Search This Blog
শেখ মুজিবুর রহমান (পর্ব ২): রাজনৈতিক জীবনের সূচনা[সম্পাদনা] বঙ্গবন্ধুররাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল১৯৩৯সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। এ বছর স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তদানীন্তন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকএবং পরবর্তিতে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারীহোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী । তিনি স্কুলের ছাদ সংস্কারের দাবীর উপর ভিত্তি করে একটি দল নিয়ে তাদের কাছে যান যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজেই।১৯৪০ সালেনিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনেযোগ দেন। সেখানে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।১৯৪২সনে এনট্র্যান্স পাশ করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে(বর্তমান নামমাওলানা আজাদ কলেজ) আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরঅধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। এই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং অগ্রণী কাশ্মিরী বংশদ্ভুদ বাঙালি মুসলিম নেতা হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন।এখানে তার ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন। ১৯৪৩সনেবঙ্গীয় মুসলিম লীগেরকাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪৪সনে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে শেখ মুজিব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে তৈরি"ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের"সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৪৭সনে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর মুজিব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। ভারত ও পাকিস্তান পৃথক হওয়ার সময়ে কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়। এসময় মুজিব মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সোহরাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন। [৪] পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরআইন বিভাগে ভর্তি হন।১৯৪৮সালেরজানুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠা করেনপূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগযার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। এ সময় সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার নিম্নমানের উন্নয়নের জন্য এটিকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে মনে করতে থাকেন। প্রাথমিক রাজনৈতিক তৎপরতা [সম্পাদনা] ১৯৫০ সালে শেখ মুজিব রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন[সম্পাদনা] এই অনুচ্ছেদটিরনিরপেক্ষতানিয়েবিতর্করয়েছে। প্রাসঙ্গিক আলোচনাআলাপ পাতায় পাওয়া যেতে পারে। অনুগ্রহ করেবিতর্ক নিরসনহওয়ার আগ পর্যন্ত এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলবেন না। এই নিবন্ধটিতে কোনোউৎস বা তথ্যসূত্রউদ্ধৃতকরা হয়নি। দয়া করে উপযুক্তনির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রথেকেউৎস প্রদান করেনিবন্ধটিরমানোন্নয়নে সাহায্য করুন। (সাহায্যের জন্য দেখুন:যাচাইযোগ্যতা) নিবন্ধের যেসব অংশে সঠিক তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই, সেগুলি যেকোনো মুহূর্তে সরিয়ে ফেলা হতে পারে। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা ঘটে। ১৯৪৮সনেরফেব্রুয়ারি ২৩তারিখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন গণ-পরিষদের অধিবেশনে বলেন যে, উর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই মন্তব্যে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদী শেখ মুজিব অবিলম্বে মুসলিম লীগের এই পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। এই বছরের ২ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মিলনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয় যাতে শেখ মুজিব একটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। এখান থেকেই সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পরিষদের আহ্বানে ১১ মার্চ ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিবসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে সচিবালয় ভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ছাত্রসমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ১৫ মার্চ শেখ মুজিব এবং অন্য ছাত্র নেতাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। এদের মুক্তি উপলক্ষে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় র্যালি হয় যাতে মুজিব সভাপতিত্ব করেন। পুলিশ এই র্যালি অবরোধ করেছিল। পুলিশী কার্যক্রমের প্রতিবাদে শেখ মুজিব অবিলম্বে ১৭ মার্চ দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। ১৯ মার্চ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একটি আন্দোলন পরিচালনা করেন। এতে ১১ সেপ্টেম্বরে তাকে আবার আটক করা হয় এবং বহিষ্কৃত হন ।উল্লেখ্য ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর হৃত ছাত্রত্ব (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ফিরিয়ে দেয়া হয় । ১৯৪৯সালের ২১ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি আবার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবী আদায়ের আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন যার জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জরিমানা করা হয়। কিন্তু তিনি এই জরিমানাকে অবৈধ ঘোষণা করে তা আদায় থেকে বিরত থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ এপ্রিল মুসলিম লীগ বিরোধী প্রার্থী শামসুল হক টাঙ্গাইলে একটি উপ-নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু তার সেই আন্দোলনের সফলতার জন্য উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনের ধর্মঘট করেন যার জন্য তাকে আবার আটক করা হয়। এ সময়ই তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মাচারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান।
শেখ মুজিবুর রহমান (পর্ব ১): মার্চ ১৭,১৯২০–আগস্ট ১৫,১৯৭৫ ডাক নাম:বঙ্গবন্ধু জন্ম তারিখ:মার্চ ১৭,১৯২০ জন্মস্থান:টুঙ্গীপাড়া,গোপালগঞ্জ জেলা,বঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত মৃত্যু তারিখ:১৫ই আগস্ট,১৯৭৫ মৃত্যুস্থান:ঢাকা,বাংলাদেশ জীবনকাল:মার্চ ১৭১৯২০–আগস্ট ১৫১৯৭৫ আন্দোলন:বাংলা ভাষা আন্দোলন ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন স্মরণীয় অর্জন:জুলিও কুরি পুরস্কার[১] দাম্পত্য সঙ্গী:বেগম ফজিলাতুন্নেসা শেখ মুজিবুর রহমান(মার্চ ১৭,১৯২০-আগস্ট ১৫,১৯৭৫) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা যিনিপূর্ব পাকিস্তানথেকেবাংলাদেশপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীপ্রতিষ্ঠিতআওয়ামী লীগেরসভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি"শেখ মুজিব"এবং"শেখ সাহেব"হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি'বঙ্গবন্ধু'। তার কন্যাশেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭-এ ভারত বিভাগ পরবর্পূতী পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ মুজিব ছিলেন ছাত্রনেতা। ক্রমে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বের উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন। তার বড় গুণ ছিল তুখোড় বক্তৃতা প্রদানের ক্ষমতা।সমাজতন্ত্রেরপক্ষসমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তনের জনগোষ্ঠীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি একসময় ছয় দফা স্বায়ত্ত্বশাসন পরিকল্পনাপ্রস্তাব করেন যাকেপশ্চিম পাকিস্তানেএকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ছয় দফা দাবীর মধ্যে প্রধান ছিল বর্ধিত প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন যার কারণে তিনিআইয়ুব খানেরসামরিক শাসনের অন্যতম বিরোধী পক্ষে পরিণত হন।১৯৬৮খ্রিস্টাব্দেভারত সরকারেরসাথে যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তিনি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।১৯৭০খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। তথাপি তাকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয় নি। পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন বিষয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতিইয়াহিয়া খানএবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদজুলফিকার আলী ভুট্টোরসাথে শেখ মুজিবে আলোচনা বিফলে যাওয়ার পর ১৯৭১খ্রিষ্টাব্দেমার্চ ২৫মধ্যরাত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরেগণহত্যাপরিচালনা করে। একই রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীকালে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। রহিমুদ্দিন খান সামরিক আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে তবে তা কার্যকরা হয় নি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ীমুক্তিযুদ্ধশেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১০ এপ্রিল ১৯৭২ শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে ভিত্তি করে সংবিধান প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র চালনার চেষ্টা সত্ত্বেও তীব্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সর্বব্যাপী অরাজকতা এবং সেই সাথে ব্যাপক দুর্নীতি মোকাবেলায় তিনি কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দমনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি সকল দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নিজেকে আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এর সাত মাস পরে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন। পরিচ্ছেদসমূহ ১প্রাথমিক জীবন ১.১জন্ম ও শিক্ষা ১.২রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ২প্রাথমিক রাজনৈতিক তৎপরতা ২.১রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ২.২যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ৩পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান নেতা ৩.১ছয় দফা দাবী ৩.২আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ৩.৩উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ৪১৯৭০ এর নির্বাচন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ ৫বাংলাদেশের শাসন ৬বাকশাল ৭হত্যাকাণ্ড ৮সমালোচনা ও কৃতিত্ব ৯আত্মজীবনী ১০তথ্যসূত্র ১১বহিঃ সংযোগ প্রাথমিক জীবন [সম্পাদনা] ১৯৪৯ সনের ছাত্রনেতা, শেখ মুজিব জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা] শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়াগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২]তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন এবং মা'র নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। ১৯২৭সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন যখন তার বয়স সাত বছর। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন।১৯৩৪থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং এ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। [৩]১৯৩৮সনে আঠারো বছর বয়সে তার সাথে ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনাএবংশেখ রেহানা। আর পুত্রদের নামশেখ কামাল,শেখ জামাল এবংশেখ রাসেল।[৩]তিনজন পুত্রই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে আততায়ীর হাতে নিহত হন।
আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় বিষয় গুলোর একটি তালিকা তুলে ধরা হলো!!! 1.জাতীয়ভাষা : বাংলা। 2.জাতীয়সঙ্গীত : আমার সোনার বাংলা (প্রথম ১০ চরণ)। 3.জাতীয়পাখি : দোয়েল সাদা ও কালোর সংমিশ্রণ পাখিটির গায়ের রং । 4.জাতীয়ফুল : শাপলা (সাদা রঙের, পানিতে ভাসমান)। 5.জাতীয়পশু : রয়েল বেঙল টাইগার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেহে বাদামী বা হলুদ রঙের উপরে কালচে অথবা খয়েরি ডোরাকাটা দাগ থাকে। 6.জাতীয়বন : সুন্দরবন এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । 7.জাতীয়বৃক্ষ : আম গাছ 8.জাতীয়ফল : কাঁঠাল কাঁঠাল এক প্রকারের হলদে রঙের সুমিষ্ট গ্রীষম্কালীন ফল। 9.জাতীয়মাছ : ইলিশ 10.জাতীয়মসজিদ : বায়তুল মুকাররম এই মসজিদটি ঢাকায় অবস্থিত। 11.জাতীয়বিমানবন্দর : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর 12.জাতীয়গ্রন্হাগার : শেরে বাংলা নগর , আগারগাঁও , ঢাকা। 13.জাতীয় জাদুঘর :জাতীয়জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা জাদুঘরটি শাহবাগ মোড়ের সন্নিকটে পিজি হাসপাতাল , রমনাপার্ক ও চারুকলা ইন্সটিটিউটের পাশে অবস্থিত। 14.জাতীয় পতাকা : জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। 15.জাতীয়কবি : কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য-সঙ্গীত তথা সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ কবি নজরুল। 16.জাতীয়ধর্ম : ইসলাম 17.জাতীয়পার্ক : শহীদ জিয়া শিশু পার্ক রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পার্কটি তৈরি করেছে। 18.জাতীয়খেলা : কাবাডি কাবাডি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। 19.জাতীয়স্মৃতিসৌধ : সম্মিলিত প্রয়াস এটি সাভারে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে। 20.জাতীয়ও স্বাধীনতা দিবস : ২৬ মার্চ 21.জাতীয়ষ্টেডিয়াম : বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়াম এই ষ্টেডিয়াম ঢাকায় অবস্হিত। 22.জাতীয় প্রতীক উভয় পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পানিতে ভাসমানজাতীয়ফুল শাপলা। তার মাথায় পাট গাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা এবং উভয় পাশে দুটি করে তারকা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার নাম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডলার কানাডা ডলার অস্ট্রেলিয়া ডলার সিঙ্গাপুর ডলার হংকং ডলার জিম্বাবুয়ে ডলার নিউজিল্যান্ড ডলার গ্রানাডা ডলার গায়ানা ডলার বেলিজ ডলার জ্যামাইকা ডলার এন্টিগুয়া ও বারমুডা ডলার ব্রুনাই ডলার পূর্ব তিমুর ডলার (মার্কিন) যুক্তরাজ্য পাউন্ড ষ্টারলিং সাইপ্রাস পাউন্ড মিশর পাউন্ড লেবানন পাউন্ড সিরিয়া পাউন্ড আয়ারল্যান্ড ইউরো (পাউন্ড) লুক্সেমবার্গ ইউরো (ফ্রাংক) ফ্রান্স ইউরো (ফ্রাংক) বেলজিয়াম ইউরো (ফ্রাংক) ইতালি ইউরো (লিরা) অষ্ট্রিয়া ইউরো (শিলিং) জার্মানি ইউরো (ডয়েচ মার্ক) স্পেন ইউরো (পেসো) নেদারল্যান্ড ইউরো (গিল্ডার) ফিনল্যান্ড ইউরো (মার্ক) পর্তুগাল ইউরো (এসকুডো) গ্রিস ইউরো (ফ্রাংক) মাল্টা ইউরো সাইপ্রাস ইউরো স্লোভেনিয়া ইউরো সুইজারল্যান্ড ফ্রাংক মোনাকো ফ্রাংক বুরুন্ডি ফ্রাংক বেনিন ফ্রাংক মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ফ্রাংক ক্যামেরুন ফ্রাংক চাদ ফ্রাংক কঙ্গো ফ্রাংক আইভরি কোষ্ট ফ্রাংক গ্যারন ফ্রাংক মালাগাছি ফ্রাংক নাইজার ফ্রাংক রুয়ান্ডা ফ্রাংক সেনেগাল ফ্রাংক ভ্যাটিকান লিরা তুরস্ক লিরা কেনিয়া শিলিং তানজানিয়া শিলিং সোমালিয়া শিলিং উগান্ডা শিলিং ইয়েমেন রিয়েল সৌদি আরব রিয়েল ওমান রিয়েল কাতার রিয়েল ইরান রিয়েল আলজেরিয়া দিনার বাহারাইন দিনার কুয়েত দিনার তিউনিসিয়া দিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম মরক্কো দিরহাম ভারত রুপি পাকিস্তান রুপি শ্রীলংকা রুপি নেপাল রুপি ইন্দোনেশিয়া রুপাইয়া মালদ্বীপ রুপাইয়া ফিলিপাইন পেসো মেক্সিকো পেসো কলম্বিয়া পেসো উরুগুয়ে পেসো কিউবা পেসো আর্জেন্টিনা পেসো চিলি পেসো চেক প্রজাতন্ত্র কোরনা শ্লোভাক নিউকোরনা কোষ্টারিকা কোলন এল সালভাদর কোলন বুলগেরিয়া লেড রুমানিয়া লেড ডেনমার্ক ক্রোনার আইসল্যান্ড ক্রোনার নরওয়ে ক্রোনার সুইডেন ক্রোনার উত্তর কোরিয়া ওয়ান দক্ষিন কোরিয়া ওন ইরিত্রিয়া চির ইথিওপিয়া চির প্যারাগুয়ে ওয়ারানি মালয়েশিয়া রিংগিট রাশিয়া রুবল হাঙ্গেরি ফোরিন্ট ইসরায়েল শেকেল চীন ইউয়ান গুয়েতেমালা কুয়েট জাল কঙ্গো প্রজানন্ত্র জায়ারে মায়ানমার কিয়াট ব্রাজিল ক্রুজিরো পেরু ইনতি নিকারাগুয়া করডোবা পোল্যান্ড জোটি থাইল্যান্ড বাথ দক্ষিন আফ্রিকা রান্ড জাপান ইয়েন ভেনিজুয়েলা বলিভার ভিয়েতনাম ডং জাম্বিয়া কওয়াচা ভুটান গুলট্রাম বাংলাদেশ টাকা কাজাকিস্তান টেনজে
UNESCO Commemorative Medals Since 1966, UNESCO’s Philatelic and Numismatic Programme has issued two series of commemorative medals: World Heritage The first series illustrates remarkable monuments and sites of humanity’s cultural and natural heritage that are threatened with destruction, and UNESCO's efforts at an international level to save them. Some, like the Nubia and Borobudur campaigns, are among UNESCO’s biggest success stories in the preservation and restoration of monuments. Also included are other heritage sites that UNESCO wishes to highlight. Anniversaries and Historic Events The second series relates to anniversaries of outstanding persons and historic events. UNESCO has been given the task by its General Conference of focusing public attention on these dates, on the basis of proposals put forward by Member States, with the aim of contributing to better international understanding. Some 55 medals have been issued so far. With the exeption of a few, the medals are struck in gold, silver and bronze, most of them by the Paris Mint, and sold in a presentation box with a stand, only at theUNESCO Giftshop. We regret to inform you that we are unable to process mail orders and online sales.
Subscribe to:
Posts (Atom)