Search This Blog

বিপরীতার্থক শব্দ/ বিপরীত শব্দ (পর্ব ১): একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ বলে । *.সাধারণত শব্দের শুরুতে অ, অন, অনা, অপ, অব, দূর, ন, না, নি, নির প্রভৃতি উপসর্গগুলো যুক্ত করলে শব্দের অর্থ না-বাচক বা নিষেধবোধক অর্থে রূপান্তরিত হয় । তাই শব্দের বিপরীত শব্দ তৈরিতেও এই উপসর্গগুলো ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । যেমন- আগত–শব্দটির শুরুতে অন- উপসর্গটি যুক্ত হয়ে বিপরীত শব্দ হল- অনাগত । *.আবার যে সব শব্দের শুরুতে হ্যাঁ-বোধক উপসর্গ থাকে, তাদের শুরুর সেই উপসর্গের বদলে না-বোধক উপসর্গও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । যেমন- অনুরাগ- শব্দটি রাগ- শব্দমূলের পূর্বে অনু- উপসর্গ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে, যেখানে অনু- উপসর্গটি ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করেছে । এখন অনু-র পরিবর্তে বি- উপসর্গ ব্যবহার করলে, বিরাগ- শব্দে বি-উপসর্গটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে, এবং শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ উল্টে যায় । অর্থাৎ, ইতিবাচক অনু- উপসর্গের বদলে নেতিবাচক বি-উপসর্গের ব্যবহারে বিপরীত শব্দ গঠিত হল । *.তবে সাধারণত, শব্দের বিপরীত শব্দগুলো অর্থের দিক থেকে বিপরীত অর্থবোধক হয়; না-বোধক বা নেতিবাচক হয় না । তাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরকম কোন নিয়ম খাটে না । বরং অর্থের দিক থেকে যথাযথ বিপরীত শব্দটিই গৃহীত হয় । যেমন- আজ–কাল, অতীত- ভবিষ্যত, অধম- উত্তম, ইত্যাদি । কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ অ অকর্মক সকর্মক অজ্ঞ প্রাজ্ঞ অধিত্যকা উপত্যকা অক্ষম সক্ষম অতিকায় ক্ষুদ্রকায় অনন্ত সান্ত অগ্র পশ্চাৎ অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি অনুকূল প্রতিকূল অগ্রজ অনুজ অতীত ভবিষ্যত অনুগ্রহ নিগ্রহ অণু বৃহৎ অদ্য কল্য অগ্রজ অনুজ অচল সচল অধঃ ঊর্ধ্ব অনুরক্ত বিরক্ত অচলায়তন সচলায়তন অধম উত্তম অনুরাগ বিরাগ অচেতন সচেতন অধমর্ণ উত্তমর্ণ অনুলোম প্রতিলোম অলীক সত্য অশন অনশন অস্তগামী উদীয়মান অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ অসীম সসীম অস্তি নাস্তি/নেতি অহিংস সহিংস আ আকর্ষণ বিকর্ষণ আধার আধেয় আরোহণ অবরোহণ আকুঞ্চন প্রসারণ আপদ সম্পদ আর্দ্র শুষ্ক আগত অনাগত আবশ্যক অনাবশ্যক আর্য অনার্য আগমন প্রস্থান আবশ্যিক ঐচ্ছিক আলস্য শ্রম আজ কাল আবাদি অনাবাদি আলো আঁধার আত্ম পর আবাহন বিসর্জন আশীর্বাদ অভিশাপ আত্মীয় অনাত্মীয় আবির্ভাব তিরোভাব আসক্ত নিরাসক্ত আদি অন্ত আবির্ভূত তিরোহিত আসামি ফরিয়াদী আদিম অন্তিম আবিল অনাবিল আস্তিক নাস্তিক আদ্য অন্ত্য আবৃত উন্মুক্ত আস্থা অনাস্থা ই ইচ্ছুক অনিচ্ছুক ইদানীন্তন তদানীন্তন ইহকাল পরকাল ইতর ভদ্র ইষ্ট অনিষ্ট ইহলোক পরলোক ইতিবাচক নেতিবাচক ইহলৌকিক পারলৌকিক ঈ ঈদৃশ তাদৃশ ঈষৎ অধিক উ উক্ত অনুক্ত উত্তরায়ণ দক্ষিণায়ন উন্নত অবনত উগ্র সৌম্য উত্তাপ শৈত্য উন্নতি অবনতি উচ্চ নীচ উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ উন্নীত অবনমিত উজান ভাটি উত্থান পতন উন্নয়ন অবনমন উঠতি পড়তি উত্থিত পতিত উন্মুখ বিমুখ উঠন্ত পড়ন্ত উদয় অস্ত উন্মীলন নিমীলন উৎকৃষ্ট নিকৃষ্ট উদ্ধত বিনীত/ নম্র উপকর্ষ অপকর্ষ উৎকর্ষ অপকর্ষ উদ্বৃত্ত ঘাটতি উপচয় অপচয় উৎরাই চড়াই উদ্যত বিরত উপকারী অপকারী উত্তম অধম উদ্যম বিরাম উপকারিতা অপকারিতা উত্তমর্ণ অধমর্ণ উর্বর ঊষর উপচিকীর্ষা অপচিকীর্ষা উত্তর দক্ষিণ উষ্ণ শীতল ঊ ঊর্ধ্ব অধঃ ঊর্ধ্বগতি অধোগতি ঊষা সন্ধ্যা ঊর্ধ্বতন অধস্তন ঊর্ধ্বগামী অধোগামী ঊষর উর্বর ঋ ঋজু বক্র এ একান্ন পৃথগান্ন একাল সেকাল একূল ওকূল এখন তখন ঐ ঐকমত্য মতভেদ ঐশ্বর্য দারিদ্র্য ঐহিক পারত্রিক ঐক্য অনৈক্য ও ওস্তাদ সাকরেদ ঔ ঔদার্য কার্পণ্য ঔচিত্য অনৌচিত্য ঔজ্জ্বল্য ম্লানিমা ঔদ্ধত্য বিনয় ক কচি ঝুনা কুৎসিত সুন্দর কৃশাঙ্গী স্থূলাঙ্গী কদাচার সদাচার কুফল সুফল কৃষ্ণ শুভ্র/গৌর কনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ কুবুদ্ধি সুবুদ্ধি কৃষ্ণাঙ্গ শ্বেতাঙ্গ কপট সরল/অকপট কুমেরু সুমেরু কোমল কঠিন কপটতা সরলতা কুরুচি সুরুচি ক্রন্দন হাস্য কর্মঠ অকর্মণ্য কুলীন অন্ত্যজ ক্রোধ প্রীতি কল্পনা বাস্তব কুশাসন সুশাসন ক্ষণস্থায়ী দীর্ঘস্থায়ী কাপুরুষ বীরপুরুষ কুশিক্ষা সুশিক্ষা ক্ষীপ্র মন্থর কুঞ্চন প্রসারণ কৃতজ্ঞ অকৃতজ্ঞ/ কৃতঘ্ন ক্ষীয়মান বর্ধমান কুটিল সরল কৃপণ বদান্য কুৎসা প্রশংসা কৃশ স্থূল খ খ্যাত অখ্যাত খুচরা পাইকারি খেদ হর্ষ খ্যাতি অখ্যাতি গ গঞ্জনা প্রশংসা গূঢ় ব্যক্ত গৌণ মুখ্য গতি স্থিতি গুপ্ত প্রকাশিত গৌরব অগৌরব গদ্য পদ্য গৃহী সন্ন্যাসী গ্রামীণ নাগরিক গণ্য নগণ্য গ্রহণ বর্জন গ্রাম্য শহুরে গরল অমৃত গৃহীত বর্জিত গ্রাহ্য অগ্রাহ্য গরিমা লঘিমা গেঁয়ো শহুরে গরিষ্ঠ লঘিষ্ঠ গোপন প্রকাশ ঘ ঘাটতি বাড়তি ঘাত প্রতিঘাত ঘৃণা শ্রদ্ধা চ চক্ষুষ্মান অন্ধ চল অচল চিরায়ত সাময়িক চঞ্চল স্থির চলিত অচলিত/সাধু চ্যূত অচ্যূত চড়াই উৎরাই চিন্তনীয় অচিন্ত্য/অচিন্তনীয় চতুর নির্বোধ চুনোপুটি রুই-কাতলা ছ ছটফটে শান্ত জ জঙ্গম স্থাবর জল স্থল জোড় বিজোড় জড় চেতন জলে স্থলে জোয়ার ভাটা জটিল সরল জলচর স্থলচর জ্যোৎস্না অমাবস্যা জনাকীর্ণ জনবিরল জাতীয় বিজাতীয় জ্ঞাত অজ্ঞাত জন্ম মৃত্যু জাল আসল জ্ঞানী মূর্খ জমা খরচ জিন্দা মুর্দা জ্ঞেয় অজ্ঞেয় জরিমানা বকশিশ জীবন মরণ জ্যেষ্ঠা কনিষ্ঠা জাগ্রত ঘুমন্ত/সুপ্ত জীবিত মৃত জাগরণ ঘুম/সুপ্ত জৈব অজৈব ঠ ঠুনকো মজবুত ড ডুবন্ত ভাসন্ত ত তদীয় মদীয় তারুণ্য বার্ধক্য তীক্ষ্ণ স্থূল তন্ময় মন্ময় তিমির আলোক তীব্র মৃদু তস্কর সাধু তিরস্কার পুরস্কার তুষ্ট রুষ্ট তাপ শৈত্য তীর্যক ঋজু ত্বরিত শ্লথ দ দক্ষিণ বাম দুর্জন সুজন দৃঢ় শিথিল দণ্ড পুরস্কার দুর্দিন সুদিন দৃশ্য অদৃশ্য দাতা গ্রহীতা দুর্নাম সুনাম দেনা পাওনা দিবস রজনী দুর্বুদ্ধি সুবুদ্ধি দেশী বিদেশী দিবা নিশি/রাত্রি দুর্ভাগ্য সৌভাগ্য দোষ গুণ দিবাকর নিশাকর দুর্মতি সুমতি দোষী নির্দোষ দীর্ঘ হ্রস্ব দুর্লভ সুলভ দোস্ত দুশমন দীর্ঘায়ু স্বল্পায়ু দুষ্কৃতি সুকৃতি দ্বিধা নির্দ্বিধা/ দ্বিধাহীন দুঃশীল সুশীল দুষ্ট শিষ্ট দ্বৈত অদ্বৈত দুরন্ত শান্ত দূর নিকট দ্যুলোক ভূলোক দুর্গম সুগম দ্রুত মন্থর

বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ (পর্ব ২ ও শেষ পর্ব): যার কোন উপায় নেই- নিরুপায় যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয় যার আকার কুৎসিত- কদাকার যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু যার কিছু নেই- অকিঞ্চন যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা) যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা) যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা হনন/হত্যা করার ইচ্ছা- জিঘাংসা হরিণের চামড়া- অজিন হাতির ডাক- বৃংহতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন • ‘প্রতিধ্বনি ক্রমবিস্তার’-এর এক শব্দরূপ (ঘ-২০০০-০১) • যার আকার কুৎসিত (ঘ-২০০৩-০৪) • শত্রুকে দমন করে যে, তাকে এক শব্দে বলা হয়- (ঘ-২০০৩-০৪) • ‘পরকে প্রতিপালন করে যে’- এক কথায় হবে (ঘ-২০০৬-০৭) • ‘অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি’র বাক্য সংকোচণ (ঘ-২০০৮-০৯) • যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই’ কথাটিকে এক কথায় প্রকাশ করলে হবে (ঘ-২০০৯-১০) • যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে তাকে কী বলে? (ঘ-২০০৯-১০) • এক কথায় প্রকাশ কর- পান করার যোগ্য (ক-২০০৫-০৬) • অনেক কষ্টে যা অধ্যয়ন করা যায়- এক কথায় কী হবে? (ক-২০০৬-০৭) • এক কথায় প্রকাশ কর : যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে (ক-২০০৬-০৭) • অনেক কষ্টে যা অধ্যয়ন করা যায়- এক কথায় কী হবে? (ক-২০০৭-০৮) • ‘গম্ভীর ধ্বনি’- এর বাক্য সংকোচন? (গ-২০১০-১১) • শত্রুকে দমন করে যে, তাকে এক কথায় বলা হয়? (গ-২০০৮-০৯) • ‘দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ’- বাক্য সংকোচনে বলা যায়: (গ-২০০৫-০৬) • ‘অনসূয়া’ শব্দটি কোন বাক্যের সংকুচিত রূপ? (গ-২০০২-০৩) • ‘নির্মোক’ কোন শব্দগুচ্ছের সংকুচিত রূপ? (গ-২০০১-০২)

বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ (পর্ব ১): একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে । অর্থাৎ একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে । যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ এখানে হীরকরাজ- শব্দের মাধ্যমে হীরক দেশের রাজা- এই তিনটি পদের অর্থই সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে । এই তিনটি পদ একত্রে একটি বাক্যাংশ বা উপবাক্যও বটে । অর্থাৎ, হীরক দেশের রাজা- তিনটি পদ বা বাক্যাংশটির বাক্য সংকোচন হল- হীরকরাজ । কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ অহংকার নেই যার- নিরহংকার অশ্বের ডাক- হ্রেষা অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি- দক্ষ অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা- অনুসন্ধিৎসা অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে- অনুসন্ধিৎসু অপকার করবার ইচ্ছা- অপচিকীর্ষা অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃষ্যকারী অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয়- নাতিশীতোষ্ণ অবশ্য হবে/ঘটবে যা- অবশ্যম্ভাবী অতি দীর্ঘ নয় যা- নাতিদীর্ঘ অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য অগ্রে জন্মেছে যে- অগ্রজ অনুতে/পশ্চাতে/পরে জন্মেছে যে- অনুজ অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম অন্য উপায় নেই যার- অনন্যোপায় অনেকের মাঝে একজন- অন্যতম অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা আচারে নিষ্ঠা আছে যার- আচারনিষ্ঠ আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা যার- আত্মকেন্দ্রীক আকাশে চরে যে- খেচর আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ আট প্রহর যা পরা যায়- আটপৌরে আপনার রং লুকায় যে/যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতম্মন্য আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক ইতিহাস বিষয়ে অভিঞ্জ যিনি- ইতিহাসবেত্তা ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে- জিতেন্দ্রিয়ি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক ঈষৎ আমিষ/আঁষ গন্ধ যার- আঁষটে উপকার করবার ইচ্ছা- উপচিকীর্ষা উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন একই সময়ে বর্তমান- সমসাময়িক একই মায়ের সন্তান- সহোদর এক থেকে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয় কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য সহজে নিবারণ করা যায় না যা/কষ্টে নিবারণ করা যায় যা- দুর্নিবার সহজে লাভ করা যায় না যা/কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয় ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ কউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে গোপন করার ইচ্ছা- জুগুপ্সা চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত- চাক্ষুষ চৈত্র মাসের ফসল- চৈতালি জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত জানার ইচ্ছা- জিজ্ঞাসা জানতে ইচ্ছুক- জিজ্ঞাসু জ্বল জ্বল করছে যা- জাজ্বল্যমান জয় করার ইচ্ছা- জিগীষা জয় করতে ইচ্ছুক- জিগীষু জানু পর্যন্ত লম্বিত- আজানুলম্বিত তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী তীর ছোঁড়ে যে- তীরন্দাজ দিনে যে একবার আহার করে- একাহারী দীপ্তি পাচ্ছে যা- দীপ্যমান দু’বার জন্মে যে- দ্বিজ নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক নিজেকে যে বড়ো মনে করে- হামবড়া নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক প্রিয় বাক্য বলে যে নারী- প্রিয়ংবদা পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে- জাতিস্মর পান করার যোগ্য- পেয় পান করার ইচ্ছা- পিপাসা ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি- বৈজ্ঞানিক বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয় মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময় মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড় মন হরণ করে যা- মনোহর মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী যা দমন করা যায় না- অদম্য যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয় যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয় যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয় যা জলে চরে- জলচর যা স্থলে চরে- স্থলচর যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর যা বলা হয় নি- অনুক্ত যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত যা আঘাত পায় নি- অনাহত যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয় যা পানের অযোগ্য- অপেয় যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত যা বলা হয়েছে- উক্ত যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায় যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়

বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচন (পর্ব ৪ ও শেষ পর্ব): *একই রকম বাগধারা : তীর্থের কাক- প্রতীক্ষারত ম মগের মুল্লুক অরাজক দেশ মুখে দুধের গন্ধ অতি কম বয়স মণিকাঞ্চন যোগ উপযুক্ত মিলন মুস্কিল আসান নিষ্কৃতি মন না মতি অস্থির মানব মন মেনি মুখো লাজুক মড়াকান্না উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ মাকাল ফল অন্তঃসারশূণ্য মাছের মায়ের পুত্রশোক কপট বেদনাবোধ মিছরির ছুরি মুখে মধু অন্তরে বিষ মশা মারতে কামান দাগা সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন মুখে ফুল চন্দন পড়া শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ মুখ চুন হওয়া লজ্জায় ম্লান হওয়া মেছো হাটা তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত য যক্ষের ধন কৃপণের ধন যমের অরুচি যে সহজে মরে না র রত্নপ্রসবিনী সুযোগ্য সন্তানের মা রাবণের গুষ্টি বড় পরিবার রাঘব বোয়াল সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি রায় বাঘিনী উগ্র স্বভাবের নারী রাবণের চিতা চির অশান্তি রাজ যোটক উপযুক্ত মিলন রাশভারি গম্ভীর প্রকৃতির রাহুর দশা দুঃসময় রাই কুড়িয়ে বেল ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ রুই-কাতলা পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি রাজা উজির মারা আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প ল লগন চাঁদ ভাগ্যবান লাল বাতি জ্বালা দেউলিয়া হওয়া ললাটের লিখন অমোঘ ভাগ্য লাল হয়ে যাওয়া ধনশালী হওয়া লাল পানি মদ লেজে গোবরে বিশৃঙ্খলা লেফাফা দুরস্ত বাইরের ঠাট বজার রেখে চলেন যিনি শ শকুনি মামা কুটিল ব্যক্তি শিরে সংক্রান্তি বিপদ মাথার ওপর শাঁখের করাত* দুই দিকেই বিপদ শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া আলস্যে সময় নষ্ট করা শাপে বর অনিষ্টে ইষ্ট লাভ শরতের শিশির সুসময়ের বন্ধু শিকায় ওঠা স্থগিত শত্রুর মুখে ছাই কুদৃষ্টি এড়ানো শিঙে ফোঁকা মরা শ্রীঘর কারাগার শিবরাত্রির সলতে একমাত্র সন্তান *সমার্থক বাগধারা : উভয় সঙ্কট, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ ষ ষোল কলা পুরোপুরি ষাঁড়ের গোবর অযোগ্য ষোল আনা স সবুরে মেওয়া ফলে ধৈর্যসুফল মিলে সাতেও নয়, পাঁচেও নয় নির্লিপ্ত সরফরাজি করা অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি সাপের পাঁচ পা দেখা অহঙ্কারী হওয়া সাত খুন মাফ অত্যধিক প্রশ্রয় সোনায় সোহাগা উপযুক্ত মিলন সাত সতের নানা রকমের সাক্ষী গোপাল নিষ্ক্রিয় দর্শক সাপের ছুঁচো গেলা অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে কাজ করা সখাত সলিলে* ঘোর বিপদে পড়া সেয়ানে সেয়ানে চালাকে চালাকে সব শেয়ালের এক রা ঐকমত্য সবে ধন নীলমণি একমাত্র অবলম্বন *সমার্থক বাগধারা : অকূল পাথারে হ হাটে হাঁড়ি ভাঙা গোপন কথা প্রকাশ করা হাতের পাঁচ শেষ সম্বল হাতটান চুরির অভ্যাস হীরার ধার অতি তীক্ষ্ণবুদ্ধি হ য ব র ল বিশৃঙ্খলা হোমরা চোমরা গণ্যমান্য ব্যক্তি হাতুড়ে বদ্যি আনাড়ি চিকিৎসক হিতে বিপরীত উল্টো ফল হরিলুট অপচয় হাড় হদ্দ নাড়ি নক্ষত্র/সব তথ্য হস্তীমূর্খ বুদ্ধিতে স্থূল হালে পানি পাওয়া সুবিধা করা হাড়ে দুর্বা গজানো অত্যন্ত অলস হওয়া হাড় হাভাতে মন্দভাগ্য হরি ঘোষের গোয়াল বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন • ‘ভেরেণ্ডা ভাজা’ বাগধারাটির অর্থ- (ঘ-১৯৯৯-৯৮) • ‘মুখ তোলা’ বাক্যাংশের বিশিষ্ট অর্থ কি? (ঘ-১৯৯৯-২০০০) • ‘পান্তা ভাতে ঘি’ বাগবিধির অর্থ (ঘ-১৯৯৯-২০০০) • ‘মহাভারত অশুদ্ধ হওয়া’ বাগবিধির অর্থ (ঘ-২০০০-০১) • কোনটি প্রবচন? (ঘ-২০০০-০১) • ধরাকে সরা জ্ঞান করা • ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়া • পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে • দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো • ‘রত্নপ্রসবিনী’ শব্দের বিশিষ্টার্থ- (ঘ-২০০২-০৩) • ‘গরমা-গরম’ এর বিশিষ্টার্থ ? (ঘ-২০০৪-০৫) • ইঁদুর কপালে’ বাগধারাটির অর্থ (ঘ-২০০৫-০৬) • ‘নগদ নারায়ণ’ বাগধারাটির অর্থ (ঘ-২০০৬-০৭) • ‘টুপভুজঙ্গ’ বাগধারার অর্থ? (ঘ-২০০৮-০৯) • কোনটি প্রবাদ? (ঘ-২০০৮-০৯) • ধর্মের কল বাতাসে নড়ে • ‘নেপোয় মারে দই’- বাগবিধিটির অর্থ (ঘ-২০০৯-১০) • ‘লম্বা দেয়া’ বাগধারাটির অর্থ- (ঘ-২০১০-১১) • ‘কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো’- কী বোঝায়? (ক-২০০৫-০৬) • বাজারে কাটা’ বাগধারার অর্থ (ক-২০০৬-০৭) • ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ প্রবাদটির অর্থ- (ক-২০০৬-০৭) • ‘ভাঁড়ে ভবানী’ প্রবচনের অর্থ- (ক-২০০৭-০৮) • ‘সাক্ষীগোপাল’- এর অর্থ: (গ-২০০৯-১০) • ‘হায়রে আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া’- এ প্রবাদটির অর্থ: (গ-২০০৮-০৯) • ‘শিকায় তোলা’ বাগধারাটির অর্থ: (গ-২০০৮-০৯) • ‘ঢাক গুড়গুড়’-এর অর্থ: (গ-২০০৫-০৬) • ‘হচ্ছে হবে’ অর্থ: (গ-২০০৫-০৬) • আক্ষরিক অর্থ ছাপিয়ে যখন কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে আমরা বলি: (গ-২০০৫-০৬) • ‘রাবণের চিতা’- এর অর্থ: (গ-২০০৪-০৫) • ‘চাঁদের হাট’ অর্থ: (গ-২০০৪-০৫) • ‘হটিরাম’ বাগধারাটির অর্থ- (গ-২০০৩-০৪) • ‘ডামাডোল’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে (গ-২০০১-০২) • ‘বর্ণচোরা’ বাগধারাটির অর্থ হচ্ছে- (গ-২০০১-০২)

বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচন (পর্ব ৩): চ চুনকালি দেওয়া কলঙ্ক চক্ষুদান করা চুরি করা চশমখোর চক্ষুলজ্জাহীন চক্ষুলজ্জা সংকোচ চর্বিত চর্বণ পুনরাবৃত্তি চোখের বালি চক্ষুশূল চাঁদের হাট আনন্দের প্রাচুর্য চোখের পর্দা লজ্জা চিনির বলদ ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয় চোখ কপালে তোলা বিস্মিত হওয়া চামচিকের লাথি নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি চোখ টাটানো ঈর্ষা করা চিনির পুতুল শ্রমকাতর চোখে ধুলো দেওয়া প্রতারণা করা চুঁনোপুটি নগণ্য চোখের চামড়া লজ্জা চুলোয় যাওয়া ধ্বংস চোখের মণি প্রিয় চিনে/ছিনে জোঁক (নাছোড়বান্দা) ছ ছ কড়া ন কড়া সস্তা দর ছক্কা পাঞ্জা বড় বড় কথা বলা ছা পোষা অত্যন্ত গরিব ছিঁচ কাদুনে অল্পই কাঁদে এমন ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি ছিনিমিনি খেলা নষ্ট করা ছেলের হাতের মোয়া সামান্য বস্তু ছেলের হাতের মোয়া সহজলভ্য বস্তু ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম অর্জন জ জগাখিচুড়ি পাকানো গোলমাল বাধানো জলে কুমির ডাঙায় বাঘ* উভয় সঙ্কট জিলাপির প্যাঁচ কুটিলতা *সমার্থক বাগধারা : উভয় সঙ্কট, শাঁখের করাত ঝ ঝড়ো কাক বিপর্যস্ত ঝাঁকের কৈ এক দলভুক্ত ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান ঝোপ বুঝে কোপ মারা সুযোগ মত কাজ করা ট টনক নড়া চৈতন্যোদয় হওয়া টেকে গোঁজা আত্মসাৎ করা টাকার কুমির ধনী ব্যক্তি টুপভুজঙ্গ নেশায় বিভোর ঠ ঠাঁট বজায় রাখা অভাব চাপা রাখা ঠুঁটো জগন্নাথ অকর্মণ্য ঠোঁট কাটা বেহায়া ঠেলার নাম বাবাজি চাপে পড়ে কাবু ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় আদর্শহীনতার প্রাচুর্য ড ডুমুরের ফুল দুর্লভ বস্তু ডান হাতের ব্যাপার* খাওয়া ডাকের সুন্দরী খুবই সুন্দরী ডামাডোল গণ্ডগোল ডুমুরের ফুল** দুর্লভ *একই রকম বাগধারা : বাঁ হাতের ব্যাপার- ঘুষ গ্রহণ **সমার্থক বাগধারা : অমাবস্যার চাঁদ ঢ ঢাক ঢাক গুড় গুড় গোপন রাখার চেষ্টা ঢেঁকির কচকচি বিরক্তিকর কথা ঢাকের কাঠি* মোসাহেব, চাটুকার ঢি ঢি পড়া কলঙ্ক প্রচার হওয়া ঢাকের বাঁয়া অপ্রয়োজনীয় ঢিমে তেতালা মন্থর *সমার্থক বাগধারা : খয়ের খাঁ ত তালকানা বেতাল হওয়া তুলসী বনের বাঘ ভণ্ড তাসের ঘর ক্ষণস্থায়ী তুলা ধুনা করা দুর্দশাগ্রস্ত করা তামার বিষ অর্থের কু প্রভাব তুষের আগুন দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা তালপাতার সেপাই ক্ষীণজীবী তীর্থের কাক* প্রতীক্ষারত তিলকে তাল করা বাড়িয়ে বলা *একই রকম বাগধারা : ভূশণ্ডির কাক- দীর্ঘজীবী থ থ বনে যাওয়া স্তম্ভিত হওয়া থরহরি কম্প ভীতির আতিশয্যে কাঁপা দ দা-কুমড়া* ভীষণ শত্রুতা দেঁতো হাসি কৃত্তিম হাসি দহরম মহরম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দাদ নেওয়া প্রতিশোধ নেয়া দুধে ভাতে থাকা খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা দুকান কাটা বেহায়া দিনকে রাত করা সত্যকে মিথ্যা করা দুধের মাছি সু সময়ের বন্ধু দু মুখো সাপ দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী *সমার্থক বাগধারা : অহি-নকুল সম্বন্ধ ধ ধরাকে সরা জ্ঞান করা সকলকে তুচ্ছ ভাবা ধর্মের কল বাতাসে নড়ে সত্য গোপন থাকে না ধড়া-চূড়া সাজপোশাক ধর্মের ষাঁড় যথেচ্ছাচারী ধরাকে সরা জ্ঞান করা অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা ধরি মাছ না ছুঁই পানি কৌশলে কার্যাদ্ধার ন ননীর পুতুল শ্রমবিমুখ নামকাটা সেপাই* কর্মচ্যূত ব্যক্তি নয় ছয় অপচয় নথ নাড়া গর্ব করা নাটের গুরু মূল নায়ক নেই আঁকড়া একগুঁয়ে নাড়ি নক্ষত্র সব তথ্য নগদ নারায়ণ কাঁচা টাকা/ নগদ অর্থ নিমক হারাম অকৃতজ্ঞ নেপোয় মারে দই ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি নিমরাজি প্রায় রাজি *একই রকম বাগধারা : তালপাতার সেপাই- ক্ষীণজীবী প পটল তোলা মারা যাওয়া পুঁটি মাছের প্রাণ* যা সহজে মরে যায় পগার পার আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা বড় রকমের চুরি পটের বিবি সুসজ্জিত পুকুর চুরি পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা পত্রপাঠ অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে পোঁ ধরা অন্যকে দেখে একই কাজ করা পালের গোদা দলপতি পোয়া বারো অতিরিক্ত সৌভাগ্য পাকা ধানে মই অনিষ্ট করা প্রমাদ গোণা ভীত হওয়া পাখিপড়া করা বার বার শেখানো পায়াভারি অহঙ্কার পাততাড়ি গুটানো জিনিসপত্র গোটানো পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার পাথরে পাঁচ কিল সৌভাগ্য পরের ধনে পোদ্দারি অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয় *একই রকম বাগধারা : কৈ মাছের প্রাণ- যা সহজে মরে না ফ ফপর দালালি অতিরিক্ত চালবাজি ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া অল্পে কাতর ফুলবাবু বিলাসী ফোড়ন দেওয়া টিপ্পনী কাটা ফেউ লাগা আঠার মতো লেগে থাকা ব বক ধার্মিক ভণ্ড সাধু বাজখাঁই গলা অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা বইয়ের পোকা খুব পড়ুয়া বাড়া ভাতে ছাই অনিষ্ট করা বগল বাজানো আনন্দ প্রকাশ করা বায়াত্তরে ধরা বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো সহজে খুলে যায় এমন বিদ্যার জাহাজ অতিশয় পণ্ডিত বসন্তের কোকিল সুদিনের বন্ধু বিশ বাঁও জলে সাফল্যের অতীত বিড়াল তপস্বী ভণ্ড সাধু বিনা মেঘে বজ্রপাত আকস্মিক বিপদ বর্ণচোরা আম কপট ব্যক্তি বাঘের দুধ দুঃসাধ্য বস্তু বরাক্ষরে অলক্ষুণে বাঘের চোখ দুঃসাধ্য বস্তু বাজারে কাটা বিক্রি হওয়া বিসমিল্লায় গলদ শুরুতেই ভুল বালির বাঁধ অস্থায়ী বস্তু বুদ্ধির ঢেঁকি নিরেট মূর্খ বাঁ হাতের ব্যাপার* ঘুষ গ্রহণ ব্যাঙের আধুলি সামান্য সম্পদ বাঁধা গৎ নির্দিষ্ট আচরণ ব্যাঙের সর্দি অসম্ভব ঘটনা *একই রকম বাগধারা : ডান হাতের ব্যাপার- খাওয়া ভ ভরাডুবি সর্বনাশ ভাঁড়ে ভবানী নিঃস্ব অবস্থা ভস্মে ঘি ঢালা নিষ্ফল কাজ ভূতের ব্যাগার অযথা শ্রম ভাদ্র মাসের তিল প্রচণ্ড কিল ভূঁই ফোড় হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভানুমতীর খেল অবিশ্বাস্য ব্যাপার ভিজে বিড়াল কপটাচারী ভাল্লুকের জ্বর ক্ষণস্থায়ী জ্বর ভূশন্ডির কাক* দীর্ঘজীবী