বিরাম চিহ্ন বা যতি চিহ্ন বা ছেদ চিহ্ন (পর্ব ২ ও শেষ পর্ব): হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, দুইটি পদ একসঙ্গে লিখতে গেলে হাইফেন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন- সুখ-দুঃখ, মা-বাবা। ইলেক বা লোপ চিহ্ন কোন বর্ণ লোপ করে বা বাদ দিয়ে সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ বোঝাতে ইলেক বা লোপ চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। কবিতা বা অন্যান্য সাহিত্যে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- মাথার ’পরে জ্বলছে রবি। (’পরে= ওপরে) পাগড়ি বাঁধা যাচ্ছে কা’রা? (কা’রা = কাহারা) উদ্ধরণ চিহ্ন বক্তার কথা হুবুহু উদ্ধৃত করলে সেটিকে এই চিহ্নের মধ্যে রাখতে হয়। অর্থাৎ, প্রত্যক্ষ উক্তিকে এই চিহ্নের মধ্যে রেখে লিখতে হয়। যেমন- ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছেন, ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু’। ব্র্যাকেট বা বন্ধনী চিহ্ন ( ).{ }. [ ] গণিতশাস্ত্রে এই তিনটির আলাদা গুরচত্ব থাকলেও ভাষার ক্ষেত্রে এদের আলাদা কোন গুরচত্ব নেই। তবে সাহিত্যে ও রচনায় ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য প্রথম বন্ধনী ব্যবহার করা হয়। যেমন- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে পরাজয় মেনে দলিলে স্বাক্ষর করে। ]ব্যাকরণিক চিহ্ন বিরাম চিহ্নের বাইরেও বাংলা ভাষায় কিছু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এগুলো দিয়ে কোন বিরতি বা ছেদ বোঝানো হয় না। এগুলো ব্যাকরণের কতোগুলো টার্মস বোঝায়। ব্যাকরণের বিভিন্ন তথ্য বা টার্মস বোঝাতে যেই চিহ্নগুলো ব্যবহৃত হয়, সেগুলোই ব্যাকরণিক চিহ্ন। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উলেলখযোগ্য কয়েকটি ব্যাকরণিক চিহ্ন হলো- বোঝায় চিহ্ন/ আকৃতি উদাহরণ ধাতু √ √স্থা = স্থা ধাতু পরবর্তী শব্দ হতে উৎপন্ন ˂ জাঁদরেল ˂ জেনারেল পূর্ববর্তী শব্দ হতে উৎপন্ন ˃ গঙ্গা ˃ গাঙ সমানবাচক বা সমস্তবাচক = নর ও নারী = নরনারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন *.যেখানে কমা অপেক্ষা অধিক বিরাম আবশ্যক সেখানে কোন চিহ্ন ব্যবহার হয়? (ঘ-২০০৩-০৪) *.কোন কথার দৃষ্টান্ত বা বিস্তার বোঝাতে বসে (ঘ-২০০৪-০৫) *.সেমিকোলনের বাংলা (ঘ-২০০৫-০৬) *.হাইফেন ব্যবহৃত হয়- (ক-২০০৫-০৬) *.বাক্যের সূচনায় সম্বোধন থাকলে যে বিরাম চিহ্ন বসে- (ক-২০০৬-০৭) *.বাক্যের প্রান্তিক চিহ্ন নয় কোনটি? (ক-২০০৬-০৭) *.অসম্পূর্ণ বাক্যের শেষে কোন বিরাম চিহ্ন বসে? (ক-২০০৮-০৯) *.পূর্ণ বাক্যে একাধিক স্বাধীন বাক্যাংশের পরে বসে- (ক-২০০৯-১০)