Search This Blog
বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচন (পর্ব ৩): চ চুনকালি দেওয়া কলঙ্ক চক্ষুদান করা চুরি করা চশমখোর চক্ষুলজ্জাহীন চক্ষুলজ্জা সংকোচ চর্বিত চর্বণ পুনরাবৃত্তি চোখের বালি চক্ষুশূল চাঁদের হাট আনন্দের প্রাচুর্য চোখের পর্দা লজ্জা চিনির বলদ ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয় চোখ কপালে তোলা বিস্মিত হওয়া চামচিকের লাথি নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি চোখ টাটানো ঈর্ষা করা চিনির পুতুল শ্রমকাতর চোখে ধুলো দেওয়া প্রতারণা করা চুঁনোপুটি নগণ্য চোখের চামড়া লজ্জা চুলোয় যাওয়া ধ্বংস চোখের মণি প্রিয় চিনে/ছিনে জোঁক (নাছোড়বান্দা) ছ ছ কড়া ন কড়া সস্তা দর ছক্কা পাঞ্জা বড় বড় কথা বলা ছা পোষা অত্যন্ত গরিব ছিঁচ কাদুনে অল্পই কাঁদে এমন ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি ছিনিমিনি খেলা নষ্ট করা ছেলের হাতের মোয়া সামান্য বস্তু ছেলের হাতের মোয়া সহজলভ্য বস্তু ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম অর্জন জ জগাখিচুড়ি পাকানো গোলমাল বাধানো জলে কুমির ডাঙায় বাঘ* উভয় সঙ্কট জিলাপির প্যাঁচ কুটিলতা *সমার্থক বাগধারা : উভয় সঙ্কট, শাঁখের করাত ঝ ঝড়ো কাক বিপর্যস্ত ঝাঁকের কৈ এক দলভুক্ত ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান ঝোপ বুঝে কোপ মারা সুযোগ মত কাজ করা ট টনক নড়া চৈতন্যোদয় হওয়া টেকে গোঁজা আত্মসাৎ করা টাকার কুমির ধনী ব্যক্তি টুপভুজঙ্গ নেশায় বিভোর ঠ ঠাঁট বজায় রাখা অভাব চাপা রাখা ঠুঁটো জগন্নাথ অকর্মণ্য ঠোঁট কাটা বেহায়া ঠেলার নাম বাবাজি চাপে পড়ে কাবু ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় আদর্শহীনতার প্রাচুর্য ড ডুমুরের ফুল দুর্লভ বস্তু ডান হাতের ব্যাপার* খাওয়া ডাকের সুন্দরী খুবই সুন্দরী ডামাডোল গণ্ডগোল ডুমুরের ফুল** দুর্লভ *একই রকম বাগধারা : বাঁ হাতের ব্যাপার- ঘুষ গ্রহণ **সমার্থক বাগধারা : অমাবস্যার চাঁদ ঢ ঢাক ঢাক গুড় গুড় গোপন রাখার চেষ্টা ঢেঁকির কচকচি বিরক্তিকর কথা ঢাকের কাঠি* মোসাহেব, চাটুকার ঢি ঢি পড়া কলঙ্ক প্রচার হওয়া ঢাকের বাঁয়া অপ্রয়োজনীয় ঢিমে তেতালা মন্থর *সমার্থক বাগধারা : খয়ের খাঁ ত তালকানা বেতাল হওয়া তুলসী বনের বাঘ ভণ্ড তাসের ঘর ক্ষণস্থায়ী তুলা ধুনা করা দুর্দশাগ্রস্ত করা তামার বিষ অর্থের কু প্রভাব তুষের আগুন দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা তালপাতার সেপাই ক্ষীণজীবী তীর্থের কাক* প্রতীক্ষারত তিলকে তাল করা বাড়িয়ে বলা *একই রকম বাগধারা : ভূশণ্ডির কাক- দীর্ঘজীবী থ থ বনে যাওয়া স্তম্ভিত হওয়া থরহরি কম্প ভীতির আতিশয্যে কাঁপা দ দা-কুমড়া* ভীষণ শত্রুতা দেঁতো হাসি কৃত্তিম হাসি দহরম মহরম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দাদ নেওয়া প্রতিশোধ নেয়া দুধে ভাতে থাকা খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা দুকান কাটা বেহায়া দিনকে রাত করা সত্যকে মিথ্যা করা দুধের মাছি সু সময়ের বন্ধু দু মুখো সাপ দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী *সমার্থক বাগধারা : অহি-নকুল সম্বন্ধ ধ ধরাকে সরা জ্ঞান করা সকলকে তুচ্ছ ভাবা ধর্মের কল বাতাসে নড়ে সত্য গোপন থাকে না ধড়া-চূড়া সাজপোশাক ধর্মের ষাঁড় যথেচ্ছাচারী ধরাকে সরা জ্ঞান করা অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা ধরি মাছ না ছুঁই পানি কৌশলে কার্যাদ্ধার ন ননীর পুতুল শ্রমবিমুখ নামকাটা সেপাই* কর্মচ্যূত ব্যক্তি নয় ছয় অপচয় নথ নাড়া গর্ব করা নাটের গুরু মূল নায়ক নেই আঁকড়া একগুঁয়ে নাড়ি নক্ষত্র সব তথ্য নগদ নারায়ণ কাঁচা টাকা/ নগদ অর্থ নিমক হারাম অকৃতজ্ঞ নেপোয় মারে দই ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি নিমরাজি প্রায় রাজি *একই রকম বাগধারা : তালপাতার সেপাই- ক্ষীণজীবী প পটল তোলা মারা যাওয়া পুঁটি মাছের প্রাণ* যা সহজে মরে যায় পগার পার আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা বড় রকমের চুরি পটের বিবি সুসজ্জিত পুকুর চুরি পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা পত্রপাঠ অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে পোঁ ধরা অন্যকে দেখে একই কাজ করা পালের গোদা দলপতি পোয়া বারো অতিরিক্ত সৌভাগ্য পাকা ধানে মই অনিষ্ট করা প্রমাদ গোণা ভীত হওয়া পাখিপড়া করা বার বার শেখানো পায়াভারি অহঙ্কার পাততাড়ি গুটানো জিনিসপত্র গোটানো পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার পাথরে পাঁচ কিল সৌভাগ্য পরের ধনে পোদ্দারি অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয় *একই রকম বাগধারা : কৈ মাছের প্রাণ- যা সহজে মরে না ফ ফপর দালালি অতিরিক্ত চালবাজি ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া অল্পে কাতর ফুলবাবু বিলাসী ফোড়ন দেওয়া টিপ্পনী কাটা ফেউ লাগা আঠার মতো লেগে থাকা ব বক ধার্মিক ভণ্ড সাধু বাজখাঁই গলা অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা বইয়ের পোকা খুব পড়ুয়া বাড়া ভাতে ছাই অনিষ্ট করা বগল বাজানো আনন্দ প্রকাশ করা বায়াত্তরে ধরা বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো সহজে খুলে যায় এমন বিদ্যার জাহাজ অতিশয় পণ্ডিত বসন্তের কোকিল সুদিনের বন্ধু বিশ বাঁও জলে সাফল্যের অতীত বিড়াল তপস্বী ভণ্ড সাধু বিনা মেঘে বজ্রপাত আকস্মিক বিপদ বর্ণচোরা আম কপট ব্যক্তি বাঘের দুধ দুঃসাধ্য বস্তু বরাক্ষরে অলক্ষুণে বাঘের চোখ দুঃসাধ্য বস্তু বাজারে কাটা বিক্রি হওয়া বিসমিল্লায় গলদ শুরুতেই ভুল বালির বাঁধ অস্থায়ী বস্তু বুদ্ধির ঢেঁকি নিরেট মূর্খ বাঁ হাতের ব্যাপার* ঘুষ গ্রহণ ব্যাঙের আধুলি সামান্য সম্পদ বাঁধা গৎ নির্দিষ্ট আচরণ ব্যাঙের সর্দি অসম্ভব ঘটনা *একই রকম বাগধারা : ডান হাতের ব্যাপার- খাওয়া ভ ভরাডুবি সর্বনাশ ভাঁড়ে ভবানী নিঃস্ব অবস্থা ভস্মে ঘি ঢালা নিষ্ফল কাজ ভূতের ব্যাগার অযথা শ্রম ভাদ্র মাসের তিল প্রচণ্ড কিল ভূঁই ফোড় হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভানুমতীর খেল অবিশ্বাস্য ব্যাপার ভিজে বিড়াল কপটাচারী ভাল্লুকের জ্বর ক্ষণস্থায়ী জ্বর ভূশন্ডির কাক* দীর্ঘজীবী
বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচন (পর্ব ২): জীবন বন্দনা বিশিষ্টার্থক শব্দ কূপমণ্ডুক- আভিধানিক অর্থ- কুয়োর ব্যাঙ আলংকারিক অর্থ- সংকীর্ণমনা ব্যক্তি, বাইরের জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান নেই এমন ব্যক্তি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা ও প্রবাদ-প্রবচন অ অকাল কুষ্মাণ্ড অপদার্থ, অকেজো অষ্টরম্ভা ফাঁকি অক্কা পাওয়া মারা যাওয়া অথৈ জলে পড়া খুব বিপদে পড়া অগাধ জলের মাছ সুচতুর ব্যক্তি অকূল পাথার*** ভীষণ বিপদ অর্ধচন্দ্র গলা ধাক্কা অন্ধকারে ঢিল মারা আন্দাজে কাজ করা অন্ধের যষ্ঠি একমাত্র অবলম্বন অমৃতে অরুচি দামি জিনিসের প্রতি বিতৃষ্ণা অন্ধের নড়ি একমাত্র অবলম্বন অগস্ত্য যাত্রা চির দিনের জন্য প্রস্থান অগ্নিশর্মা নিরতিশয় ক্রুদ্ধ অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী সামান্য বিদ্যার অহংকার অগ্নিপরীক্ষা কঠিন পরীক্ষা অনধিকার চর্চা সীমার বাইরে পদক্ষেপ অগ্নিশর্মা ক্ষিপ্ত অরণ্যে রোদন নিষ্ফল আবেদন অগাধ জলের মাছ খুব চালাক অহি-নকুল সম্বন্ধ* ভীষণ শত্রুতা অতি চালাকের গলায় দড়ি বেশি চাতুর্যের পরিণাম অন্ধকার দেখা দিশেহারা হয়ে পড়া অতি লোভে তাঁতি নষ্ট লোভে ক্ষতি অমাবস্যার চাঁদ** দুর্লভ বস্তু অদৃষ্টের পরিহাস বিধির বিড়ম্বনা, ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা অনুরোধে ঢেঁকি গেলা অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি দেয়া *সমার্থক বাগধারা : দা-কুমড়া সম্পর্ক **সমার্থক বাগধারা : ডুমুরের ফুল ***সমার্থক বাগধারা : সখাত সলিলে আ আকাশ কুসুম অসম্ভব কল্পনা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি আকাশ পাতাল প্রভেদ, প্রচুর ব্যবধান আদায় কাঁচকলায় শত্রুতা আকাশ থেকে পড়া অপ্রত্যাশিত আদা জল খেয়ে লাগা প্রাণপণ চেষ্টা করা আকাশের চাঁদ আকাঙ্ক্ষিত বস্তু আক্কেল গুড়ুম হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত আগুন নিয়ে খেলা ভয়ঙ্কর বিপদ আমড়া কাঠের ঢেঁকি অপদার্থ আগুনে ঘি ঢালা রাগ বাড়ানো আকাশ ভেঙে পড়া ভীষণ বিপদে পড়া আঙুল ফুলে কলাগাছ অপ্রত্যাশিত ধনলাভ আমতা আমতা করা ইতস্তত করা, দ্বিধা করা আঠার আনা সমূহ সম্ভাবনা আটকপালে* হতভাগ্য আদায় কাঁচকলায় তিক্ত সম্পর্ক আঠার মাসের বছর দীর্ঘসূত্রিতা আহ্লাদে আটখানা খুব খুশি আলালের ঘরের দুলাল অতি আদরে নষ্ট পুত্র আক্কেল সেলামি নির্বুদ্ধিতার দণ্ড আকাশে তোলা অতিরিক্ত প্রশংসা করা আঙুল ফুলে কলাগাছ হঠাৎ বড়লোক আষাঢ়ে গল্প আজগুবি কেচ্ছা সমার্থক বাগধারা : ইঁদুর কপালে ই ইঁদুর কপালে* নিতান্ত মন্দভাগ্য ইলশে গুঁড়ি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ইঁচড়ে পাকা অকালপক্ব ইতর বিশেষ পার্থক্য *সমার্থক বাগধারা : আটকপালে উ উত্তম মধ্যম প্রহার উড়ে এসে জুড়ে বসা অনধিকারীর অধিকার উড়নচন্ডী অমিতব্যয়ী উজানে কৈ সহজলভ্য উভয় সংকট* দুই দিকেই বিপদ ঊনপাঁজুড়ে অপদার্থ উলু বনে মুক্ত ছড়ানো অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো উড়ো চিঠি বেনামি পত্র ঊনপঞ্চাশ বায়ু পাগলামি *সমার্থক বাগধারা : জলে কুমির ডাঙায় বাঘ, শাঁখের করাত এ এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো একই স্বভাবের একাদশে বৃহস্পতি সৌভাগ্যের বিষয়) এক চোখা পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট এক বনে দুই বাঘ প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী এক মাঘে শীত যায় না বিপদ এক বারই আসে না, বার বার আসে এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো একই দলভুক্ত এলোপাতাড়ি বিশৃঙ্খলা এলাহি কাণ্ড বিরাট আয়োজন এসপার ওসপার মীমাংসা ও ওজন বুঝে চলা অবস্থা বুঝে চলা ওষুধে ধরা প্রার্থিত ফল পাওয়া ক কচুকাটা করা নির্মমভাবে ধ্বংস করা কেঁচো খুড়তে সাপ বিপদজনক পরিস্থিতি কচু পোড়া অখাদ্য কই মাছের প্রাণ* যা সহজে মরে না কচ্ছপের কামড় যা সহজে ছাড়ে না কুঁড়ের বাদশা খুব অলস কলম পেষা কেরানিগিরি কাক ভূষণ্ডী দীর্ঘজীবী কলুর বলদ এক টানা খাটুনি কেতা দুরস্ত পরিপাটি কথার কথা গুরুত্বহীন কথা কাছা আলগা অসাবধান কাঁঠালের আমসত্ত্ব অসম্ভব বস্তু কাঁচা পয়সা নগদ উপার্জন কপাল ফেরা সৌভাগ্য লাভ কাঁঠালের আমসত্ত্ব অসম্ভব বস্তু কাকতাল আকস্মিক/দৈব যোগাযোগজাত ঘটনা কূপমণ্ডুক সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন, ঘরকুনো কত ধানে কত চাল হিসেব করে চলা কাঠের পুতুল নির্জীব, অসার কড়ায় গণ্ডায় পুরোপুরি কথায় চিঁড়ে ভেজা ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন কান খাড়া করা মনোযোগী হওয়া কান পাতলা সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ কানকাটা নির্লজ্জ কাছা ঢিলা অসাবধান কান ভাঙানো কুপরামর্শ দান কুল কাঠের আগুন তীব্র জ্বালা কান ভারি করা কুপরামর্শ দান কেঁচো খুড়তে সাপ সামান্য থেকে অসামান্য পরিস্থিতি কাপুড়ে বাবু বাহ্যিক সাজ কেউ কেটা সামান্য কেউ কেটা গণ্যমান্য কেঁচে গণ্ডুষ পুনরায় আরম্ভ কেঁচে গণ্ডুষ পুনরায় আরম্ভ কৈ মাছের প্রাণ যা সহজে মরে না *একই রকম বাগধারা : পুঁটি মাছের প্রাণ (যা সহজে মরে যায়) খ খয়ের খাঁ* চাটুকার খণ্ড প্রলয় ভীষণ ব্যাপার খাল কেটে কুমির আনা বিপদ ডেকে আনা *সমার্থক বাগধারা : ঢাকের কাঠি গ গড্ডলিকা প্রবাহ অন্ধ অনুকরণ গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা গদাই লস্করি চাল অতি ধীর গতি, আলসেমি গুরু মারা বিদ্যা যার কাছে শিক্ষা তারই উপর প্রয়োগ গণেশ উল্টানো উঠে যাওয়া, ফেল মারা গোকুলের ষাঁড় স্বেচ্ছাচারী লোক গলগ্রহ পরের বোঝা স্বরূপ থাকা গোঁয়ার গোবিন্দ নির্বোধ অথচ হঠকারী গরিবের ঘোড়া রোগ অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা গোল্লায় যাওয়া নষ্ট হওয়া, অধঃপাতে যাওয়া গরমা গরম টাটকা গোবর গণেশ মূর্খ গরজ বড় বালাই প্রয়োজনে গুরুত্ব গোলক ধাঁধা দিশেহারা গরু খোঁজা তন্ন তন্ন করে খোঁজা গোঁফ খেজুরে নিতান্ত অলস গরু মেরে জুতা দান বড় ক্ষতি করে সামান্য ক্ষতিপূরণ গোড়ায় গলদ শুরুতে ভুল গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল প্রাপ্তির আগেই আয়োজন গৌরচন্দ্রিকা ভূমিকা গা ঢাকা দেওয়া আত্মগোপন গৌরীসেনের টাকা বেহিসাবী অর্থ গায়ে কাঁটা দেওয়া রোমাঞ্চিত হওয়া গুড়ে বালি আশায় নৈরাশ্য গাছে তুলে মই কাড়া সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা ঘ ঘোড়ার ডিম অবাস্তব ঘাটের মরা অতি বৃদ্ধ ঘোড়া রোগ সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ ঘটিরাম আনাড়ি হাকিম ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো নিজ খরচে পরের বেগার খাটা ঘোড়ার ঘাস কাটা অকাজে সময় নষ্ট করা ঘর ভাঙানো সংসার বিনষ্ট করা
বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচন (পর্ব ১): বাগধারা : কোন শব্দ বা শব্দ-সমষ্টি বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অর্থের দিক দিয়ে যখন বৈশিষ্ট্যময় হয়ে ওঠে, তখন সে সকল শব্দ বা শব্দ-সমষ্টিকে বাগধারা বা বাক্যরীতি বলা হয় । [বাংলা ভাষার ব্যাকরণ : নবম-দশম শ্রেণী] আক্ষরিক অর্থ ছাপিয়ে যখন কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাগধারা বা বিশিষ্টার্থক শব্দ বলে । বাগধারা মূলত কথ্য ভাষার সম্পদ হলেও তা এখন আর কেবল কথ্য ভাষায় সীমাবদ্ধ নেই । সাহিত্যে তার বিচরণ এখন যত্রতত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেমন- জান খারাপ হাঁক দেওয়া পকেট শুকিয়ে যাওয়া বাজি মেরে দেওয়া [সৌদামিনী মালো; উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সংকলন] অর্থাৎ, একটি বা কয়েকটি শব্দ বাক্যে একত্রে ব্যবহৃত হয়ে যখন ঐ শব্দ বা শব্দগুচ্ছের সাধারণ অর্থ প্রকাশ না করে কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাদের বলা হয় বাগধারা বা বাক্যরীতি । প্রবাদ-প্রবচন : অনেকদিন ধরে লোকমুখে প্রচলিত জনপ্রিয় উক্তি যার মধ্যে সরলভাবে জীবনের কোনো গভীরতর সত্য প্রকাশ পায় সেগুলো প্রবাদ বা প্রবচন নামে অভিহিত হয়ে থাকে। কোনো স্বচ্ছন্দ, আন্তরিক কথাবার্তায় বা বর্ণনায় বক্তব্যকে চমকপ্রদ করে ইঙ্গিতময় করে তোলার ক্ষেত্রে সাধারণত প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার হয়ে থাকে। নতুন অর্থে এর ব্যবহার হয় না বললেই চলে। যেমন- পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে। বিলাত ঘুরে মক্কা যাওয়া দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো The nearest way to poor man’s heart is down their throat. [সৌদামিনী মালো; উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সংকলন] ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র হৈমন্তী সাহিত্যে খেলা বিলাসী কলিমদ্দি দফাদার সৌদামিনী মালো প্রবাদ-প্রবচন বাগধারা একটি তুলসী গাছের কাহিনী জীবন বন্দনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা ও প্রবাদ-প্রবচন ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র হৈমন্তী চাপা দেওয়া গোপন করা কানাকানি গোপন পরামর্শ কষিয়া মনোযোগ দিয়ে, উদ্যমের সঙ্গে, ভালোমতো চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া বা সন্দেহ দূর করা মন পাওয়া সম্মতি বা প্রীতি লাভ করা কানাকানি পড়িয়া যাওয়া গোপনে নিন্দা রটানো বাড়ন্ত বেড়ে উঠেছে এমন গা টেপাটেপি করা অন্যকে লুকিয়ে গায়ে হাত দিয়ে কোনো কিছুর প্রতি ইশারা বা ইঙ্গিত করা ঢাক পেটানো সগর্বে প্রচার করা বাজখাঁই কর্কশ ও উঁচু মাথা হেঁট হওয়া অপমানিত বা লজ্জিত হওয়া আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়া আকস্মিক বিপদে দিশেহারা হয়ে যাওয়া মাথা খাওয়া বিগড়ে দেওয়া, সর্বনাশ করা শিকায় তোলা স্থগিত রাখা, মুলতবি রাখা চুলায় দেওয়া গোল্লায় যেতে দেওয়া কানায় কানায় ভরিয়া ওঠা পুরোপুরি ভরা লজ্জার মাথা খাওয়া নির্লজ্জের মত আচরণ করা বুক ফাটিয়া যাওয়া শোকে হৃদয় বিদীর্ণ হওয়া সাহিত্যে খেলা রসাতলে গমন অধঃপাতে যাওয়া ডানায় ভর দিয়ে থাকা শূণ্যলোকে ভাসা উপরি পাওয়া বাড়তি আয় উপার্জন আকাশ-পাতাল প্রভেদ বিস্তর পার্থক্য বাজারে কাটা বিক্রি হওয়া মতিগতি ভাবগতিক, মনের ভাব দা-কুমড়া সম্বন্ধ নিদারুণ শত্রুতার সম্পর্ক, বৈরী সম্পর্ক জীবিতপ্রায় এক করতে আর অমৃতে অরুচি বিলাসী লাভের অঙ্কে শূণ্য ফলাফল একেবারেই লাভজনক না হওয়া কাঁটা দেওয়া বাধা সৃষ্টি করা বুক ফাটা হৃদয়বিদারক রসাতলে যাওয়া অধঃপাতে যাওয়া অকালকুষ্মাণ্ড অকর্মণ্য, অকেজো। পরিবারের অনিষ্টকারী ব্যক্তি পঞ্চমুখ প্রশংসামুখর হওয়া নাছোড়বান্দা উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মরিয়া হয়ে পিছু লেগে থাকে এমন লোক দোহাই মানা নজির দেখানো পাথর হয়ে যাওয়া স্তব্ধ হয়ে পড়া মাথা হেঁট করা লজ্জায় বা বিনয়ে মাথা নত করা কলিমদ্দি দফাদার পাক ধরা পেকে ওঠা, চুল দাড়ি ইত্যাদি সাদা হতে শুরু করা বাড় বাড়া স্পর্ধা হওয়া যাচ্ছে তাই যা ইচ্ছা তাই, অন্যায় বা অসংগত ব্যাপার, বিশ্রী, নিকৃষ্ট হাওয়া হওয়া উধাও হওয়া, অদৃশ্য হওয়া খতরনাক অবস্থা সংকটজনক অবস্থা অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায় মন্দ ভাগ্যের লোক সর্বত্রই নিরাশ হয় এলোপাথারি বিশৃঙ্খলভাবে সৌদামিনী মালো এক তিল দাঁড়ানো একটুখানি দাঁড়ানো মগজ দৌড়ানো বুদ্ধি শানানো। মস্তিষ্ক চালনা মোগলের সঙ্গে খানা খাওয়া বেকায়দায় পড়ে লাঞ্চনা ও অপমান সহ্য করা। তুলনীয় : পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে বিলাত ঘুরে মক্কা যাওয়া দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো জান খারাপ হাঁক দেওয়া পকেট শুকিয়ে যাওয়া বাজি মেরে দেওয়া [প্রবাদ-প্রবচন : অনেকদিন ধরে লোকমুখে প্রচলিত জনপ্রিয় উক্তি যার মধ্যে সরলভাবে জীবনের কোনো গভীরতর সত্য প্রকাশ পায় সেগুলো প্রবাদ বা প্রবচন নামে অভিহিত হয়ে থাকে। কোনো স্বচ্ছন্দ, আন্তরিক কথাবার্তায় বা বর্ণনায় বক্তব্যকে চমকপ্রদ করে ইঙ্গিতময় করে তোলার ক্ষেত্রে সাধারণত প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার হয়ে থাকে। নতুন অর্থে এর ব্যবহার হয় না বললেই চলে। যেমন- পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে। বিলাত ঘুরে মক্কা যাওয়া দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো The nearest way to poor man’s heart is down their throat. বাগধারা : আক্ষরিক অর্থ ছাপিয়ে যখন কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাগধারা বা বিশিষ্টার্থক শব্দ বলে। বাগধারা মূলত কথ্য ভাষার সম্পদ হলেও তা এখন আর কেবল কথ্য ভাষায় সীমাবদ্ধ নেই। সাহিত্যে তার বিচরণ এখন যত্রতত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেমন- জান খারাপ হাঁক দেওয়া পকেট শুকিয়ে যাওয়া বাজি মেরে দেওয়া] [প্রবাদ প্রবচন ও বাগধারা; ভাষা অনুশীলন; সৌদামিনী মালো] একটি তুলসী গাছের কাহিনী ভদ্রতার বালাই সাধারণ সৌজন্যবোধ পৃষ্ঠপ্রদর্শন পালানো দিনে দুপুরে ডাকাতি প্রকাশ্য প্রতারণা ও মিথ্যাচার। ডাকাতির মত। দুঃসাহসিক কাজ। তুলোধুনো হওয়া ধুনা তুলোর মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়া কলা দেখানো (আলংকারিক অর্থ) ফাঁকি দেওয়া মগের মুলুক (আলংকারিক অর্থ) অরাজক দেশ বা রাজ্য মুঘলাই কায়দা মাথায় খুন চড়া ভীষণ রেগে যাওয়া কড়িকাঠ গোনা চোখ টেপা ইশারা করা
কবিদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: কবির নাম ও কবিতা সাহিত্যে অবদান কাব্যগ্রন্থসমূহ মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) বঙ্গভাষা জন্ম- যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৩-১৪টি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন প্রথম সার্থক বাংলা মহাকাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন প্রথম সার্থক বাংলা নাটক রচনা প্রথম সার্থক বাংলা প্রহসন রচনা প্রথম বাংলা সনেট রচয়িতা কাব্যগ্রন্থ- মেঘনাদবধ কাব্য (মহাকাব্য) তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য বীরাঙ্গনা ব্রজাঙ্গনা চতুর্দশপদী কবিতাবলী নাটক- শর্মিষ্ঠা পদ্মাবতী কৃষ্ণকুমারী প্রহসন- একেই কি বলে সভ্যতা বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১-৭ আগস্ট ১৯৪১) (২৫ বৈশাখ ১২৬৮- ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) সোনার তরী জন্ম- কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১ম প্রকাশিত কাব্য- বনফুল (কবির ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত) নোবেল প্রাপ্তি- ১৯১৩, গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য বিশ্বের অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক কবি কাব্যগ্রন্থ- সোনার তরী চিত্রা বলাকা মানসী কল্পনা গীতাঞ্জলি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ- (গদ্য অংশে) কাজী নজরুল ইসলাম (২৫ মে ১৮৯৯-২৯ আগস্ট ১৯৭৬) (জন্ম : ১১ জৈষ্ঠ্য ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) জীবন বন্দনা জন্ম- (বর্তমান ভারতের) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে ডাকনাম- দুখু মিয়া, তারাখ্যাপা উপাধি- বিদ্রোহী কবি স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কবর- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে (‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই’- তাঁর রচিত গান অনুসারে) কাব্যগ্রন্থ- অগ্নিবীণা বিষের বাঁশি ছায়ানট প্রলয়-শিখা চক্রবাক সিন্ধু-হিন্দোল জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) পেঁচা পঞ্চপাণ্ডবের* অন্যতম কবি তাঁর মা- কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন বিখ্যাত কবি কবিতায় গ্রামবাংলার নিসর্গের অসামান্য ছবি এঁকেছেন রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতাকে বলেছেন- চিত্ররূপময় কবিতা বুদ্ধদেব বসু তাঁকে বলেছেন- নির্জনতম কবি কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয় (অনেকের মতে তিনি আত্মহত্যা করেন) রূপসী বাংলা ধূসর পাণ্ডুলিপি বনলতা সেন সাতটি তারার তিমির বেলা অবেলা কালবেলা অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৬) বাংলাদেশ পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম কবি* রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে থেকেও রবীন্দ্র-প্রভাব বর্জিত খসড়া (প্রথম কাব্য) একমুঠো মাটির দেয়াল অভিজ্ঞানবসন্ত পারাপার (পটভূমিতে ৪ মহাদেশ) পালাবদল (পটভূমিতে ৪ মহাদেশ) পুষ্পিত ইমেজ অমরাবতী ঘরে ফেরার দিন অনিঃশেষ জসীমউদদীন (১৯০৩-১৯৭৬) কবর উপাধি/পরিচিতি- পল্লীকবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তাঁর‘কবর’কবিতাটি প্রবেশিকা বাংলা সংকলেনে অন্তর্ভুক্ত হয় (প্রবেশিকা= এসএসসি/এন্ট্রান্স পরীক্ষা) নকশী কাঁথার মাঠ সোজন বাদিয়ার ঘাট বালুচর ধানখেত রঙিলা নায়ের মাঝি সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯) তাহারেই পড়ে মনে বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ স্বামী- সৈয়দ নেহাল হোসেন সাঁঝের মায়া মায়া কাজল কেয়ার কাঁটা উদাত্ত পৃথিবী আহসান হাবীব (১৯১৭-১৯৮৫) ধন্যবাদ রাত্রিশেষ (প্রথম কাব্যগ্রন্থ) ছায়াহরিণ সারাদুপুর আশায় বসতি মেঘ বলে চৈত্রে যাবো দুই হাতে দুই আদিম পাথর বিদীর্ণ দর্পণে মুখ ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪) পাঞ্জেরী ইসলামী রেনেসাঁসের কবি কাব্যগ্রন্থ- সাত সাগরের মাঝি (প্রথম কাব্য) সিরাজাম মুনীরা কাব্যনাট্য- নৌফেল ও হাতেম সনেটসংকলন- মুহূর্তের কবিতা কাহিনীকাব্য- হাতেম তায়ী সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-বর্তমান) আমার পূর্ব বাংলা জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন কাব্যগ্রন্থ- অনেক আকাশ একক সন্ধ্যায় বসন্ত সহসা সচকিত আমার প্রতিদিনের শব্দ সমুদ্রেই যা্বো গবেষণা ও প্রবন্ধ- কবি মধুসূদন রবীন্দ্র কাব্যবিচারের ভূমিকা কবিতার কথা ও অন্যান্য বিবেচনা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সতত স্বাগত শিল্পবোধ ও শিল্পচৈতন্য অনুবাদ- হুইটম্যানের কবিতা সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৯২৬-১৯৪৭) আঠারো বছর বয়স রবীন্দ্র-নজরুলোত্তর যুগের বিদ্রোহী তরুণ কবি সাম্যবাদী কবি মাত্র ২১ বছর বয়সে কবির অকালমৃত্যু হয় কাব্যগ্রন্থ- ছাড়পত্র ঘুম নেই পূর্বাভাস অন্যান্য রচনা- মিঠেকড়া অভিযান হরতাল শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০?) একটি ফটোগ্রাফ পঞ্চপাণ্ডব* পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বাংলাদেশের প্রধান কবি এক ফোঁটা কেমন অনল প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে রৌদ্র করোটিতে বিধ্বস্ত নীলিমা নিজ বাসভূমে বন্দী শিবির থেকে দুঃসময়ের মুখোমুখি ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বুক তার বাংলাদেশের হৃদয় পঞ্চপাণ্ডব*- রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের (ত্রিশের দশকের) ৫ জন প্রধান কবিকে একত্রে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়; তাঁরা হলেন- বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, জীবনানন্দ দাশ, অমিয় চক্রবর্তী ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত কবি কবিতার নাম ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত হায় আমি কি করিলাম নবীনচন্দ্র সেন মেঘনা কায়কোবাদ নিবেদন অক্ষয়কুমার বড়াল মানব বন্দনা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত শিশু যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত হাটে শাহাদাৎ হোসেন জাহাঁগীরের আত্মসমর্পণ গোলাম মোস্তফা ঈদ উৎসব আবদুল কাদির মুক্তি সূফী মোতাহার হোসেন ঝড় আবুল হোসেন বাজার দর আল মাহমুদ খড়ের গম্বুজ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানুষের মত কেউ নয় রফিক আজাদ আমার কৈশোর আবুল হাসান উচ্চারণগুলি শোকের
সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি (পর্ব ২ ও শেষ পর্ব): লেখকের নাম, জন্ম ও মৃত্যুসাল ও গল্প/রচনা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিভিন্ন রচনা: মুনীর চৌধুরী মানুষ (নাটক) রক্তাক্ত প্রাণ্তর (নাটক) (১৯২৫-১৯৭১) বাংলাদেশের আধুনিক নাটক ও নাট্য আন্দোলনের পথিকৃৎ নাটক- রক্তাক্ত প্রাণ্তর চিঠি দণ্ডকারণ্য পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য অনুবাদ নাটক- কেউ কিছু বলতে পারে না রূপার কৌটা মুখরা রমণী বশীকরণ প্রবন্ধ- মীর-মানস তুলনামূলক সমালোচনা বাংলা গদ্যরীতি জহির রায়হান (১৯৩৩-১৯৭২) একুশের গল্প আসল নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ জীবনমুখী সমাজসচেতন কথাসাহিত্যিক বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার উপন্যাস- হাজার বছর ধরে আরেক ফাল্গুন বরফ গলা নদী আর কতদিন গল্প- জহির রায়হানের গল্প সংগ্রহ চলচ্চিত্র- জীবন থেকে নেয়া ডকুমেন্টারি- স্টপ জেনোসাইড লেট দেয়ার বি লাইট পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য লেখক ও তাঁদের রচনা : লেখকের নাম রচনা মীর মশাররফ হোসেন কারবালা প্রান্তরে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী শিক্ষা মোজাম্মেল হক শাহনামা দীনেশচন্দ্র সেন পল্লীগীতিকায় প্রাচীন চিত্রপট অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুন্দর অসুন্দর এস. ওয়াজেদ আলী ধর্মের মহিমা কাজী আবদুল ওদুদ সভ্যতা কাজী মোতাহার হোসেন অসীমের সন্ধানে মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবন ও বৃক্ষ আবুল ফজল সভ্যতার সংকট মুহম্মদ আবদুল হাই ভাষার কথা শাহেদ আলী একই সমতলে আব্দুল্লাহ আল -মুতী পরিবেশের ভারসাম্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন
Subscribe to:
Posts (Atom)