সেলিনা হোসেনের জীবনীঃ
সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোশাররফ হোসেন, মাতার নাম মরিয়মন্নেসা বকুল। তিনি পিতামাতার চতুর্থ সন্তান। ১৯৬০-এর দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। এ পর্যন্ত বড়দের জন্যে তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা তেত্রিশ, ছোটদের পঁচিশ। সেলিনা হোসেনের লেখার জগত্ বাংলাদেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহঙ্কার ভাষা-আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা অর্জন করেছে। ইংরেজি, রুশ, ফরাসি, হিন্দি, জাপানি, কোরিয়ান, ফিনিশ, উর্দু, আরবি, মালে, মালায়লাম ইত্যাদি বেশ কয়েকটি ভাষায় তাঁর বেশকিছু গল্প ও উপন্যাস অনুদিত হয়েছে। বিদেশী বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উপন্যাস পাঠ্যসূচিভুক্ত হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হচ্ছেঃ হাঙর নদী গ্রেনেড, পোকামাকড়ের ঘরবসতি, নীল ময়ুরের যৌবন, গায়ত্রী সন্ধ্যা, পূর্ণছবির মগ্নতা, যমুনা নদীর মুশায়েরা, ভূমি ও কুসুম। একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ পেয়েছেন দেশের প্রধান প্রধান সমস্ত পুরস্কার। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সুরমা চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্মৃতি পুরস্কার (ভারত)। ২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসুচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। কর্মজীবনে তিনি বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন। এখন সার্বক্ষণিকভাবে লেখালেখি, নারী উন্নয়ন আর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন।