Search This Blog
বাক্যের শ্রেণীবিভাগ (পর্ব ২): আদেশ বাচক বাক্য : যে বাক্যে আদেশ করা হয়, তাকে আদেশ সূচক বাক্য বলে। যেমন- বের হয়ে যাও। ওখানে বসো। জানালা লাগাও। সবসময় দেশের কথা মাথায় রেখে কাজ করবে। গঠন অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণীবিভাগ গঠন অনুযায়ী বাক্য ৩ প্রকার- সরল বাক্য, জটিল বা মিশ্র বাক্য ও যৌগিক বাক্য। সরল বাক্য : যে বাক্যে একটি কর্তা বা উদ্দেশ্য ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন- পুকুরে পদ্ম ফোটে। (উদ্দেশ্য- পুকুরে, সমাপিকা ক্রিয়া- ফোটে) মা শিশুকে ভালোবাসে। (উদ্দেশ্য- মা, সমাপিকা ক্রিয়া- ভালোবাসে) ছেলেরা মাঠে খেলতে খেলতে হঠাৎ করে সবাই মিলে গাইতে শুরচ করলে বড়রা ওদেরকে আচ্ছামত বকে দিল। (উদ্দেশ্য- বড়রা, সমাপিকা ক্রিয়া- (বকে) দিল) (অন্য ক্রিয়াগুলোর সবগুলোই অসমাপিকা ক্রিয়া। তাই সেগুলো বাক্যের গঠনে কোনো প্রভাব ফেলে না।) সরল বাক্য চেনার সহজ উপায় হলো, সরল বাক্যে একটিই সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। কারণ, সরল বাক্যের ভেতরে কোন খণ্ডবাক্য বা একাধিক পূর্ণবাক্য থাকে না। জটিল বা মিশ্র বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে। জটিল বাক্যে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে। এদের মধ্যে একটি প্রধান থাকে, এবং অন্যগুলো সেই বাক্যের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি খ-বাক্যের পরে কমা (,) বসে। যেমন- যে পরিশ্রম করে,/ সে-ই সুখ লাভ করে। (প্রথম অংশটি আশ্রিত খণ্ডবাক্য, দ্বিতীয়টি প্রধান খণ্ডবাক্য) যত পড়বে,/ তত শিখবে,/ তত ভুলবে। (প্রথম দুটি অংশ আশ্রিত খণ্ডবাক্য, শেষ অংশটি প্রধান খণ্ডবাক্য) জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায় হল, এ ধরনের বাক্যে সাধারণত যে- সে, যত- তত, যারা- তারা, যাদের- তাদের, যখন- তখন - এ ধরনের সাপেক্ষ সর্বনাম পদ থাকে। দুইটি অব্যয় যদি অর্থ প্রকাশের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করে, তবে তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। আবার যদি- তবু, অথচ- তথাপি- এ রকম কিছু পরস্পর সাপেক্ষ সর্বনাম/অব্যয়ও জটিল/মিশ্র বাক্যে ব্যবহৃত হয়।তবে এ ধরনের অব্যয় ছাড়াও জটিল বা মিশ্র বাক্য হতে পারে। যৌগিক বাক্য : একাধিক সরল বাক্য কোন অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি। (সরল বাক্য দুটি- তার বয়স হয়েছে, তার বুদ্ধি হয়নি) সে খুব শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান। (সরল বাক্য দুটি- সে খুব শক্তিশালী, সে খুব বুদ্ধিমান) যৌগিক বাক্যে এবং, ও, আর, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি- এই অব্যয়গুলো দিয়ে দুটি সরল বাক্য যুক্ত হয়। এগুলো দেখে সহজেই যৌগিক বাক্যকে চেনা যেতে পারে। তবে কোন অব্যয় ছাড়াও দুটি সরল বাক্য একসঙ্গে হয়ে যৌগিক বাক্য গঠন করতে পারে। [একাধিক বাক্য বা খণ্ড বাক্য নিয়ে কোনো বাক্য তৈরি হলে এবং খণ্ড বাক্যগুলোর মধ্যে েপরস্পর নির্ভরতা থাকলে ঐ ধরনের বাক্যকে জটিল বাক্য বলে।] সরল-জটিল-যৌগিক বাক্যের রূপান্তর [বাক্য রূপান্তর :বাক্যের অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতিতে পরিবর্তন করাকেই বাক্য রূপান্তর বলা হয়। অর্থাৎ, বাক্য রূপান্তর করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, বাক্যের অর্থ যেন পাল্টে না যায়। বাক্যের অর্থ পাল্টে গেলে বাক্যটি অন্য বাক্যে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাক্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতি তথা রূপ (Form) পরিবর্তন করতে হবে, বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।] সরল থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর: সরল বাক্যের কোন একটি অংশকে সম্প্রসারিত করে একটি খন্ডবাক্যে রূপান্তরিত করতে হয় এবং তার খণ্ডবাক্যটির সঙ্গে মূল বাক্যের সংযোগ করতে উপরোক্ত সাপেক্ষ সর্বনাম বা সাপেক্ষ অব্যয়গুলোর কোনটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন- সরল বাক্য : ভাল ছেলেরা কম্পিউটারে বসেও ইন্টারনেটে পড়াশুনা করে। জটিল বাক্য : যারা ভাল ছেলে, তারা কম্পিউটারে বসেও ইন্টারনেটে পড়াশুনা করে। সরল বাক্য : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। জটিল বাক্য : যে ভিক্ষা চায়, তাকে ভিক্ষা দাও। জটিল থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর : জটিল বাক্যটির অপ্রধান/ আশ্রিত খণ্ডবাক্যটিকে একটি শব্দ বা শব্দাংশে পরিণত করে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন- জটিল বাক্য : যত দিন বেঁচে থাকব, এ কথা মনে রাখব। সরল বাক্য : আজীবন এ কথা মনে রাখব। জটিল বাক্য : যদি দোষ স্বীকার কর তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না। সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না। সরল থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর: সরল বাক্যের কোন অংশকে সম্প্রসারিত করে একটি পূর্ণ বাক্যে রূপান্তরিত করতে হয় এবং পূর্ণ বাক্যটির সঙ্গে মূল বাক্যের সংযোগ করতে উপরোক্ত অব্যয়গুলো ব্যবহার করতে হবে। যেমন- সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না। যৌগিক বাক্য : দোষ স্বীকার কর, তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না। (এক্ষেত্রে ‘তাহলে’ অব্যয়টি ব্যবহার না করলেও চলতো) সরল বাক্য : আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি। যৌগিক বাক্য : আমি বহু কষ্ট করেছি এবং/ ফলে শিক্ষা লাভ করেছি। যৌগক থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর: যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। অন্যদিকে সরল বাক্যে একটিই সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। তাই যৌগিক বাক্যের একটি সমাপিকা ক্রিয়াকে অপরিবর্তিত রেখে বাকিগুলোকে সমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত করতে হবে। যৌগিক বাক্যে একাধিক পূর্ণ বাক্য থাকে এবং তাদের সংযোগ করার জন্য একটি অব্যয় পদ থাকে। সেই অব্যয়টি বাদ দিতে হবে। যেমন- যৌগিক বাক্য : তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি। (সমাপিকা ক্রিয়া- হয়েছে, হয়নি) সরল বাক্য : তার বয়স হলেও বুদ্ধি হয়নি। (‘হয়েছে’ সমাপিকা ক্রিয়াকে ‘হলেও’ অসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়েছে) যৌগিক বাক্য : মেঘ গর্জন করে, তবে ময়ূর নৃত্য করে। (সমাপিকা ক্রিয়া- করে ও করে) সরল বাক্য : মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে। (‘করে’ সমাপিকা ক্রিয়াকে ‘করলে’ অসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়েছে) [সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া; ক্রিয়াপদ]
বাক্যের শ্রেণীবিভাগ (পর্ব ১): প্রকাশভঙ্গি অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণীবিভাগ বাক্যের প্রকাশভঙ্গির ভিত্তিতে বাক্যকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- বিবৃতিমূলক বাক্য: কোন কিছু সাধারণভাবে বর্ণনা করা হয় যে বাক্যে, তাকে বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। বিবৃতিমূলক বাক্য ২ প্রকার। ক) অস্তিবাচক বাক্য/ হাঁ বাচক বাক্য :যে বাক্যে সমর্থনের মাধ্যমে কোন কিছু বর্ণনা করা হয়, তাকে অস্তিবাচক বাক্য বা হাঁ বাচক বলে। যে বাক্যে হাঁ বাচক শব্দ থাকে, তাকে হাঁ বাচক বা অস্তিবাচক বাক্য বলে। যেমন- তুমি কালকে আসবে। আমি ঢাকা যাব। [সদর্থক বা অস্তিবাচক বাক্য : এতে কোনো নির্দেশ, ঘটনার সংঘটন বা হওয়ার সংবাদ থাকে। যেমন : বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা জিতেছে। আজ দোকানপাট বন্ধ থাকবে। ভাষা অনুশীলন; হৈমন্তী] খ) নেতিবাচক বাক্য/ না বাচক বাক্য :যে বাক্যে অসমর্থনের মাধ্যমে কোন কিছু বর্ণনা করা হয়, তাকে নেতিবাচক বাক্য বা না বাচক বলে। যে বাক্যে না বাচক শব্দ থাকে, তাকে নেতিবাচক বাক্য বা না বাচক বাক্য বলে। যেমন- তুমি কালকে আসবে না। আমি ঢাকা যাব না। [নেতিবাচক বা নঞর্থক বাক্য : এ ধরনের বাক্যে কোন কিছু হয় না বা ঘটছে না- নিষেধ, আকাঙ্ক্ষা, অস্বীকৃতি ইত্যাদি সংবাদ কিংবা ভাব প্রকাশ করা যায়। যেমন : আজ ট্রেন চলবে না। আপনি আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। অস্তিবাচক- নেতিবাচক বাক্যের রূপান্তর [বাক্য রূপান্তর :বাক্যের অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতিতে পরিবর্তন করাকেই বাক্য রূপান্তর বলা হয়। অর্থাৎ, বাক্য রূপান্তর করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, বাক্যের অর্থ যেন পাল্টে না যায়। বাক্যের অর্থ পাল্টে গেলে বাক্যটি অন্য বাক্যে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাক্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতি তথা রূপ (Form) পরিবর্তন করতে হবে, বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।] অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের কৌশল ক) বিশেষণ পদের বিপরীত শব্দ ব্যবহার করে অনেক অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন- অস্তিবাচক বাক্য : তুমি খুব ভাল। নেতিবাচক বাক্য : তুমি মোটেও খারাপ নও। (ভাল- খারাপ) খ) ‘না করলেই নয়’, ‘না করে পারবো না’ ইত্যাদি বাক্যাংশ যোগ করে অনেক অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন- অস্তিবাচক বাক্য : তুমি কালকে আসবে। নেতিবাচক বাক্য : তুমি কালকে না আসলেই নয়। অস্তিবাচক বাক্য : ইডিপিডিবিডি ওয়েবসাইটটি এতো ভাল, তুমি আবার ঢুকবেই। নেতিবাচক বাক্য : ইডিপিডিবিডি ওয়েবসাইটটি এতো ভাল, তুমি আবার না ঢুকে পারবেই না। গ) নতুন কোন বিপরীতার্থক বা নঞর্থক (না বোধক) শব্দ যোগ করে। যেমন- অস্তিবাচক বাক্য : সে বইয়ের পাতা উল্টাতে থাকল। নেতিবাচক বাক্য : সে বইয়ের পাতা উল্টানো বন্ধ রাখলো না। নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরের কৌশল ক) বিশেষণ পদের বিপরীত শব্দ ব্যবহার করে অনেক নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন- নেতিবাচক বাক্য : সে ক্লাশে উপস্থিত ছিল না। অস্তিবাচক বাক্য : সে ক্লাশে অনুপস্থিত ছিল। খ) নেতিবাচক বাক্যের না বোধক বাক্যাংশকে কোন বিপরীতার্থক বিশেষণে রূপান্তর করেও অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন- নেতিবাচক বাক্য : দেবার্চনার কথা তিনি কোনদিন চিন্তাও করেন নি। অস্তিবাচক বাক্য : দেবার্চনার কথা তার কাছে অচিন্ত্যনীয় ছিল। নেতিবাচক বাক্য : এসব কথা সে মুখেও আনতে পারত না। অস্তিবাচক বাক্য : এসব কথা তার কাছে অকথ্য ছিল। গ) নতুন কোন অস্তিবাচক বিপরীতার্থক শব্দ যোগ করে। যেমন- নেতিবাচক বাক্য : মা জেগে দেখে খোকা তার পাশে নেই। অস্তিবাচক বাক্য : মা জেগে দেখে খোকা তার পাশে অনুপস্থিত। প্রশ্নসূচক বাক্য : যে বাক্যে কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা প্রকাশিত হয়, তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে। যেমন- তুমি কেমন আছ? প্রশ্নবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের কৌশল মূলত প্রশ্নবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক থেকে সরাসরি নেতিবাচক বাক্যে পরিণত করলেই নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরিত হয়ে যায়। কেবল প্রশ্নবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক হিসেবে কল্পনা করতে হয়। আর যেগুলো সরাসরি অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরিত হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে অস্তি-নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের নিয়মে নেতিবাচক করতে হয়। যেমন- প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে? নেতি : তুমি কালকে স্কুলে আসোনি। প্রশ্ন : ইডিপিডিবিডি ওয়েবসাইটটি কি পড়াশোনা করার জন্য খারাপ? নেতি : ইডিপিডিবিডি ওয়েবসাইটটি পড়াশোনা করার জন্য খারাপ না। প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখোনি? নেতি : তুমি ছবিটা না দেখে পারোনি। প্রশ্নবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর কিছু প্রশ্নবাচক বাক্যকে স্বাভাবিকভাবে সরাসরি অস্তিবাচক থেকে প্রশ্নবাচকে রূপান্তরিত করা যায়। আর যেগুলো সরাসরি রূপান্তর করলে নেতিবাচক হয়, সেগুলোকে নেতি থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরের নিয়মে অস্তিবাচক করতে হয়। যেমন- প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখোনি? অস্তি : তুমি ছবিটা দেখেছো। প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে? অস্তি : তুমি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে। অস্তি-নেতিবাচক (বিবৃতিমূলক) বাক্যকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তর বিবৃতিমূলক বাক্যে প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে সেগুলোকে বিপরীত বাক্যে (অস্তি হলে নেতি এবং নেতি হলে অস্তিবাচকে) সরাসরি রূপান্তর করলেই বাক্য রূপান্তর সম্পন্ন হয়। যেমন- বিবৃতি : তুমি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে। প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে : তুমি কি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে? প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে উপস্থিত ছিলে?/ তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে? বিবৃতি : তুমি ছবিটা দেখোনি। প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে : তুমি কি ছবিটা দেখোনি? প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখেছো? বিস্ময়সূচক বাক্য: যে বাক্যে আশ্চর্য হওয়ার অনুভূতি প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে। যেমন- সে কী ভীষণ ব্যাপার! ইচ্ছাসূচক বাক্য: যে বাক্যে শুভেচ্ছা, প্রার্থণা, আশীর্বাদ, আকাঙক্ষা প্রকাশ করা হয়, তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন- তোমার মঙ্গল হোক। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করচন। ভালো থেকো।
বচন: বচন পড়তে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি- পদ প্রকরণ বচন একবচন বহুবচন বহুবচন বোধক শব্দাংশের ব্যবহার বহুবচন বোধক শব্দের ব্যবহার বহুবচনের বিশেষ প্রয়োগ বিশেষ দ্রষ্টব্য সাবধানতা/ অশুদ্ধি সংশোধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন বচন:বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সংখ্যার ধারণা প্রকাশের উপায় বা সংখ্যাত্মক প্রকাশের উপায়কে বচন বলে। অর্থাৎ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ যে ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করছে বা বোঝাচ্ছে, সেই ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীর সংখ্যা, অর্থাৎ সেটি একসংখ্যক না একাধিক সংখ্যাক, তা বোঝানোর পদ্ধতিকেই বচন বলে। বচন ২ প্রকার- একবচন ও বহুবচন। একবচন:যখন কোন শব্দ দ্বারা কেবল একটি ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীকে বোঝান হয়, তখন তাকে একবচন বলে। যেমন- ছেলেটা, গরচটা, কলমটা, ইত্যাদি। বহুবচন:যখন কোন শব্দ দ্বারা একাধিক ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীকে বোঝান হয়, তখন তাকে বহুবচন বলে। যেমন- ছেলেগুলো, গরচগুলো, কলমগুলি, ইত্যাদি। কেবল বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বচনভেদ হয়। কখনোই বিশেষণ পদের বচনভেদ হয় না।কিন্তু কোন বিশেষণবাচক শব্দ যদি কোন বাক্যে বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন তা বিশেষ্য পদ হয়, এবং কেবল তখনই তার বচনভেদ হয়। [পদ প্রকরণ] বাংলায় বহুবচন বোঝানোর জন্য কতগুলো শব্দ বা শব্দাংশ (বিভক্তি) ব্যবহৃত হয়। এগুলোর অধিকাংশই এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। অর্থাৎ, বলা যায়, এগুলোর বেশিরভাগই তৎসম শব্দ বা শব্দাংশ। যেমন- রা, এরা, গুলা, গুলি, গুলো, দিগ, দের (শব্দাংশ বা বিভক্তি);সব, সকল, সমুদয়, কুল, বৃন্দ, বর্গ, নিচয়, রাজি, রাশি, পাল, দাম, নিকর, মালা, আবলি (শব্দ)। বহুবচন বোধক শব্দাংশের ব্যবহার ১.রা/এরা: শুধু উন্নত প্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে, অর্থাৎ মানুষ বা মনুষ্যবাচক শব্দের সঙ্গে ‘রা/এরা’ ব্যবহৃত হয়। সোজা কথায়, বস্ত্তবাচক শব্দের সঙ্গে ‘রা/এরা’ যুক্ত হয়। যেমন-ছাত্ররালেখাপড়া করে।শিক্ষকেরালেখাপড়া করান।তারাসবাই লেখাপড়া করতে ভালোবাসে। ২. গুলা/গুলি/গুলো: বস্ত্ত ও প্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে ‘গুলা/গুলি/গুলো’ যুক্ত হয়। যেমন-বানরগুলোদাঁত কেলাচ্ছে।অতগুলোআম কে খাবে?গুলিগুলোমুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিলো। বহুবচন বোধক শব্দের ব্যবহার ১. উন্নত প্রাণীবাচক বা ব্যক্তিবাচক শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত বহুবচন বোধক শব্দ- গণ-দেবগণ, নরগণ, জনগণ বৃন্দ-সুধীবৃন্দ, ভক্তবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, মন্ডলী-শিক্ষকমন্ডলী, সম্পাদকমন্ডলী বর্গ-পন্ডিত বর্গ, মন্ত্রি বর্গ ২. বস্তু ও প্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত বহুবচন বোধক শব্দ- কুল- পক্ষিকুল, বৃক্ষকুল,(ব্যতিক্রম- কবিকুল, মাতৃকুল) সকল- পর্বতসকল, মনুষ্যসকল সব- ভাইসব, পাখিসব সমূহ- বৃক্ষসমূহ, মনুষ্যসমূহ ৩. কেবলজন্তুবাচক শব্দেরসঙ্গে ব্যবহৃত বহুবচন বোধক শব্দ- পাল- গরচর পাল যূথ- পস্তিযূথ ৪. বস্তুবাচক বাঅপ্রাণীবাচক শব্দেরসঙ্গে ব্যবহৃত বহুবচন বোধক শব্দ- আবলি- পুস্তকাবলি গুচ্ছ- কবিতাগুচ্ছ দাম- কুসুমদাম নিকর- কমলনিকর পুঞ্জ- মেঘপুঞ্জ মালা- পর্বতমালা রাজি- তারকারাজি রাশি- বালিরাশি নিচয়- কুসুমনিচয় বহুবচনের বিশেষ প্রয়োগ ১. একবচন বোধক বিশেষ্য ব্যবহার করেও বহুবচন বোঝানো যেতে পারে। যেমন- সিংহ বনে থাকে। (সব সিংহ বনে থাকে বোঝাচ্ছে।) পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট হয়। (অনেক পোকার আক্রমণ বোঝাচ্ছে।) বাজারে লোক জমেছে। (অনেক লোক জমেছে বোঝাচ্ছে।) বাগানে ফুল ফুটেছে। (অনেক ফুল ফুটেছে বোঝাচ্ছে।) ২. একবচন বোধক বিশেষ্যের আগে বহুত্ব বোধক শব্দ, যেমন- অজস্র, অনেক, বিস্তর, বহু, নানা, ঢের ব্যবহার করেও বহুবচন বোঝানো যেতে পারে। যেমন- অজস্র লোক, অনেক ছাত্র, বিস্তর টাকা, বহু মেহমান, নানা কথা, ঢের খরচ, অঢেল টাকা, ইত্যাদি। ৩. বিশেষ্য পদ বা তার সম্পর্কে বর্ণনাকারী বিশেষণ পদের দ্বিত্ব প্রয়োগে, অর্থাৎ পদটি পরপর দুইবার ব্যবহার করেও বহুবচন বোঝানো যেতে পারে। যেমন- হাঁড়ি হাঁড়ি সন্দেশ, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, লাল লাল ফুল, বড় বড় মাঠ। ৪. বিশেষ নিয়মে সাধিত বহুবচন- মেয়েরা কানাকানি করছে।(‘মেয়েরা’ বলতে এখানে নির্দিষ্ট কিছু মেয়েদের বোঝাচ্ছে, যারা কানাকানি করছে।) এটাই করিমদের বাড়ি।(‘করিমদের’ বলতে এখানে করিমের পরিবারকে বোঝানো হচ্ছে।) রবীন্দ্রনাথরা প্রতিদিন জন্মায় না।(‘রবীন্দ্রনাথরা’ বলতে রবীন্দ্রনাথের মতো সাহিত্যিকদের বোঝানো হচ্ছে।) সকলে সব জানে না। ৫. কিছুবিদেশি শব্দেবাংলা ভাষার বহুবচনের পদ্ধতির পাশাপাশিবিদেশি ভাষার অনুকরণেওবহুবচন করা হয়ে থাকে। যেমন- বুজুর্গ- বুজুর্গাইন সাহেব- সাহেবান বিশেষ দ্রষ্টব্য : বহুবচন বোধক শব্দ ও শব্দাংশগুলোর অধিকাংশই সংস্কৃত। আর তাই এগুলো ব্যবহারের নিয়মও সংস্কৃত শব্দে বা তৎসম শব্দেই বেশি হয়। খাঁটি বাংলা শব্দে বা তদ্ভব শব্দে এসব নিয়ম সাধারণত মানা হয় না। আর আধুনিক বাংলা ভাষার চলিত রীতিতেও এ সকল নিয়ম প্রায়ই মানা হয় না। তদ্ভব শব্দের বহুবচনে ও আধুনিক চলিত রীতিতে বিশেষ্য ও সর্বনামের চলিত রীতিতে সহজ কয়েকটি শব্দ ও শব্দাংশ ব্যবহৃত হয়। এগুলো হল- শব্দাংশ- রা, এরা, গুলা, গুলো, দের শব্দ- অনেক, বহু, সব সাবধানতা/ অশুদ্ধি সংশোধন :একই সঙ্গে একাধিক/ একটির বেশি বহুবচন বোধক শব্দ ও শব্দাংশ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন- ‘সব মানুষেরা’ বললে তা ভুল হবে। বলতে হবে ‘সব মানুষ’ বা ‘মানুষেরা’। [অশুদ্ধি সংশোধন] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন ১. ‘ডালে ডালে কুসুম ভার’- এখানে ‘ভার’ কোন অর্থ প্রকাশ করছে (ঘ-২০০৩-০৪) ২. বহুবচনজ্ঞাপক শব্দবিভক্তি (ঘ-২০০৬-০৭) ৩. বহুবচনজ্ঞাপক শব্দ (ঘ-২০০৮-০৯) ৪.কেবল অপ্রাণিবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচনবোধক শব্দ- (ঘ-২০১০-১১) ৫. ‘সংখ্যার ধারণা’ বলতে বোঝায়- (ঘ-২০১০-১১)
সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ: ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র শকুন্তলা যৌবনের গান কলিমদ্দি দফাদার সোনার তরী কবর ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র শকুন্তলা শর তীর/তৃণবিশেষ ধুম প্রাচুর্য, জাঁকজমক ষড় ছয় (৬) ধূম ধোঁয়া সর দুধের মালাই সুত পুত্র স্বর শব্দ, সুর সূত সারথি, জাত আবরণ আচ্ছাদন শিকার মৃগয়া আভরণ গহনা, অলংকার, ভূষণ স্বীকার মেনে নেওয়া, বরণ যৌবনের গান অন্ন ভাত পড়-পড় পড়ন্ত অন্য অপর পর পর একের পর এক আসা আগমন বাণী কথা, উক্তি আশা প্রত্যাশা, ভরসা বানি গয়না তৈরির মজুরি বেশি অনেক নিচ নিম্ন স্থান, বাড়ির নিম্নতল বেশী বেশধারী (ছদ্মবেশী) নীচ হীন, নিকৃষ্ট শব মৃতদেহ সকল সব, সমস্ত সব সমস্ত শকল মাছের আঁশ কলিমদ্দি দফাদার কাঁচা অপক্ব কাঁটা কণ্টক কাচা ধৈৗত করা কাটা কর্তন গাঁথা গেঁথে দেয়া গাঁ গ্রাম গাথা কাহিনী, কাহিনীকাব্য গা শরীর ঘাঁটি দাঁড়ি পূর্ণচ্ছেদ ঘাটি দাড়ি মাঝি বাঁক নদী বা পথের বাঁক বাঁধা বন্ধন বাক কথা বাধা প্রতিহত করা, রোধ করা কাঁদা ক্রন্দন গোঁড়া অন্ধ বা উগ্রভাবে সমর্থনকারী কাদা কর্দম গোড়া নিচের অংশ বাঁ বাম রোধ প্রতিরোধ, বাধা দেয়া বা অথবা, কিংবা রোদ রৌদ্র সোনার তরী বরশা কূল তীর, উপকূল বরষা বর্ষা, বৃষ্টি কুল বরই/জাত ক্ষুরধার প্রচণ্ড ধারালো ক্ষুরধারা ক্ষুরের মত ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত কবর সাড়া শব্দ বা ডাকের জবাব, প্রতিক্রিয়া শোনা শ্রবণ সারা সমগ্র, শেষ, আকুল সোনা স্বর্ণ দেড়ী দেড়গুণ জোড় যুগল দেরি বিলম্ব জোর বল, শক্তি, সামর্থ্য পাড়ি পারাপার পারি সমর্থ বা সক্ষম হই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন • সমার্থক শব্দজোড় শনাক্ত কর ? (ঘ-২০০৯-১০) সলিল, সলীল শ্মশ্রম্ন, শ্বশ্রূ সিঁথি, সিতি শ্বেত, সিত
সমার্থক শব্দ: যে সব শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে, তাদের সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ বলে । মূলত, রচনায় মাধুর্য সৃষ্টি বা রক্ষার জন্য রচনার বিভিন্ন জায়গায় একই অর্থবোধক একটি শব্দ ব্যবহার না করে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় । বিশেষত কবিতায় এবং কাব্যধর্মী গদ্যরচনায় এর প্রয়োজনীয়তা খুবই বেশি । গুরুত্বপূর্ণ শব্দ : রাত্রি, কপাল, গরু, লাল, পদ্ম, কোকিল, সাগর, নদী, ঘোড়া, সূর্য, চাঁদ, আলো, ঘর, বায়ু, পানি, পর্বত, পৃথিবী, বিদ্যুত, মেয়ে/স্ত্রী/কন্যা, মেঘ অগ্নি, হাতি, কপাল, সাহসী, নারী, সুগন্ধ্য, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমার্থক শব্দ অগ্নি অনল, পাবক, আগুন, দহন, সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি অন্ধকার আঁধার, তমঃ, তমিস্রা, তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম অতনু মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প আকাশ আসমান, অম্বর, গগন, নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ আলোক আলো, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা কপাল ললাট,ভাল,ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক কোকিল পরভৃত,পিক, বসন্তদূত কন্যা মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া গরু গো, গাভী,ধেনু ঘোড়া অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি,হয়,তুরঙ্গ, তুরঙ্গম ঘর গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান চক্ষু চোখ, আঁখি, অক্ষি, লোচন, নেত্র, নয়ন, দর্শনেন্দ্রিয় চন্দ্র চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত,মৃগাঙ্ক,রজনীকান্ত চুল চিকুর, কুন্তল, কেশ, অলক, জননী মা, মাতা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী, দিন দিবা, দিবস, দিনমান দেবতা অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অমর, অজর, ঠাকুর দ্বন্দ্ব বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ তীর কূল, তট, পাড়, সৈকত, পুলিন, ধার, কিনারা নারী রমণী, কামিনী, মহিলা, স্ত্রী, অবলা, স্ত্রীলোক, অঙ্গনা, ভাসিনী, ললনা, কান্তা, পত্নী, সীমন্তনী নদী তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী,শৈবালিনী,স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী নৌকা নাও, তরণী, জলযান, তরী পণ্ডিত বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ পদ্ম কমল,উৎপল,সরোজ,পঙ্কজ,নলিন,শতদল,রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক,অরবিন্দ,ইন্দীবর,পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ পৃথিবী ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল পর্বত শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র পানি জল, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয় পুত্র তনয়, সুত, আত্মজ, ছেলে, নন্দন পত্নী জায়া, ভার্যা, ভামিনী, স্ত্রী, অর্ধাঙ্গী, সহধর্মিণী, জীবন সাথী, বউ, দারা, বনিতা, কলত্র, গৃহিণী, গিন্নী পাখি পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ ফুল পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন বৃক্ষ গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ বন অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহন বায়ু বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ বিদ্যুত বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা মানুষ মানব, মনুষ্য, লোক, জন, নৃ, নর, মাটি ক্ষিতি, মৃত্তিকা, মেঘ জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর রাজা নরপতি, নৃপতি, ভূপতি, বাদশাহ রাত রাত্রি,রজনী, নিশি, যামিনী,শর্বরী,বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা শরীর দেহ, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ, অবয়ব সর্প সাপ, অহি, আশীবিষ, উরহ, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক স্ত্রী পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ, স্বর্ণ সোনা, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ স্বর্গ দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত সাহসী অভীক,নির্ভীক, সাগর সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব,জলধি,জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, পারাবার, বারীন্দ্র, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি সূর্য রবি,সবিতা,দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু,অর্ক,ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা হাত কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি হস্তী হাতি, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর, নাগ লাল লোহিত,রক্তবর্ণ ঢেউ তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরী, বীচি,মওজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন *.‘সুগন্ধ্য’র সমার্থক শব্দ (ঘ-১৯৯৯-২০০০) *.‘মার্জার’ এর সমার্থক শব্দ ? (ঘ-২০০২-০৩) বিড়াল *.রাত্রি’র সমার্থক শব্দ (ঘ-২০০২-০৩) *.‘হস্তী’র সমার্থক শব্দ- (ঘ-২০০৩-০৪) *.‘কপাল’ শব্দের সমার্থক শব্দ (ঘ-২০০৪-০৫) *.ধেনু শব্দের সমার্থক শব্দ (ঘ-২০০৫-০৬) *.‘জাঙ্গাল’ এর প্রতিশব্দ (ঘ-২০০৬-০৭) *.প্রতিশব্দদ্বয় (ঘ-২০০৮-০৯) লাল-লোহিত *.সমার্থক শব্দজোড় শনাক্ত কর ? (ঘ-২০০৯-১০) সলিল, সলীল *.শ্মশ্রম্ন, শ্বশ্রূ *.সিঁথি, সিতি *.শ্বেত, সিত *.কোনটি ভিন্নার্থক শব্দ? (ঘ-২০১০-১১) *.বৈশ্বানর *.প্রভঞ্জন *.পাবক *.কৃশানু *.সমার্থক শব্দগুচ্ছ নির্দেশ কর (ক-২০০৫-০৬) *.পঙ্কজ, উৎপল, শতদল, অরবিন্দ *.রামা, বামা, ধামা, কামিনী *.ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, তরঙ্গিনী *.ঘন, বারিদ, জলধর, তরল *.নিচের কোনটি জুঁই’-এর সমার্থক শব্দ? (ক-২০০৬-০৭) প্রসূন *.‘সাহসী’ শব্দের সমার্থক শব্দ- (ক-২০০৬-০৭) *.‘পরভৃত’ শব্দটির অর্থ- (ক-২০০৬-০৭) *.‘সমুদ্র’ ও ‘নদী’ শব্দ দুটির সমার্থক শব্দ যথাক্রমে- (ক-২০০৬-০৭) *.‘ঘোড়া’র সমার্থক শব্দ- (ক-২০০৬-০৭) *.‘সূর্য’ এর সমার্থক শব্দ কোনটি? (ক-২০০৭-০৮) *.‘সূর্য’ শব্দের প্রতিশব্দ হল- (ক-২০০৮-০৯) *.‘চাঁদ’ এর সমার্থক শব্দ (ক-২০০৯-১০) *.‘সমুদ্র’ শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি? (গ-২০১০-১১) *.‘চন্দ্র’ শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Subscribe to:
Posts (Atom)