন ত্রিশং নববই পূর্ণসংখ্যার ন্যূনতা বা আধিক্য বাচক ‘সংখ্যা শব্দ’: পূর্ণসংখ্যার চেয়েও কম বা বেশি বোঝাতে কিছু সংখ্যাবাচক শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলোও সংখ্যার নির্দিষ্ট ধারণাকে বোঝায়। এবং কোন সংখ্যার সাহায্যে না লিখে এগুলোকে ভাষায় ব্যবহার করা হয় বলে এগুলোও পরিমাণ বা গণনাবাচক শব্দ। যেমন- (ক) ন্যূনতা বাচক সংখ্যা শব্দ চৌথা, সিকি বা পোয়া = এক এককের চারভাগের এক ভাগ তেহাই = এক এককের তিনভাগের এক ভাগ অর্ধ বা আধা = এক এককের দুইভাগের এক ভাগ আট ভাগের এক বা এক অষ্টমাংশ = এক এককের আটভাগের এক ভাগ এরকম, চার ভাগের তিন বা তিন চতুর্থাংশ, পাঁচ ভাগের এক বা এক পঞ্চমাংশ, ইত্যাদি। পোয়া = কোন এককের চার ভাগের তিন অংশকে তার পরবর্তী এককের পোয়া অংশ বলে। অর্থাৎ, (খ) আধিক্যবাচক সংখ্যা শব্দ সওয়া - দেড় -আধা কম দুই - আড়াই - আধা কম তিন - ৩.ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ: একই সারি, দল বা শ্রেণীতে অবস্থিত কোন ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্রম বা পর্যায় বোঝাতে যে সংখ্যাবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাকে ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ বলে। যেমন- প্রথম ছেলে, দশম গরম্ন। অর্থাৎ, ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ হলো- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, ইত্যাদি। ৪.তারিখবাচক শব্দ: বাংলা মাসের তারিখ বোঝাতে যে সংখ্যাবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাদের তারিখবাচক শব্দ বলে। যেমন- পহেলা বৈশাখ, চৌদ্দই ফাল্গুন। বাংলা তারিখবাচক শব্দের প্রথম চারটি (১-৪) হিন্দি নিয়মে গঠিত। বাকিগুলো অবশ্য বাংলার নিজস্ব নিয়মেই গঠিত হয়েছে। নিচে একটি ছকের মাধ্যমে অঙ্কবাচক, পরিমাণ বা গণনাবাচক, ক্রম বা পূরণবাচক ও তারিখবাচক শব্দগুলো দেখানো হলো- অঙ্ক বা সংখ্যা বাচক শব্দ পরিমাণ বা গণনা বাচক শব্দ ক্রম বা পূরণ বাচক শব্দ তারিখবাচক শব্দ ১ এক প্রথম পহেলা ২ দুই দ্বিতীয় দোসরা ৩ তিন তৃতীয় তেসরা ৪ চার চতুর্থ চৌঠা ৫ পাঁচ পঞ্চম পাঁচই ৬ ছয় ষষ্ঠ ছউই ৭ সাত সপ্তম সাতই ৮ আট অষ্টম আটই ৯ নয় নবম নউই ১০ দশ দশম দশই ১১ এগার একাদশ এগারই ১২ বার দ্বাদশ বারই ১৩ তের ত্রয়োদশ তেরই ১৪ চৌদ্দ চতুর্দশ চৌদ্দই ১৫ পনের পঞ্চদশ পনেরই ১৬ ষোল ষষ্ঠদশ ষোলই ১৭ সতের সপ্তদশ সতেরই ১৮ আঠার অষ্টাদশ আঠারই ১৯ উনিশ ঊনবিংশ উনিশই ২০ বিশ বিংশ বিশে ২১ একুশে একবিংশ একুশে *ছকটা ভালো করে দেখে কোনটি কোন শব্দ তা মনে রাখা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন *.‘চৌঠা’ কোন বাচক শব্দ (ঘ-২০০৯-১০)