Search This Blog

বিপরীতার্থক শব্দ/বিপরীত শব্দ (পর্ব ২ ও শেষ পর্ব): ধ ধনাত্মক ঋণাত্মক ধারালো ভোঁতা ধূর্ত বোকা ধনী নির্ধন/দরিদ্র ধামির্ক অধার্মিক ধৃত মুক্ত ধবল শ্যামল ন নতুন পুরাতন নিন্দা জাগরণ নির্মল মলিন নবীন নিন্দিত নিয়োগ বরখাস্ত নির্লজ্জ সলজ্জ নবীন প্রবীণ নিরক্ষর সাক্ষর নিশ্চয়তা অনিশ্চয়তা নর নারী নিরবলম্ব স্বাবলম্ব নীরস সরস নশ্বর অবিনশ্বর নিরস্ত্র সশস্ত্র নিশ্চেষ্ট সচেষ্ট নাবালক সাবালক নিরাকার সাকার নৈঃশব্দ্য সশব্দ নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নির্দয় সদয় নৈতিকতা অনৈতিকতা নিকৃষ্ট উৎকৃষ্ট নির্দিষ্ট অনির্দিষ্ট নৈসর্গিক কৃত্তিম নিত্য অনিত্য নির্দেশক অনির্দেশক ন্যায় অন্যায় ন্যূন অধিক প পক্ষ বিপক্ষ পূণ্যবান পূণ্যহীন প্রফুল্ল ম্লান পটু অপটু পুরস্কার তিরস্কার প্রবীণ নবীন পণ্ডিত মূর্খ পুষ্ট ক্ষীণ প্রবেশ প্রস্থান পতন উত্থান পূর্ণিমা অমাবস্যা প্রভু ভৃত্য পথ বিপথ পূর্ব পশ্চিম প্রশ্বাস নিঃশ্বাস পবিত্র অপবিত্র পূর্ববর্তী পরবর্তী প্রসন্ন বিষণ্ণ পরকীয় স্বকীয় পূর্বসূরী উত্তরসূরী প্রসারণ সংকোচন/আকুঞ্চন পরার্থ স্বার্থ পূর্বাহ্ণ অপরাহ্ণ প্রাচ্য প্রতীচ্য পরিকল্পিত অপরিকল্পিত প্রকাশিত অপ্রকাশিত প্রাচীন অর্বাচীন পরিশোধিত অপরিশোধিত প্রকাশ গোপন প্রতিকূল অনুকূল পরিশ্রমী অলস প্রকাশ্যে নেপথ্যে প্রায়শ কদাচিৎ পাপ পূণ্য প্রজ্জ্বলন নির্বাপণ প্রারম্ভ শেষ পাপী নিষ্পাপ প্রত্যক্ষ পরোক্ষ প্রীতিকর অপ্রীতিকর পার্থিব অপার্থিব প্রধান অপ্রধান ফ ফলন্ত/ফলনশীল নিস্ফলা ফলবান নিস্ফল ফাঁপা নিরেট ব বক্তা শ্রোতা বাধ্য অবাধ্য বিফল সফল বন্দনা গঞ্জনা বামপন্থী ডানপন্থী বিফলতা সফলতা বন্দী মুক্ত বাস্তব কল্পনা বিবাদ সুবাদ বদ্ধ মুক্ত বাল্য বার্ধক্য বিয়োগান্ত মিলনান্ত বন্ধন মুক্তি বাহুল্য স্বল্পতা বিয়োগান্তক মিলনান্তক বন্ধুর মসৃণ বাহ্য আভ্যন্তর বিরহ মিলন বন্য পোষা বিজেতা বিজিত বিলম্বিত দ্রুত বয়োজ্যেষ্ঠ বয়োকনিষ্ঠ বিদ্বান মূর্খ বিষাদ আনন্দ/ হর্ষ বরখাস্ত বহাল বিধর্মী স্বধর্মী বিস্তৃত সংক্ষিপ্ত বর্ধমান ক্ষীয়মান বিনয় ঔদ্ধত্য ব্যক্ত গুপ্ত বর্ধিষ্ণু ক্ষয়িষ্ণু বিনীত উদ্ধত ব্যর্থ সার্থক বহির্ভূত অন্তর্ভূক্ত বিপন্ন নিরাপদ ব্যর্থতা সার্থকতা বাদি বিবাদি বিপন্নতা নিরাপত্তা ব্যষ্টি সমষ্টি ভ ভক্তি অভক্তি ভাটা জোয়ার ভূত ভবিষ্যত ভদ্র ইতর ভাসা ডোবা ভূমিকা উপসংহার ভীরু নির্ভীক ভোগ ত্যাগ ভেদ অভেদ ম মঙ্গল অমঙ্গল মহাত্মা দুরাত্মা মুক্ত বন্দী মঞ্জুর নামঞ্জুর মানানসই বেমানান মুখ্য গৌণ মতৈক্য মতানৈক্য মান্য অমান্য মূর্খ জ্ঞানী মসৃণ খসখসে মিতব্যয়ী অমিতব্যয়ী মূর্ত বিমূর্ত মহৎ নীচ মিথ্যা সত্য মৌখিক লিখিত মহাজন খাতক মিলন বিরহ মৌলিক যৌগিক য যত্ন অযত্ন যুদ্ধ শান্তি যৌথ একক যশ অপযশ যোগ বিয়োগ যৌবন বার্ধক্য যুক্ত বিযুক্ত যোগ্য অযোগ্য যুগল একক যোজন বিয়োজন র রক্ষক ভক্ষক রাজি নারাজ রোদ বৃষ্টি রমণীয় কুৎসিত রুগ্ন সুস্থ রোগী নিরোগ রসিক বেরসিক রুদ্ধ মুক্ত রাজা প্রজা রুষ্ট তুষ্ট ল লঘিষ্ঠ গরিষ্ঠ লাজুক নির্লজ্জ লেন দেন লঘু গুরু লেজ মাথা লেনা দেনা লব হর লৌকিক অলৌকিক শ শঠ সাধু শিষ্ট অশিষ্ট শুষ্ক সিক্ত শঠতা সাধুতা শিষ্য গুরু শূণ্য পূর্ণ শায়িত উত্থিত শীত গ্রীষ্ম শোভন অশোভন শয়ন উত্থান শীতল উষ্ণ শ্বাস প্রশ্বাস শারীরিক মানসিক শুক্লপক্ষ কৃষ্ণপক্ষ শ্রী বিশ্রী শালীন অশালীন শুচি অশুচি শ্লীল অশ্লীল শাসক শাসিত শুদ্ধ অশুদ্ধ শিক্ষক ছাত্র শুভ্র কৃষ্ণ স সংকীর্ণ প্রশস্ত সদৃশ বিসদৃশ সাহসিকতা ভীরুতা সংকোচন প্রসারণ সধবা বিধবা সিক্ত শুষ্ক সংকুচিত প্রসারিত সন্ধি বিগ্রহ সুকৃতি দুষ্কৃতি সংক্ষিপ্ত বিস্তৃত সন্নিধান ব্যবধান সুগম দুর্গম সংক্ষেপ বিস্তার সফল বিফল সুন্দর কুৎসিত সংক্ষেপিত বিস্তারিত সবল দুর্বল সুদর্শন কুদর্শন সংগত অসংগত সবাক নির্বাক সুধা জাগ্রত সংযত অসংযত সমতল অসমতল সুপ্ত জাগ্রত সংযুক্ত বিযুক্ত সমষ্টি ব্যষ্টি সুয়ো দুয়ো সংযোগ বিয়োগ সমাপিকা অসমাপিকা সুশীল দুঃশীল সংযোজন বিয়োজন সমাপ্ত আরম্ভ সুশ্রী কুশ্রী সংশ্লিষ্ট বিশ্লিষ্ট সম্পদ বিপদ সুষম অসম সংশ্লেষণ বিশ্লেষণ সম্প্রসারণ সংকোচন সুসহ দুঃসহ সংহত বিভক্ত সম্মুখ পশ্চাত সুস্থ দুস্থ সংহতি বিভক্তি সরব নিরব সূক্ষ্ম স্থূল সকর্মক অকর্মক সরল কুটিল/জটিল সৃষ্টি ধ্বংস সকাল বিকাল সশস্ত্র নিরস্ত্র সৌখিন পেশাদার সক্রিয় নিষ্ক্রিয় সস্তা আক্রা সৌভাগ্যবান দুর্ভাগ্যবান/ভাগ্যহত সক্ষম অক্ষম সসীম অসীম স্তুতি নিন্দা সচল নিশ্চল সহযোগ অসহযোগ স্তাবক নিন্দুক সচেতন অচেতন সহিষ্ণু অসহিষ্ণু স্থাবর জঙ্গম সচেষ্ট নিশ্চেষ্ট সাঁঝ সকাল স্থলভাগ জলভাগ সচ্চরিত্র দুশ্চরিত্র সাকার নিরাকার স্নিগ্ধ রুক্ষ সজাগ নিদ্রিত সাক্ষর নিরক্ষর স্বনামী বেনামী সজ্জন দুর্জন সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য স্বর্গ নরক সজ্ঞান অজ্ঞান সাফল্য ব্যর্থতা স্বাতন্ত্র্য সাধারণত্ব সঞ্চয় অপচয় সাবালক নাবালক স্বাধীন পরাধীন সতী অসতী সাবালিকা নাবালিকা স্বার্থপর পরার্থপর সত্বর ধীর সাম্য বৈষম্য স্মৃতি বিস্মৃতি সদয় নির্দয় সার অসার স্থির অস্থির সদর অন্দর সার্থক নিরর্থক সদাচার কদাচার সাহসী ভীরু হ হরণ পূরণ হাল সাবেক হৃদ্যতা শত্রুতা হর্ষ বিষাদ হালকা ভারি হ্রস্ব দীর্ঘ হাজির গরহাজির হিত অহিত হ্রাস বৃদ্ধি হার জিত হিসেবি বেহিসেবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন *.সঞ্চয়-অপচয় *.সংশয়’-এর বিপরীতার্থক শব্দ (ঘ-২০০৫-০৬) *.‘অহ্ন’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ (ঘ-২০০৪-০৫) *.‘উচাটন’ এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি? (ঘ-২০০৩-০৪) *.‘ঊষর’ এর বিপরীত শব্দ কোনটি? (ঘ-২০০২-০৩) *.‘উদ্ধত’ এর বিপরীত শব্দ (ঘ-২০০১-০২) *.‘জঙ্গম’ এর বিপরীত শব্দ (ঘ-২০০১-০২) *.‘চঞ্চল’ এর বিপরীত শব্দ (ঘ-২০০০-০১) *.সঠিক বিপরীত শব্দজোড়া (ঘ-২০০৬-০৭) *.ইষ্ট-শিষ্ট *.ক্ষীপ্র-দীপ্র *.আগ্রহ-নিগ্রহ *.‘গৃহী’ শব্দের বীপরীতার্থক শব্দ (ঘ-২০০৮-০৯) *.‘চঞ্চল’-এর বিপরীত শব্দ- (ঘ-২০১০-১১) *.সচেষ্ট’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী? (ক-২০০৬-০৭) *.ব্যষ্টির বিপরীতার্থক শব্দ- (ক-২০০৬-০৭) *.‘জুলমাত’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি? (ক-২০০৭-০৮) *.‘উর্বর’ শব্দের বিপরীত শব্দ- (ক-২০০৮-০৯) *.‘স্থির’ শব্দের বিপরীত শব্দ- (ক-২০০৯-১০) *.‘বর্ধমান’ শব্দের বিপরীত শব্দ: (গ-২০০৮-০৯)

বিপরীতার্থক শব্দ/ বিপরীত শব্দ (পর্ব ১): একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ বলে । *.সাধারণত শব্দের শুরুতে অ, অন, অনা, অপ, অব, দূর, ন, না, নি, নির প্রভৃতি উপসর্গগুলো যুক্ত করলে শব্দের অর্থ না-বাচক বা নিষেধবোধক অর্থে রূপান্তরিত হয় । তাই শব্দের বিপরীত শব্দ তৈরিতেও এই উপসর্গগুলো ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । যেমন- আগত–শব্দটির শুরুতে অন- উপসর্গটি যুক্ত হয়ে বিপরীত শব্দ হল- অনাগত । *.আবার যে সব শব্দের শুরুতে হ্যাঁ-বোধক উপসর্গ থাকে, তাদের শুরুর সেই উপসর্গের বদলে না-বোধক উপসর্গও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । যেমন- অনুরাগ- শব্দটি রাগ- শব্দমূলের পূর্বে অনু- উপসর্গ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে, যেখানে অনু- উপসর্গটি ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করেছে । এখন অনু-র পরিবর্তে বি- উপসর্গ ব্যবহার করলে, বিরাগ- শব্দে বি-উপসর্গটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে, এবং শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ উল্টে যায় । অর্থাৎ, ইতিবাচক অনু- উপসর্গের বদলে নেতিবাচক বি-উপসর্গের ব্যবহারে বিপরীত শব্দ গঠিত হল । *.তবে সাধারণত, শব্দের বিপরীত শব্দগুলো অর্থের দিক থেকে বিপরীত অর্থবোধক হয়; না-বোধক বা নেতিবাচক হয় না । তাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরকম কোন নিয়ম খাটে না । বরং অর্থের দিক থেকে যথাযথ বিপরীত শব্দটিই গৃহীত হয় । যেমন- আজ–কাল, অতীত- ভবিষ্যত, অধম- উত্তম, ইত্যাদি । কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ অ অকর্মক সকর্মক অজ্ঞ প্রাজ্ঞ অধিত্যকা উপত্যকা অক্ষম সক্ষম অতিকায় ক্ষুদ্রকায় অনন্ত সান্ত অগ্র পশ্চাৎ অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি অনুকূল প্রতিকূল অগ্রজ অনুজ অতীত ভবিষ্যত অনুগ্রহ নিগ্রহ অণু বৃহৎ অদ্য কল্য অগ্রজ অনুজ অচল সচল অধঃ ঊর্ধ্ব অনুরক্ত বিরক্ত অচলায়তন সচলায়তন অধম উত্তম অনুরাগ বিরাগ অচেতন সচেতন অধমর্ণ উত্তমর্ণ অনুলোম প্রতিলোম অলীক সত্য অশন অনশন অস্তগামী উদীয়মান অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ অসীম সসীম অস্তি নাস্তি/নেতি অহিংস সহিংস আ আকর্ষণ বিকর্ষণ আধার আধেয় আরোহণ অবরোহণ আকুঞ্চন প্রসারণ আপদ সম্পদ আর্দ্র শুষ্ক আগত অনাগত আবশ্যক অনাবশ্যক আর্য অনার্য আগমন প্রস্থান আবশ্যিক ঐচ্ছিক আলস্য শ্রম আজ কাল আবাদি অনাবাদি আলো আঁধার আত্ম পর আবাহন বিসর্জন আশীর্বাদ অভিশাপ আত্মীয় অনাত্মীয় আবির্ভাব তিরোভাব আসক্ত নিরাসক্ত আদি অন্ত আবির্ভূত তিরোহিত আসামি ফরিয়াদী আদিম অন্তিম আবিল অনাবিল আস্তিক নাস্তিক আদ্য অন্ত্য আবৃত উন্মুক্ত আস্থা অনাস্থা ই ইচ্ছুক অনিচ্ছুক ইদানীন্তন তদানীন্তন ইহকাল পরকাল ইতর ভদ্র ইষ্ট অনিষ্ট ইহলোক পরলোক ইতিবাচক নেতিবাচক ইহলৌকিক পারলৌকিক ঈ ঈদৃশ তাদৃশ ঈষৎ অধিক উ উক্ত অনুক্ত উত্তরায়ণ দক্ষিণায়ন উন্নত অবনত উগ্র সৌম্য উত্তাপ শৈত্য উন্নতি অবনতি উচ্চ নীচ উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ উন্নীত অবনমিত উজান ভাটি উত্থান পতন উন্নয়ন অবনমন উঠতি পড়তি উত্থিত পতিত উন্মুখ বিমুখ উঠন্ত পড়ন্ত উদয় অস্ত উন্মীলন নিমীলন উৎকৃষ্ট নিকৃষ্ট উদ্ধত বিনীত/ নম্র উপকর্ষ অপকর্ষ উৎকর্ষ অপকর্ষ উদ্বৃত্ত ঘাটতি উপচয় অপচয় উৎরাই চড়াই উদ্যত বিরত উপকারী অপকারী উত্তম অধম উদ্যম বিরাম উপকারিতা অপকারিতা উত্তমর্ণ অধমর্ণ উর্বর ঊষর উপচিকীর্ষা অপচিকীর্ষা উত্তর দক্ষিণ উষ্ণ শীতল ঊ ঊর্ধ্ব অধঃ ঊর্ধ্বগতি অধোগতি ঊষা সন্ধ্যা ঊর্ধ্বতন অধস্তন ঊর্ধ্বগামী অধোগামী ঊষর উর্বর ঋ ঋজু বক্র এ একান্ন পৃথগান্ন একাল সেকাল একূল ওকূল এখন তখন ঐ ঐকমত্য মতভেদ ঐশ্বর্য দারিদ্র্য ঐহিক পারত্রিক ঐক্য অনৈক্য ও ওস্তাদ সাকরেদ ঔ ঔদার্য কার্পণ্য ঔচিত্য অনৌচিত্য ঔজ্জ্বল্য ম্লানিমা ঔদ্ধত্য বিনয় ক কচি ঝুনা কুৎসিত সুন্দর কৃশাঙ্গী স্থূলাঙ্গী কদাচার সদাচার কুফল সুফল কৃষ্ণ শুভ্র/গৌর কনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ কুবুদ্ধি সুবুদ্ধি কৃষ্ণাঙ্গ শ্বেতাঙ্গ কপট সরল/অকপট কুমেরু সুমেরু কোমল কঠিন কপটতা সরলতা কুরুচি সুরুচি ক্রন্দন হাস্য কর্মঠ অকর্মণ্য কুলীন অন্ত্যজ ক্রোধ প্রীতি কল্পনা বাস্তব কুশাসন সুশাসন ক্ষণস্থায়ী দীর্ঘস্থায়ী কাপুরুষ বীরপুরুষ কুশিক্ষা সুশিক্ষা ক্ষীপ্র মন্থর কুঞ্চন প্রসারণ কৃতজ্ঞ অকৃতজ্ঞ/ কৃতঘ্ন ক্ষীয়মান বর্ধমান কুটিল সরল কৃপণ বদান্য কুৎসা প্রশংসা কৃশ স্থূল খ খ্যাত অখ্যাত খুচরা পাইকারি খেদ হর্ষ খ্যাতি অখ্যাতি গ গঞ্জনা প্রশংসা গূঢ় ব্যক্ত গৌণ মুখ্য গতি স্থিতি গুপ্ত প্রকাশিত গৌরব অগৌরব গদ্য পদ্য গৃহী সন্ন্যাসী গ্রামীণ নাগরিক গণ্য নগণ্য গ্রহণ বর্জন গ্রাম্য শহুরে গরল অমৃত গৃহীত বর্জিত গ্রাহ্য অগ্রাহ্য গরিমা লঘিমা গেঁয়ো শহুরে গরিষ্ঠ লঘিষ্ঠ গোপন প্রকাশ ঘ ঘাটতি বাড়তি ঘাত প্রতিঘাত ঘৃণা শ্রদ্ধা চ চক্ষুষ্মান অন্ধ চল অচল চিরায়ত সাময়িক চঞ্চল স্থির চলিত অচলিত/সাধু চ্যূত অচ্যূত চড়াই উৎরাই চিন্তনীয় অচিন্ত্য/অচিন্তনীয় চতুর নির্বোধ চুনোপুটি রুই-কাতলা ছ ছটফটে শান্ত জ জঙ্গম স্থাবর জল স্থল জোড় বিজোড় জড় চেতন জলে স্থলে জোয়ার ভাটা জটিল সরল জলচর স্থলচর জ্যোৎস্না অমাবস্যা জনাকীর্ণ জনবিরল জাতীয় বিজাতীয় জ্ঞাত অজ্ঞাত জন্ম মৃত্যু জাল আসল জ্ঞানী মূর্খ জমা খরচ জিন্দা মুর্দা জ্ঞেয় অজ্ঞেয় জরিমানা বকশিশ জীবন মরণ জ্যেষ্ঠা কনিষ্ঠা জাগ্রত ঘুমন্ত/সুপ্ত জীবিত মৃত জাগরণ ঘুম/সুপ্ত জৈব অজৈব ঠ ঠুনকো মজবুত ড ডুবন্ত ভাসন্ত ত তদীয় মদীয় তারুণ্য বার্ধক্য তীক্ষ্ণ স্থূল তন্ময় মন্ময় তিমির আলোক তীব্র মৃদু তস্কর সাধু তিরস্কার পুরস্কার তুষ্ট রুষ্ট তাপ শৈত্য তীর্যক ঋজু ত্বরিত শ্লথ দ দক্ষিণ বাম দুর্জন সুজন দৃঢ় শিথিল দণ্ড পুরস্কার দুর্দিন সুদিন দৃশ্য অদৃশ্য দাতা গ্রহীতা দুর্নাম সুনাম দেনা পাওনা দিবস রজনী দুর্বুদ্ধি সুবুদ্ধি দেশী বিদেশী দিবা নিশি/রাত্রি দুর্ভাগ্য সৌভাগ্য দোষ গুণ দিবাকর নিশাকর দুর্মতি সুমতি দোষী নির্দোষ দীর্ঘ হ্রস্ব দুর্লভ সুলভ দোস্ত দুশমন দীর্ঘায়ু স্বল্পায়ু দুষ্কৃতি সুকৃতি দ্বিধা নির্দ্বিধা/ দ্বিধাহীন দুঃশীল সুশীল দুষ্ট শিষ্ট দ্বৈত অদ্বৈত দুরন্ত শান্ত দূর নিকট দ্যুলোক ভূলোক দুর্গম সুগম দ্রুত মন্থর

বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ (পর্ব ২ ও শেষ পর্ব): যার কোন উপায় নেই- নিরুপায় যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয় যার আকার কুৎসিত- কদাকার যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু যার কিছু নেই- অকিঞ্চন যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা) যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা) যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা হনন/হত্যা করার ইচ্ছা- জিঘাংসা হরিণের চামড়া- অজিন হাতির ডাক- বৃংহতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন • ‘প্রতিধ্বনি ক্রমবিস্তার’-এর এক শব্দরূপ (ঘ-২০০০-০১) • যার আকার কুৎসিত (ঘ-২০০৩-০৪) • শত্রুকে দমন করে যে, তাকে এক শব্দে বলা হয়- (ঘ-২০০৩-০৪) • ‘পরকে প্রতিপালন করে যে’- এক কথায় হবে (ঘ-২০০৬-০৭) • ‘অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি’র বাক্য সংকোচণ (ঘ-২০০৮-০৯) • যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই’ কথাটিকে এক কথায় প্রকাশ করলে হবে (ঘ-২০০৯-১০) • যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে তাকে কী বলে? (ঘ-২০০৯-১০) • এক কথায় প্রকাশ কর- পান করার যোগ্য (ক-২০০৫-০৬) • অনেক কষ্টে যা অধ্যয়ন করা যায়- এক কথায় কী হবে? (ক-২০০৬-০৭) • এক কথায় প্রকাশ কর : যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে (ক-২০০৬-০৭) • অনেক কষ্টে যা অধ্যয়ন করা যায়- এক কথায় কী হবে? (ক-২০০৭-০৮) • ‘গম্ভীর ধ্বনি’- এর বাক্য সংকোচন? (গ-২০১০-১১) • শত্রুকে দমন করে যে, তাকে এক কথায় বলা হয়? (গ-২০০৮-০৯) • ‘দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ’- বাক্য সংকোচনে বলা যায়: (গ-২০০৫-০৬) • ‘অনসূয়া’ শব্দটি কোন বাক্যের সংকুচিত রূপ? (গ-২০০২-০৩) • ‘নির্মোক’ কোন শব্দগুচ্ছের সংকুচিত রূপ? (গ-২০০১-০২)

বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ (পর্ব ১): একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে । অর্থাৎ একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে । যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ এখানে হীরকরাজ- শব্দের মাধ্যমে হীরক দেশের রাজা- এই তিনটি পদের অর্থই সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে । এই তিনটি পদ একত্রে একটি বাক্যাংশ বা উপবাক্যও বটে । অর্থাৎ, হীরক দেশের রাজা- তিনটি পদ বা বাক্যাংশটির বাক্য সংকোচন হল- হীরকরাজ । কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ অহংকার নেই যার- নিরহংকার অশ্বের ডাক- হ্রেষা অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি- দক্ষ অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা- অনুসন্ধিৎসা অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে- অনুসন্ধিৎসু অপকার করবার ইচ্ছা- অপচিকীর্ষা অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃষ্যকারী অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয়- নাতিশীতোষ্ণ অবশ্য হবে/ঘটবে যা- অবশ্যম্ভাবী অতি দীর্ঘ নয় যা- নাতিদীর্ঘ অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য অগ্রে জন্মেছে যে- অগ্রজ অনুতে/পশ্চাতে/পরে জন্মেছে যে- অনুজ অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম অন্য উপায় নেই যার- অনন্যোপায় অনেকের মাঝে একজন- অন্যতম অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা আচারে নিষ্ঠা আছে যার- আচারনিষ্ঠ আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা যার- আত্মকেন্দ্রীক আকাশে চরে যে- খেচর আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ আট প্রহর যা পরা যায়- আটপৌরে আপনার রং লুকায় যে/যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতম্মন্য আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক ইতিহাস বিষয়ে অভিঞ্জ যিনি- ইতিহাসবেত্তা ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে- জিতেন্দ্রিয়ি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক ঈষৎ আমিষ/আঁষ গন্ধ যার- আঁষটে উপকার করবার ইচ্ছা- উপচিকীর্ষা উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন একই সময়ে বর্তমান- সমসাময়িক একই মায়ের সন্তান- সহোদর এক থেকে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয় কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য সহজে নিবারণ করা যায় না যা/কষ্টে নিবারণ করা যায় যা- দুর্নিবার সহজে লাভ করা যায় না যা/কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয় ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ কউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে গোপন করার ইচ্ছা- জুগুপ্সা চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত- চাক্ষুষ চৈত্র মাসের ফসল- চৈতালি জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত জানার ইচ্ছা- জিজ্ঞাসা জানতে ইচ্ছুক- জিজ্ঞাসু জ্বল জ্বল করছে যা- জাজ্বল্যমান জয় করার ইচ্ছা- জিগীষা জয় করতে ইচ্ছুক- জিগীষু জানু পর্যন্ত লম্বিত- আজানুলম্বিত তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী তীর ছোঁড়ে যে- তীরন্দাজ দিনে যে একবার আহার করে- একাহারী দীপ্তি পাচ্ছে যা- দীপ্যমান দু’বার জন্মে যে- দ্বিজ নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক নিজেকে যে বড়ো মনে করে- হামবড়া নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক প্রিয় বাক্য বলে যে নারী- প্রিয়ংবদা পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে- জাতিস্মর পান করার যোগ্য- পেয় পান করার ইচ্ছা- পিপাসা ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি- বৈজ্ঞানিক বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয় মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময় মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড় মন হরণ করে যা- মনোহর মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী যা দমন করা যায় না- অদম্য যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয় যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয় যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয় যা জলে চরে- জলচর যা স্থলে চরে- স্থলচর যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর যা বলা হয় নি- অনুক্ত যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত যা আঘাত পায় নি- অনাহত যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয় যা পানের অযোগ্য- অপেয় যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত যা বলা হয়েছে- উক্ত যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায় যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়

বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচন (পর্ব ৪ ও শেষ পর্ব): *একই রকম বাগধারা : তীর্থের কাক- প্রতীক্ষারত ম মগের মুল্লুক অরাজক দেশ মুখে দুধের গন্ধ অতি কম বয়স মণিকাঞ্চন যোগ উপযুক্ত মিলন মুস্কিল আসান নিষ্কৃতি মন না মতি অস্থির মানব মন মেনি মুখো লাজুক মড়াকান্না উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ মাকাল ফল অন্তঃসারশূণ্য মাছের মায়ের পুত্রশোক কপট বেদনাবোধ মিছরির ছুরি মুখে মধু অন্তরে বিষ মশা মারতে কামান দাগা সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন মুখে ফুল চন্দন পড়া শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ মুখ চুন হওয়া লজ্জায় ম্লান হওয়া মেছো হাটা তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত য যক্ষের ধন কৃপণের ধন যমের অরুচি যে সহজে মরে না র রত্নপ্রসবিনী সুযোগ্য সন্তানের মা রাবণের গুষ্টি বড় পরিবার রাঘব বোয়াল সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি রায় বাঘিনী উগ্র স্বভাবের নারী রাবণের চিতা চির অশান্তি রাজ যোটক উপযুক্ত মিলন রাশভারি গম্ভীর প্রকৃতির রাহুর দশা দুঃসময় রাই কুড়িয়ে বেল ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ রুই-কাতলা পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি রাজা উজির মারা আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প ল লগন চাঁদ ভাগ্যবান লাল বাতি জ্বালা দেউলিয়া হওয়া ললাটের লিখন অমোঘ ভাগ্য লাল হয়ে যাওয়া ধনশালী হওয়া লাল পানি মদ লেজে গোবরে বিশৃঙ্খলা লেফাফা দুরস্ত বাইরের ঠাট বজার রেখে চলেন যিনি শ শকুনি মামা কুটিল ব্যক্তি শিরে সংক্রান্তি বিপদ মাথার ওপর শাঁখের করাত* দুই দিকেই বিপদ শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া আলস্যে সময় নষ্ট করা শাপে বর অনিষ্টে ইষ্ট লাভ শরতের শিশির সুসময়ের বন্ধু শিকায় ওঠা স্থগিত শত্রুর মুখে ছাই কুদৃষ্টি এড়ানো শিঙে ফোঁকা মরা শ্রীঘর কারাগার শিবরাত্রির সলতে একমাত্র সন্তান *সমার্থক বাগধারা : উভয় সঙ্কট, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ ষ ষোল কলা পুরোপুরি ষাঁড়ের গোবর অযোগ্য ষোল আনা স সবুরে মেওয়া ফলে ধৈর্যসুফল মিলে সাতেও নয়, পাঁচেও নয় নির্লিপ্ত সরফরাজি করা অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি সাপের পাঁচ পা দেখা অহঙ্কারী হওয়া সাত খুন মাফ অত্যধিক প্রশ্রয় সোনায় সোহাগা উপযুক্ত মিলন সাত সতের নানা রকমের সাক্ষী গোপাল নিষ্ক্রিয় দর্শক সাপের ছুঁচো গেলা অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে কাজ করা সখাত সলিলে* ঘোর বিপদে পড়া সেয়ানে সেয়ানে চালাকে চালাকে সব শেয়ালের এক রা ঐকমত্য সবে ধন নীলমণি একমাত্র অবলম্বন *সমার্থক বাগধারা : অকূল পাথারে হ হাটে হাঁড়ি ভাঙা গোপন কথা প্রকাশ করা হাতের পাঁচ শেষ সম্বল হাতটান চুরির অভ্যাস হীরার ধার অতি তীক্ষ্ণবুদ্ধি হ য ব র ল বিশৃঙ্খলা হোমরা চোমরা গণ্যমান্য ব্যক্তি হাতুড়ে বদ্যি আনাড়ি চিকিৎসক হিতে বিপরীত উল্টো ফল হরিলুট অপচয় হাড় হদ্দ নাড়ি নক্ষত্র/সব তথ্য হস্তীমূর্খ বুদ্ধিতে স্থূল হালে পানি পাওয়া সুবিধা করা হাড়ে দুর্বা গজানো অত্যন্ত অলস হওয়া হাড় হাভাতে মন্দভাগ্য হরি ঘোষের গোয়াল বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন • ‘ভেরেণ্ডা ভাজা’ বাগধারাটির অর্থ- (ঘ-১৯৯৯-৯৮) • ‘মুখ তোলা’ বাক্যাংশের বিশিষ্ট অর্থ কি? (ঘ-১৯৯৯-২০০০) • ‘পান্তা ভাতে ঘি’ বাগবিধির অর্থ (ঘ-১৯৯৯-২০০০) • ‘মহাভারত অশুদ্ধ হওয়া’ বাগবিধির অর্থ (ঘ-২০০০-০১) • কোনটি প্রবচন? (ঘ-২০০০-০১) • ধরাকে সরা জ্ঞান করা • ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়া • পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে • দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো • ‘রত্নপ্রসবিনী’ শব্দের বিশিষ্টার্থ- (ঘ-২০০২-০৩) • ‘গরমা-গরম’ এর বিশিষ্টার্থ ? (ঘ-২০০৪-০৫) • ইঁদুর কপালে’ বাগধারাটির অর্থ (ঘ-২০০৫-০৬) • ‘নগদ নারায়ণ’ বাগধারাটির অর্থ (ঘ-২০০৬-০৭) • ‘টুপভুজঙ্গ’ বাগধারার অর্থ? (ঘ-২০০৮-০৯) • কোনটি প্রবাদ? (ঘ-২০০৮-০৯) • ধর্মের কল বাতাসে নড়ে • ‘নেপোয় মারে দই’- বাগবিধিটির অর্থ (ঘ-২০০৯-১০) • ‘লম্বা দেয়া’ বাগধারাটির অর্থ- (ঘ-২০১০-১১) • ‘কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো’- কী বোঝায়? (ক-২০০৫-০৬) • বাজারে কাটা’ বাগধারার অর্থ (ক-২০০৬-০৭) • ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ প্রবাদটির অর্থ- (ক-২০০৬-০৭) • ‘ভাঁড়ে ভবানী’ প্রবচনের অর্থ- (ক-২০০৭-০৮) • ‘সাক্ষীগোপাল’- এর অর্থ: (গ-২০০৯-১০) • ‘হায়রে আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া’- এ প্রবাদটির অর্থ: (গ-২০০৮-০৯) • ‘শিকায় তোলা’ বাগধারাটির অর্থ: (গ-২০০৮-০৯) • ‘ঢাক গুড়গুড়’-এর অর্থ: (গ-২০০৫-০৬) • ‘হচ্ছে হবে’ অর্থ: (গ-২০০৫-০৬) • আক্ষরিক অর্থ ছাপিয়ে যখন কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে আমরা বলি: (গ-২০০৫-০৬) • ‘রাবণের চিতা’- এর অর্থ: (গ-২০০৪-০৫) • ‘চাঁদের হাট’ অর্থ: (গ-২০০৪-০৫) • ‘হটিরাম’ বাগধারাটির অর্থ- (গ-২০০৩-০৪) • ‘ডামাডোল’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে (গ-২০০১-০২) • ‘বর্ণচোরা’ বাগধারাটির অর্থ হচ্ছে- (গ-২০০১-০২)